আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের শাবানা



আমাদের শাবানা


বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। যাকে চলচ্চিত্র জগতের বাসিন্দারা সম্মানের সঙ্গে চলচ্চিত্র সম্রাজ্ঞী বলে ডাকেন। তাদের এই শ্রদ্ধার পেছনে কোনো বাড়াবাড়ি নেই, নেই বাড়তি কোনো তোষামোদ। একজন আপাদমস্তক প্রকৃত শিল্পী বলতে যা বোঝায় শাবানা হচ্ছেন তারই প্রতিকৃতি। মাত্র ৯ বছর বয়সে সিনেমায় অভিনয় করতে এসে একজন জুনিয়র শিল্পী থেকে চলচ্চিত্র সম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠার পেছনে শাবানা যে সাধনা ও পরিশ্রম করেছেন, অভিনয়কে যেভাবে মনে-প্রাণে ভালোবেসেছেন তাতে করে তিনি তাঁরই পরবর্তী শিল্পীদের জন্য আদর্শ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিনয় জীবনে শাবানা এখনো চলচ্চিত্রের সকলের কাছে আদর্শ এবং আদরণীয় একজন শিল্পী।

শাবানা মানেই শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা। সীমাহীন জনপ্রিয়তা তো আছেই। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে শাবানার প্রাপ্তির কোনো শেষ নেই। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি তাঁর না থেকেও থাকা।

দীর্ঘদিন যাবৎ শাবানা অভিনয় থেকে দূরে। কিন্তু চলচ্চিত্রের মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পারেননি। হালের শিল্পী নামধারীদের আচার-আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ চলচ্চিত্র শিল্প প্রতি মুহূর্তেই মনে করে শাবানাকে। নতুনদের পরামর্শ দেন শাবানার আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে পথ চলতে। কারণ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দ্বিতীয় কোনো শাবানার জন্ম হবে না।

শাবানার মতো কেউই হতেও পারবেন না। একজন শাবানা হবার মতো ধৈর্য কারো নেই, নেই শিল্পের প্রতি ভালোলাগা, অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা।

পর্দায় শাবানা যেমন ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী তেমনি বাস্তবেও অতুলনীয়। কখনো মমতাময়ী মা, কখনো স্নেহময়ী বোন, কখনো আদরণীয় ভাবী, কখনো আবার প্রিয়তমা স্ত্রী, প্রেমময়ী রমণী, কখনো কখনো আবার প্রতিবাদী নারী। সব চরিত্রেই তার মতো সফল দ্বিতীয় কোনো অভিনেত্রী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আসেননি।

আর আসারও কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলার মা, বাংলার বধূ, রাঙা ভাবী, আবার দস্যুরানী, বিদ্রোহী কন্যা, বিশ্বনেত্রী, কখনো আবার মা যখন বিচারক ইত্যাদির পাশাপাশি হিম্মতওয়ালী, রাজনন্দিনী -সব চরিত্রেই দর্শকদের ভালোবাসা পাবার মতো সৌভাগ্যবান অভিনেত্রী একজনই, তিনি শাবানা। দীর্ঘ সময়ে এই সকল চরিত্রে তার কোনো বিকল্প গড়ে ওঠেনি। একটা সময় ছিল পর্দায় শাবানার কান্নার সঙ্গে দর্শকরাও কেঁদেছেন। আবেগ অনুভূতি আর অভিনয় নৈপুণ্য দিয়ে অগণিত দর্শকের চোখের জলে ভিজিয়ে দেবার সফলতা শাবানাকে রেকর্ডসংখ্যক আটবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দিয়েছে।

তার যোগ্যতার ধারে-কাছে অন্যকোনো অভিনেত্রী নেই। অথচ এই শাবানাকে আজকের শাবানা হবার জন্য প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছে। পোড়াতে হয়েছে কাঠখড়। বিন্দু বিন্দু জল থেকে যেমন সিন্ধু হয় তেমনি ছোট ছোট চরিত্রে সানন্দে অভিনয় করে কিংবদন্তি হয়েছেন শাবানা।

১৯৬২ সালে চলচ্চিত্রে ক্যাপ্টেন নামে পরিচিত এহতেশামের হাত ধরে মাত্র ৯ বছর বয়সে অভিনয়ে আসেন চট্টগ্রামের মেয়ে রতœা।

ছবির নাম ‘নতুন সুর’। ছোট্ট একটি চরিত্র। ছবির নায়ক-নায়িকা রহমান-শবনম। এরপর কিশোরী রতœা ছোট্ট ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেন- তালাশ, ডাকবাবু, ভাইয়া, সাগর, পয়সে, আবার বনবাসে রূপবান ছবিতে। কিশোরী রতœার মধ্যে নায়িকা হবার সম্ভাবনা খুঁজে পান আবিষ্কারক এহতেশাম।

খাঁটি সোনা চিনতে ভুল করেননি জহুরী এহতেশাম। রতœাকে শাবানা নাম দিয়ে নির্মাণ করেন ‘চকোরী’। নায়ক হিসেবে নিয়ে আসেন সুদর্শন নাদিমকে। যিনি নাজির বেগ নামে গায়ক হিসেবে নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করছিলেন। এহতেশাম তার জীবনটাও বদলে দেন নায়ক বানিয়ে।

১৯৬৭ সালের ২৪ মার্চ ‘চকোরী’ মুক্তি পেয়ে সুপারহিট হলে ঢাকার চলচ্চিত্র পায় একজোড়া নায়ক-নায়িকা। বিশেষ করে শাবানার মতো একজন সুন্দরী নায়িকা যাকে ছবির প্রচার ও প্রসারের সময় বিউটিকুইন বলে সম্বোধন করা হতো। ধীরে ধীরে শাবানা পরিচালকদের সম্মান করে তাদের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে নিজেকে ভেঙ্গেচুরে অভিনেত্রী হিসেবে সকলের সমীহ আদায় করে নেন। একজন অভিনেত্রী হিসেবে শাবানার প্রধান লক্ষ্য ছিল সবধরনের চরিত্রে দর্শকদের মন জয় করে নেয়া।

সময়কে গুরুত্ব দিয়ে অভিনয় করে গেছেন তিনি পরিকল্পনার ছক এঁকে।

গাঁয়ের সাধারণ মেয়ে থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ঘরের গৃহবধূ, বাংলার বধূ, মমতাময়ী চরিত্রে বাংলার মা, আবার সৎ নিরপেক্ষ জজ ব্যারিস্টার, মা যখন বিচারক আবার প্রতিবাদী নারী চরিত্রে দস্যুরানী, মানসম্মান, স্বামী কেন আসামী, বিদ্রোহী কন্যা, বিশ্বনেত্রী আবার ছুটির ঘণ্টা ছবিতে স্কুলের ক্লিনার, পালাবি কোথায়-এর গার্মেন্টস কর্মী নাজমা, সখিনার যুদ্ধ, ভাত দে, লাল কাজল, দুই পয়সার আলতা, সত্য মিথ্যা, সবুজ সাথী ছবির শাবানাকে মনে রাখেননি এমন সিনেপ্রেমী দর্শক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠবে বর্তমান সময়ে। অভিনেত্রী শাবানা যখন প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন তখন নিজের অবস্থানকে শক্ত করার পাশাপাশি ভালো মানের ছবিও উপহার দিয়ে নিজের এসএস প্রোডাকশনকেও শীর্ষস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

একটা সময় ছিল শাবানার এসএস প্রোডাকশনের ছবি মানেই ভালো ছবি, সুন্দর ছবি এবং ব্যবসাসফল ছবি। আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘মাটির ঘর’ ছবি দিয়ে এসএস প্রোডাকশনের যাত্রা শুরু। এরপর এই সংস্থা থেকে নির্মিত হয়েছে- নাজমা, মানসম্মান, ভাত দে, দুঃসাহস, কন্যাদান, স্বামী কেন আসামীসহ ব্যবসাসফল ছবি।

চলচ্চিত্রের সফল নায়ক সালমান শাহর অকাল এবং আকস্মিক মৃত্যুর পর বিপর্যস্ত চলচ্চিত্রে শাবানা যখন হয়ে ওঠেন একমাত্র ভরসা তখন একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি ছেড়ে দেন অভিনয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত শাবানা ক্যামেরা থেকে দূরে সরে আছেন। শাবানার হঠাৎ স্বেচ্ছা নির্বাসনের কারণে আরো বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চলচ্চিত্র। কিছুদিন পর হঠাৎ করে মৃত্যু ঘটে শাবানার সফল নায়ক জসিমের। শাবানার অবর্তমানে রীতিমতো ছবিশূন্য হয়ে পড়েন তার অনেক ছবির সফল নায়ক আলমগীর।

এরই পরিণতিতে চলচ্চিত্রে নেমে আসে অশ্লীলতা। দর্শক হলবিমুখ হয়ে পড়েন। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো মান্নার অকাল ও আকস্মিক মৃত্যু বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে এনে দাঁড় করিয়ে দেয়। সেই একই অবস্থানে রয়েছে এক সময়ে সোনালি সময়কে ধারণ করা গৌরবময় চলচ্চিত্র।

সম্প্রতি শাবানা চলচ্চিত্র প্রযোজনায় ফিরতে চেয়েছিলেন।

নতুন আশা জেগেছিল চলচ্চিত্র শিল্পে। পরিচালক নারগিস আক্তার আর নায়ক শাকিব খানকে নিয়ে কলকাতার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার সেরা দুই নায়িকা কোয়েল মল্লিক এবং শ্রাবন্তী অভিনয়ে রাজি না হওয়ায় শাবানা ছবি প্রযোজনার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আমেরিকায় ফিরে যান সন্তানদের মাঝে। অভিনয় ছাড়ার পর থেকেই শাবানা সন্তানদের জন্য দেশ ছেড়ে আমেরিকায় থাকছেন। বছরে তিন-চারবার দেশে আসেন।

ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সবদিক দিয়ে পরিপূর্ণ একজন শিল্পী শাবানার জীবনে সবচেয়ে বড় অপূর্ণতা নারী জাগরণের অগ্রপথিক বেগম রোকেয়া চরিত্রে অভিনয় করতে না পারা। প্রয়াত চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্তের পরিচালনায় সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিতব্য বেগম রোকেয়া ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল শাবানার। ঘটা করে মহরতও হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন মহরতের প্রধান অতিথি।

কিন্তু শাবানার অভিনয় থেকে বিদায় নেবার কারণে অনিশ্চিত হয়ে যায় বেগম রোকেয়া ছবির ভবিষ্যৎ। পরিচালক সুভাষ দত্তের মৃত্যুর পর বেগম রোকেয়া ছবির সকল সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। চলচ্চিত্র বঞ্চিত হয় একটি ভালো ছবি পাওয়া থেকে। তারপরও একজন অভিনেত্রী হিসেবে শাবানার তুলনা শাবানা নিজেই। এর প্রমাণ বেগম রোকেয়া।

কারণ শাবানা অভিনয় থেকে বিদায় নেবার পর সুভাষ দত্তের মতো দিকপাল চলচ্চিত্রকারও এই ছবির জন্য শাবানার বিকল্প কাউকে খুঁজে পাননি। এখানে শাবানা অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং অতুলনীয়। আর এইসব যোগ্যতায় তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি এবং সম্রাজ্ঞী হিসেবে চিরদিনই সমাদৃত থাকবেন বলে পুরো চলচ্চিত্র শিল্প বিশ্বাস করে।



শাবানা অভিনীত ছবির তালিকা

১. চকোরী ২. জংলি মেয়ে ৩. ছোট সাহেব ৪. চাঁদ আউর চাঁদনী ৫. মুক্তি ৬. আনাড়ী ৭. ভাগ্যচক্র ৮. কুলি ৯. পায়েল ১০. সমাপ্তি ১১. ছদ্মবেশী ১২. বাবলু ১৩. মধুমিলন ১৪. একই অঙ্গে এত রূপ ১৫. মুন্নাআউর বিজলী, ১৬. ওরা ১১ জন ১৭. ওরাও মানুষ ১৮. চৌধুরী বাড়ি ১৯. সমাধান ২০. ছন্দ হারিয়ে গেল ২১. রাঙা বউ ২২. অবুঝ মন ২৩. স্বীকৃতি ২৪. বধুমাতাকন্যা ২৫. দস্যু রানী ২৬. অতিথি ২৭. ঝড়ের পাখি ২৮. আঁধারের আলো ২৯. দূর থেকে কাছে ৩০. উৎসর্গ ৩১. বিচার ৩২. গোপাল ভাঁড় ৩৩. ডাকু মনসুর ৩৪. বাদশা ৩৫. ভাইবোন ৩৬. মালকা বানু ৩৭. কার হাসি কে হাসে ৩৮. সাধু শয়তান ৩৯. সোনায় খেলনা ৪০. চাষীর মেয়ে ৪১. দুই রাজকুমার ৪২. আলোছায়া ৪৩. অনেক প্রেম অনেক জ্বালা ৪৪. আঁধার পেরিয়ে ৪৫. সন্ধিক্ষণ ৪৬. মায়ার বাঁধন ৪৭. জালিয়াত ৪৮. জয় পরাজয় ৪৯. ফেরারী ৫০. শাপমুক্তি ৫১. গরমিল ৫২. রাজরানী ৫৩. সেতু ৫৪. জীবন মরণ ৫৫. জীবন সাথী ৫৬. অনুরোধ ৫৭. আগুন ৫৮. মনিহার ৫৯. অমর প্রেম ৬০. অনুভব ৬১. লুকোচুরি ৬২. সাহেব বিবি গোলাম ৬৩. দোস্ত দুশমন ৬৪. দাতা হাতেম তাই ৬৫. জননী ৬৬. মনের মানুষ ৬৭. রাজ দুলারী ৬৮. অঙ্গার ৬৯. সোহাগ ৭০. সোহাগ ৭১. আসামী ৭২. বধূ বিদায় ৭৩. মধুমিতা ৭৪. অলংকার ৭৫. শাহজাদা ৭৬. তুফান ৭৭. ফকির মজনু শাহ ৭৮. অনুরাগ ৭৯. আয়না ৮০. কন্যা বদল ৮১. মাটির ঘর ৮২. জবাব ৮৩. চোখের মণি ৮৪. বারুদ ৮৫. ঘর সংসার ৮৬. সোনার চেয়ে দামী ৮৭. বন্দুক ৮৮. বদলা ৮৯. মাটির মানুষ ৯০. সাম্পানওয়ালা ৯১. অভিমান ৯২. বিজয়িনী সোনাভান ৯৩. দুটি মন দুটি আশা ৯৪. ঈমান ৯৫. সোনার হরিণ ৯৬. সখি তুমি কার ৯৭. লুটেরা ৯৮. আমির ফকির ৯৯. রাজনন্দিনী ১০০. স্মৃতি তুমি বেদনা ১০১. শেষ উত্তর ১০২. ছুটির ঘণ্টা ১০৩. ভাই ভাই ১০৪. ওমর শরীফ ১০৫. সংঘর্ষ ১০৬. বৌরানী ১০৭. আলিফ লায়লা ১০৮. অংশীদার ১০৯. বাদল ১১০. রাজার রাজা ১১১. পুত্রবধূ ১১২. মহানগর ১১৩. মাটির পুতুল ১১৪. ঘরনী ১১৫. বাঁধন হারা ১১৬. স্বামী ১১৭. কুদরত ১১৮. ভাঙ্গাগড়া ১১৯. আল্লাহ মেহেরবান ১২০. দুই পয়সার আলতা ১২১. সানাই ১২২. লাল কাজল ১২৩. কেউ কারো নয় ১২৪. সবুজ সাথী ১২৫. নালিশ ১২৬. রজনীগন্ধা ১২৭. লালু ভুলু ১২৮. বাসর ঘর ১২৯. মানসম্মান ১৩০. মেহমান ১৩১. অপমান ১৩২. ধন দৌলত ১৩৩. ঘরের বউ ১৩৪. নাগরানী ১৩৫. নাজমা ১৩৬. সময় কথা বলে ১৩৭. পরিবর্তন ১৩৮. হাসান তারেক ১৩৯. জালিম ১৪০. হিম্মতওয়ালী ১৪১. সালতানাত ১৪২. মহল ১৪৩. মায়ের আঁচল ১৪৪. গৃহলক্ষ্মী ১৪৫. সকাল সন্ধ্যা ১৪৬. নেমকহারাম ১৪৭. অন্যায় ১৪৮. ঘরে বাইরে ১৪৯. শক্তি ১৫০. সখিনার যুদ্ধ ১৫১. ভাত দে ১৫২. দরদী শত্র“ ১৫৩. অস্বীকার ১৫৪. মা ও ছেলে ১৫৫. কাবিন ১৫৬. আওয়ারা ১৫৭. আক্রোশ ১৫৮. অভাগী ১৫৯. শিরি ফরহাদ ১৬০. নিশানা ১৬১. উসিলা ১৬২. অশান্তি ১৬৩. চাঁপা ডাঙার বউ ১৬৪. দেশ বিদেশ ১৬৫. রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত ১৬৬. দিদার ১৬৭. সারেন্ডার ১৬৮. লালু মাস্তান ১৬৯. সন্ধি ১৭০. সন্ধান ১৭১. শশীপূন্ন ১৭২. অপেক্ষা ১৭৩. মহান ১৭৪. মিয়াবিবি ১৭৫. অমর ১৭৬. অবদান ১৭৭. অগ্নিকন্যা ১৭৮. স্বাক্ষর ১৭৯. কোহিনূর ১৮০. বউ শাশুড়ি ১৮১. বিধাতা ১৮২. গুনাহ ১৮৩. সত্যমিথ্যা ১৮৪. ব্যথার দান ১৮৫. রাঙা ভাবী ১৮৬. বিজয় ১৮৭. ভাইজান ১৮৮. বিজলী ১৮৯. ঘর ভাঙা সংসার ১৯০. প্রায়শ্চিত্ত ১৯১. মরণের পরে ১৯২. গরীবের বউ ১৯৩. স্বাধীন ১৯৪. মায়ের দোয়া ১৯৫. অকৃতজ্ঞ ১৯৬. স্ত্রীর স্বপ্ন ১৯৭. পিতামাতা সন্তান ১৯৮. স্বামীর আদেশ ১৯৯. কাজের বেটি রহিমা ২০০. অচেনা ২০১. ভাবীর সংসার ২০২. স্ত্রীর পাওনা ২০৩. স্বপ্ন ২০৪. টপ রংবাজ ২০৫. সান্ত¡না ২০৬. লক্ষ্মীর সংসার ২০৭. বিদায় ২০৮. দরবারে খাজা ২০৯. অন্ধ বিশ্বাস ২১০. ক্ষমা ২১১. সমর ২১২. ঘরের সুখ ২১৩. বন্ধন ২১৪. শ্রদ্ধা ২১৫. চোখের পানি ২১৬. মাস্তান রাজা ২১৭. শত্র“ ভয়ংকর ২১৮. অবুঝ সন্তান ২১৯. হিংসা ২২০. বাংলার বধু ২২১. ননদ ভাবী ২২২. রক্তনিশান ২২৩. ঝড় তুফান ২২৪. কালিয়া ২২৫. জজ ব্যারিস্টার ২২৬. ঘরের শত্র“ ২২৭. দুঃসাহস ২২৮. শাসন ২২৯. স্নেহ ২৩০. ঘাতক ২৩১. সবার উপরে মা ২৩২. বিদ্রোহী বধূ ২৩৩. চাকরানী ২৩৪. বাংলার নায়ক ২৩৫. ঘর দুয়ার ২৩৬. সংসারের সুখ দুঃখ ২৩৭. রাগ অনুরাগ ২৩৮. গৃহবধূ ২৩৯. গৃহযুদ্ধ ২৪০. ঘাত প্রতিঘাত ২৪১. তপস্যা ২৪২. বিদ্রোহী কন্যা ২৪৩. স্ত্রী হত্যা ২৪৪. বিশ্ব নেত্রী ২৪৫. বাংলার মা ২৪৬. অজান্তে ২৪৭. গরীবের সংসার ২৪৮. সুখের স্বর্গ ২৪৯. আখেরী মোকাবেলা ২৫০. সত্যের মৃত্যু নেই ২৫১. গরীবের ওস্তাদ ২৫২. মর্যাদার লড়াই ২৫৩. নির্মম ২৫৪. নিষ্ঠুর ২৫৫. দুর্জয় ২৫৬. স্বামী কেন আসামী ২৫৭. পালাবি কোথায় ২৫৮. মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা ২৫৯. ২০ বছর পর ২৬০. নীল সাগরের তীরে ২৬১. স্নেহের বাঁধন ২৬২. চির শত্র“ ২৬৩. নর পিশাচ ২৬৪. মেয়েরাও মানুষ ২৬৫. ভালোবাসার ঘর ২৬৬. অগ্নিসাক্ষী ২৬৭. মা যখন বিচারক ২৬৮. মিথ্যার মৃত্যু ২৬৯. দুই রংবাজ ২৭০. পরাধীন ২৭১. জিদ্দি ২৭২. একটি সংসারের গল্প ২৭৩. লাট সাহেব ২৭৪. জবাবদিহি ২৭৫. ঘরে ঘরে যুদ্ধ ২৭৬. বিসর্জন। (জুনিয়র শিল্পী হিসেবে শাবানার (রতœার) ছবি) ২৭৭. নতুন সুর ২৭৮. তালাশ ২৭৯. পয়সে ২৮০. সাগর ২৮১. আবার বনবাসে রূপবান ২৮২. ডাকু বাবু ২৮৩. ভাইয়া।



এক নজরে

পুরো নাম: আফরোজা সুলতানা

ডাক নাম: রত্না

জন্ম: ১৫ জানুয়ারি, ১৯৫২ জন্মস্থান: চট্টগ্রাম, রাউজান থানার ডাবুয়া গ্রামে

বাবা: ফয়েজ চৌধুরী (পরিচালক)

স্বামী: ওয়াহিদ সাদিক

প্রথম অভিনয়: নতুন সুর (১৯৬২)

প্রথম পরিচালক: এহতেশাম

প্রথম নায়িকা: চকোরী ছবিতে

প্রথম নায়ক: নাদিম

সন্তান: দুই কন্যা (সুমী ও উমি), এক পুত্র (নাইয়ান)

প্রযোজনা সংস্থার নাম: এসএস প্রোডাকশন

প্রথম প্রযোজিত ছবি: মাটির ঘর

অন্যান্য প্রযোজিত ছবি: লাল কাজল, মানসম্মান, নাজমা, শক্তি, ভাত দে, রাঙা ভাবী, রাজার মেয়ে বেদেনী, অন্ধ বিশ্বাস, অবুঝ সন্তান, দুঃসাহস, ঘাত-প্রতিঘাত, স্বামী কেন আসামী, মেয়েরাও মানুষ, স্বপ্নের পুরুষ।

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শাবানার ঝুলিতে

চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এখনো শাবানার ঝুলিতে। তিনি যে ৮টি ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সেগুলো হচ্ছে- সখি তুমি কার (১৯৮০), দুই পয়সার আলতা (১৯৮২), নাজমা (১৯৮৩), ভাত দে (১৯৮৪), অপেক্ষা (১৯৮৭), রাঙা ভাবী (১৯৮৯), মরণের পরে (১৯৯০) এবং অচেনা (১৯৯১)। এছাড়াও শাবানা ১৯৭৭ সালে ‘নাজমা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু সেটা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।



সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.