আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিক্ষোভের ডাক

দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণসংহতি আন্দোলন শুক্রবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করবে।  

পরদিন বিকেল ৪টায় একই জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করবে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর পৃথক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে দলগুলো।

সিপিবি-বাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, “বিদ্যুৎখাতে সরকারের ভ্রান্তনীতি ও লুটপাটের দায় এভাবে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। ”

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৪টায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে তারা।

ওয়ার্কার্স পার্টির এক বিবৃতিতে দলের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ‘গণবিরোধী’ ও ‘ভুল’ বলে মন্তব্য করেন।  

তিনি বলেন, “সরকারের ভুল নীতির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বিপুল পরিমাণ বেড়ে গেছে। সরকারের এ ভুল নীতির খেসারত জনগণ দেবে না। ”

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জনগণের মতামত উপেক্ষা করে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় বিদ্যুতের দাম বাড়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও তা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করবো।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে খেলাফত মজলিস বলেছে, “সরকার দলীয় স্বার্থে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে নিচ্ছে। ”

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে গত সপ্তাহে গণশুনানি হয়। সে সময় কারওয়ানবাজারে বিইআরসি ভবনের সামনে বিদ্যুতের মূল্য না বাড়ানোর দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হয়।

বৃহস্পতিবারও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা’ বন্ধের দাবিতে গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার বলেন, “জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার বিদেশিদের খুশি করতে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চাইছে।

আগামী ১৬ মার্চ বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

সমাবেশে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতউল্লাহ বলেন, “কোন দেশ বা জাতিকে ধ্বংস করে দিতে হলে সে দেশের জ্বালানি শিল্পকে ধ্বংস করে দেয়াই যথেষ্ট। সরকার চায় না দেশ বাঁচুক, জনগণ টিকে থাকুক- তাই তারা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ‘পাঁয়তারা’ করছে। ”

বামমোর্চার নেতারা বিদ্যুতের দাম কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিলেও তা শোনা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

সমাবেশে মোশরেফা মিশু, জোনায়েদ সাকী, সাইফুল হক, আবুল হাসান রুবেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত জানুয়ারিতে নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিদ্যুতের দাম এবারই প্রথম বাড়ানো হল। আওয়ামী লীগের গত সরকারের আমলে খুচরা এবং পাইকারি পর্যায়ে ১১ দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১২ সালে সেপ্টেম্বরে খুচরা বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারির দাম ১৭ শতাংশ বাড়ানো হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.