আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নো কান্ট্রি ফর উইমে! তসলিমা নাসরিন




তসলিমা নাসরিন
কুড়ি বছরের নির্বাসন জীবন আমি অনেক দেশে কাটিয়েছি। একেকটা দেশে জীবন একেকরকম ছিল। ভারতের জীবন ইওরোপ আমেরিকার জীবনের চেয়ে অন্যরকম। এ দেশে মাথার মূল্য ধার্য করা হয়েছে বেশ কয়েকবার, শারীরিক আক্রমণ করা হয়েছে, আমার বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সরকারী বেসরকারী সব ধরনের লোক আমার লেখালেখি পছন্দ হয়নি বলে মামলা করেছে, আমাকে রাজ্য থেকে এমনকী দেশ থেকেও একসময় তাড়ানো হয়েছে, আবার এ দেশেই আমার পাঠকসংখ্যা অনেক, এ দেশের লোকেরা আমাকে মেরে যেমন ফেলতে চায়, ভালোও বাসে। ভালো যারা বাসে তারা অতি সাধারণ লোক।

এ দেশে যেমন আনন্দ আছে, তেমন ভয়ও আছে। পাশ্চাত্যে কিছু নেই। না আনন্দ, না ভয়। থাকলেও এত তীব্র ভাবে নেই। এত ঝুঁকি নিয়ে কী কারণে এ দেশে থাকি, তা একজন জিজ্ঞেস করেছিল, আমি উত্তর দিয়েছিলাম, এখানকার গাছগুলোর নাম জানি বলে।

সত্যি কিন্তু।
এ দেশটা খুব নিজের নিজের বলে মনে হয়। এত যে ঘৃণা পেয়েছি, এত যে আঘাত, তারপরও। অনেকে জিজ্ঞেস করে, কী করে কাটাও দিন। দিন কেটে যায়।

হাজারো কাজ, করার সময় নেই। হাজারো বই, পড়ার সময় নেই। পড়তে গেলে লেখা হয় না, লিখতে গেলে পড়া হয় না। এত যে বই কিনেছি জীবনভর, পড়বো কবে, ভাবলে গা শিউরে ওঠে। এক জীবনে এত সম্ভব নয়।

জীবন যদি অন্তত দুহাজার বছর দীর্ঘ হতো। মাঝে মাঝে ভাবি জীবন ফুরোনোর কী প্রয়োজন, যখন যার মরতে ইচ্ছে হবে শরীরের কোনও একটা গোপন বোতামে টিপ দিলেই সে মরবে, আর যার ইচ্ছে হবে না মরতে, লক্ষ বছর বেঁচে থাকবে। বিজ্ঞান তো সেই কবেই অমরত্বের নানারকম উপায় আবিষ্কার করে ফেলেছে। কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে সেসব যে সম্ভব নয় তা তো জানি। মরে যাবো, তারপরও আমার খুব বাঁচার ইচ্ছে।

বিশ্বব্রহ্মান্ডে কত কিছু ঘটবে, এসব আর দেখতে পাবো না, ভাবতেই মন খারাপ লাগে।
ভারতবর্ষে ঘরে বসে লেখাপড়ার কাজটাই আমার মূল কাজ। তবে মূল কাজ বলেই যে সে কাজ সবসময় করি বা করতে ইচ্ছে হয়, তা তো নয়। ইওরোপ আমেরিকায় ঘরের কাজ সব একাই করতে হতো, এখানে না হয় ঘর মোছা, রান্না করা, বাসন মাজার জন্য লোক রাখা যায়। এতে হয়তো নিজের লেখালেখির জন্য সময়টা বেশি পাওয়া যায়।

কিন্তু চিরটাকাল তো কেবল লেখালেখি করতেই ইচ্ছে করে না। দিল্লিতে ঘরের বাইরে জায়গা বেশি নেই যাওয়ার। রাস্তায় হাঁটবো, বিশুদ্ধ বাতাস নেবো ফুসফুসে, ব্রডওয়ে মিউজিকাল দেখবো, লিংকন সেন্টারে যাবো, চমৎকার ক্যাফেতে বসবো, খুব ভালো কোনও রেস্টুরেন্টে খাবোথ সেই জীবন এখানে নেই। বাইরে বায়ুদূষণ, হেঁটে বেড়াবার উপায় নেই। বেরোলে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়ে যায়।

ভারতের বাইরে ঘন ঘন বাইরে যাওয়া হয়। প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে ইওরোপ আমেরিকায় যেতে হয়। মূলত মানবতা, নারী স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে বলার জন্য আমন্ত্রণ জোটে।
বক্তৃতা দিই, কিন্তু অনেকদিন কোথাও কবিতা পড়া হয় না। বাংলায় থাকাকালীন খুব হতো।

মাঝে মাঝে কলকাতার কিছু বাঙালি আসে আমার বাড়িতে, দিল্লির দুএকজন বাঙালিও আসে, তখন যদি কবিতার পরিবেশ আসে, কবিতা পড়ি। তা ছাড়া বিদেশে সাহিত্যের অনুষ্ঠানে ইংরেজিতে কবিতা পড়ার পাশাপাশি মাঝে মাঝে বাংলায় কবিতা পড়ি শুধু বিদেশিদের বাংলা ভাষার সুরটা শোনানোর জন্য, ওরা শুনতে চায় বলে। কবিতা দিন দিন জীবন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অনেকদিন পর এ বার একটা কবিতার বই করবো বলে ভেবেছিলাম। কবিতার সংখ্যা এত কম যে বইই হচ্ছে না।

কবিতা আসে না আজকাল। কবিতা আসার জিনিস, লেখার জিনিস নয়।
দিল্লিতে একটা জিনিস খুব হয়, খুব মাছ কেনা নয়। দেশি মাছ বিদেশে বরফায়িত অবস্থায় কিনতে হয়, এখানে তাজা। বাঙালির মাছ ভাত না হলে চলে না।

দিল্লি কলকাতা নয়। দিল্লির বাঙালি পাড়ায় মাছ মেলে বটে, কিন্তু সব মাছ মেলে না। দিল্লির বাঙালি পাড়াকে কলকাতার মানিকতলা, বা গড়িয়াহাট ভাবলে নিশ্চয়ই ভুল হবে। একবারে প্রচুর মাছ কিনে ফ্রিজে রেখে দিই। সেই মাছ ধীরে ধীরে খাওয়া হয়।

তবে আমি আর কত খাই। বেশির ভাগ সময়ই আমি খাওয়াই মানুষকে। কিছু কিছু মানুষ আছে অন্যকে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসে, আমি সেই জাতের মানুষ। ভালো ইলিশ কিনবো, চিতল চিংড়ি কিনবো তো একা খেলে আমার চলবে না। আমার মানুষ ডাকতে হবে।

সব খাওয়াতে হবে তাদের। আমার পাতে কিছু না পড়ুক কোনও ক্ষতি নেই। কলকাতায় যখন ছিলাম, আমার দরজা সকলের জন্য খোলা ছিল, যে কেউ আসতো খেতো, দুপুরের দিকে বা রাতের দিকে এসে, যত অনামন্ত্রিত লোকই হোক না কেন, আমার বাড়ি থেকে না খেয়ে যাবে এমন কখনও ঘটে না। কার কাছে শিখেছিলাম এমন আতিথেয়তা? নিশ্চয়ই মা'র কাছে।
অনেকে ভাবে আমার সংসার যেহেতু স্বামী সন্তানের সংসার নয়, নিশ্চয়ই আমি খুব একাকীত্বে ভুগি।

আমি একা থাকি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি একাকীত্বে ভুগি, এ কথা শতবার বোঝালেও লোকে বুঝতে চায় না। আমি লিখি, আমি পড়ি, আমি ভাবি, এ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় আমাকে। এসব নিয়ে কারও ব্যস্ত থাকার বিশেষ করে 'মেয়েমানুষের' ব্যস্ত থাকার কী আছে, বেশির ভাগ মানুষই বোজে না। লেখালেখির কাজ অর্থাৎ বুদ্ধির কাজ পুরুষদের মানায়, মেয়েদের নয়। আমি লিখছি, পড়ছি, বা ভাবছি বলে লোকে ততটা মুগ্ধ হয় না।

মুগ্ধ হয় যদি বলি আমি রান্না করছি। রান্না করাটাকে এখনও মেয়েদের সবচেয়ে বড় প্রতিভা বলে ভাবা হয়।
আমি যে রান্না একেবারে করি না তা নয়। করি প্রায়ই। বিশেষ করে খুব ভালো মাছ যদি হয়।

মাছ মাংস খাই বটে, শাক সবজি কিন্তু প্রচুর খাই। নিরামিষাশীরা যত শাক সবজি খায়, তার চেয়েও বেশী। শাক সবজি কিনি নিজের হাতে। এ শহরে সত্যি কথা বলতে কী মাছঅলা, সবজিঅলা, চাঅলা আমার বন্ধু। কলকাতাতেও ছিল, মাছঅলা, সবজিঅলা, ঝাঁকাঅলা।

ওরা দিদি দিদি বলে ঘিরে ধরে। আসলে সব সময় দেখেছি, দেশে বিদেশে সবখানে, সাধারণ মানুষই আমার বন্ধু। খুব বড় সড় লোকদের সঙ্গে আমার ঠিক বনে না।
কলকাতায় দিল্লিতে খুব পার্টি হয়, জানি। কলকাতায় কেউ কেউ আমন্ত্রিত করেছিল।

কিন্তু গিয়ে দেখেছি, ভালো লাগেনি। পার্টি ফার্টি আমার জন্য নয়। সকাল সকাল গিয়ে সকাল সকাল ঘরে ফেরার পক্ষপাতি আমি। কিন্তু ওরকম তো বাকিরা নয়। তারা বেশি রাত্তিরে পার্টিতে যায়, মদ্যপান করে, খেয়ে দেয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় ভোর করে ফেলে।

আমি মদ্যপান করি না, মাতালদের সঙ্গে যুক্তিহীন বুদ্ধিহীন কথাবার্তা চালিয়ে যেতে আমার ভালো লাগে না। দিল্লিতে আমার কোনও পার্টিতে ডাক পড়ে না। আমাকে ঠিক বড়লোকের বাড়িতে ইংরেজি বলিয়ে এলিট শ্রেণীর পার্টিতে মানায় না। আমাকে ঠিক মধ্যবিত্তদের সঙ্গেও যেহেতু মধ্যবিত্তের মানসিকতাটাই আমার নেই, মানায় না। বস্তিতেও ঠিক খাপ খাই না।

আমি কোনও শ্রেণীর মধ্যে আসলে পড়ি না। শ্রেণী ব্যাপারটিকেই পছন্দ করি না, কোনও শ্রেণীর চরিত্রও আমার মধ্যে, আমি লক্ষ করেছি, নেই। আমি বুঝি আমি শ্রেণীর বাইরের লোক, হবেই তো, আমি যদি ধর্মের বাইরের লোক হই, পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতির বাইরের লোক হই, তবে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমি সমাজের বাইরের লোক। সমাজের বাইরের লোক হিসেবেই আমি বেঁচে থাকি, যেখানেই থাকি। এ কিন্তু সহজ নয়।

এই বেঁচে থাকা। কিন্তু কঠিন কাজটিই করে যাচ্ছি প্রতিদিন।
দেশ থেকে কত দূরে, সমগ্র বাংলা থেকে দূরে। আৎদীয় স্বজন কেউ নেই। বন্ধুরাও নেই।

লেখালেখি সবসময় করতে ইচ্ছে করে না। বেড়ালটা কাছে থাকে। মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষের চেয়ে বেড়াল অনেক ভালো। আবার মানুষ পেতেও ইচ্ছে করে হঠাৎ হঠাৎ। যে কোনও মানুষ নয়, ভালো মানুষ, বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ।

যার সঙ্গে যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলা যায়। কিন্তু তেমন মানুষ কই। বেশির ভাগ মানুষ হয় ধর্ম বিশ্বাসী, নয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন, নারী বিদ্বেষী, পুরুষতান্ত্রিক, নয় স্বার্থপর, কূপম-ূক। এমন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয় বলে কথা বলে যাবো, তা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। সময় নষ্ট না করে বরং লেখাপড়া করা ভালো।

অথবা টুইট করা ভালো। টুইট করলে ভাবতে হয়। এক একটা টুইট হতে পারে এক একটা নিবন্ধ। টুইটারে বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় হয়, লক্ষ্য করছি, হাবিজাবি লোকের সঙ্গে বাস্তবে কথা বলে সময় নষ্ট করার বদলে সোশাল নেটওয়ার্কিং অনেক ভালো। অল্প সময়ে বিশ্বের অনেক খবরাখবর সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত জানা যায়।

নিজের মতও প্রকাশ করা যায়। কোনও সেন্সরশিপ নেই, নিষেধাজ্ঞা নেই। টুইটার ফেসবুক ব্লগ আমার জন্য খুব দরকারী কারণ আমার লেখা অহরহই নিষিদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে আমার মত, বেশির ভাগ সময়ে আর সবার চেয়ে যে মত ভিন্ন, ইন্টারনেটের বাইরে তা প্রকাশের কোনও জায়গা কোথাও নেই। কেউ লেখা ছাপাতে চায় না ভয়ে।

ছাপালে তাদের ভয়, সরকার রাগ করবে। কারণ সরকার সবসময় মুসলিম মৌলবাদীদের খুশি করতে চায়। আমাকে যেহেতু মৌলবাদীরা শত্রু বলে মনে করে, তাই আমার লেখা ছাপিয়ে তারা মৌলবাদীদের অতুষ্ট করতে চায় না। ব্লগ লিখছি ইংরেজিতে। নো কান্ট্রি ফর উইমেন।

বাংলাতেও লিখছি, নাম মুক্তচিন্তা। ব্লগগুলোই একমাত্র সেন্সরহীন চলছে। পত্রিকায় ছাপা হওয়া লেখাগুলো এরকম নয়। আজকাল আমাকে এই বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়, ধর্মের ধ-ও যেন কোনও লেখায় না থাকে। কোথাও ধর্ম নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যায় না।

কিন্তু ব্লগে এখনও অবাধ স্বাধীনতা। প্রতিদিনই টুইট করছি, প্রায় প্রতিদিনই ব্লগ লিখছি, প্রতি সপ্তাহে দুটো তিনটে কলাম লিখছি, মাঝে মাঝেই কবিতা লিখছি, মাঝে মাঝেই গল্প। কিছুদিন পর নতুন একটি উপন্যাস শুরু করবো। দিন কেটে যায়। রাত কেটে যায়।

টুইটের জন্য দুটো মামলা হয়ে গেছে। বিহারে, আর উত্তর প্রদেশে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার মানে কী তা এখানকার বেশির ভাগ মানুষ জানে না। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে আমার একটি মেগাসিরিয়াল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ পাঠিয়ে সরকার থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, টিভি চ্যানেল যদি এই মেগা সিরিয়াল প্রচার করে, তাহলে নাকি সর্বনাশ হয়ে যাবে।

সর্বনাশের ভয়ে চ্যানেল এখন আর সিরিয়াল দেখাচ্ছে না।
রাত জেগে লিখি। মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রায় চল্লিশটা বই লেখা হয়েছে, এবার বেরিয়ে পড়তে হবে পৃথিবীর পথে। বাকি জীবন ঘরে বসে বসে লিখলে জগতটা দেখা হবে না, হুট করে একদিন মরে পড়ে থাকবো। জগতের অনেকটাই বাকি আছে দেখা।

সেটুকু না দেখে মরে যাবো, ভাবতে পারি না। নিজের দেশ নেই। নিজের বাড়ি নেই। অন্যের ফ্ল্যাটে থাকি। যে কোনওদিন কেউ মেরে ফেলবে, অথবা যে কোনওদিন সরকার তাড়িয়ে দেবে।

জীবনের নিশ্চয়তা নেই। না থাকুক। যেখানেই থাকি, যে দেশেই, লিখবো মনের কথা। কারণ আমার কথাগুলো মেয়েদের প্রেরণা দেয় নিজের স্বাধীনতা আর অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার। জীবনের সার্থকতা তো এখানেই।

এক জীবনে অনেক পুরস্কার জুটেছে, অনেক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জুটেছে। আর কিছু চাই না। ঘৃণা যা পেয়েছি, পেয়েছি তা সত্যি ভালো কিছু কথা বলেছি বলেই। ধর্মীয় মৌলবাদী আর নারী বিরোধী অপশক্তির ঘৃণা পাওয়াটা খুব বড় পুরস্কার।
দিল্লি থেকে অন্য কোনও শহরে বা রাজ্যে যাওয়ার উপায় নেই।

নিষেধাজ্ঞা পায়ে পায়ে। কোথায় গেলে আবার কী দুর্ঘটনা ঘটে কে জানে। দিল্লিতে ভালো লাগার জায়গা খুব বেশি নেই। সবচেয়ে ভালো লাগে জনপথের কাছের রাস্তাগুলোয় বানরদের কলা খাওয়াতে। প্রচুর কলা কিনে নিয়ে খাওয়াই।

কী যে ভালো লাগে দেখতে ওদের সুখী মুখ। রাস্তায় ভিখিরি দেখলে কষ্ট হয়। ওদের টাকা পয়সা দিই। কিন্তু আমার টাকায় কি ওদের সবার দুর্দশা দূর হবে? স্বপ্ন দেখি সারা পৃথিবীর মানুষগুলো সবাই সুখে আছে, কারও অভাব নেই, কোথাও কোনও বৈষম্য নেই। স্বপ্ন দেখি দিন রাত।

মানচিত্রহীন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি। যার যা খুশি যেখানে খুশি চলে যেতে পারবে। আমার যদিও পায়ে পায়ে বাধা। দিল্লিতে চব্বিশ ঘণ্টা আমার জন্য পুলিশ পাহারা। পুলিশ পাহারা আমার ভালো লাগে না।

মানুষের ভালোবাসাই যদি হয়ে উঠতো আমার নিরাপত্তা!
এ শহরটায় থাকি, কিন্তু শহর বলতে বা দেশ বলতে আমার কাছে এখন আর ইট কাঠ পাথরের বাড়িঘর নয়, বা কোনও মানচিত্র নয়। দেশ বলতে বা ঘর বলতে আমি মানুষ বুঝি, যে মানুষগুলো আমাকে ভালোবাসে অথবা যে মানুষগুলোকে আমি ভালোবাসি।

বেঙ্গলি টাইমস/১২মার্চ ২০১৪/০৯:৩৩পিএম/টরন্টো/কানাডা
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।