আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টার্নি তো নয় যেন দালালির প্রশিক্ষন

একজন চরম বোরিং মানুষ, কোন এক্সসাইটমেন্ট নাই আমার মাঝে। চিল্লাপাল্লা ভালো লাগেনা।

ধরে বসে থাকবেন না যে, সকল ইন্টার্নিদের বলছি। নিজেকেই বলছি। ক্যাজুয়ালটি নাইট।

সকাল ৭ টা। রোগী আসলো। দেখলাম তার টিবিয়া ভাঙ্গা। আমার প্রথম কাজ এই ক্ষেত্রে এক্স রে করতে পাঠানো। নাহ ভুল বুঝলেন।

আমার প্রথম কাজ এই ক্ষেত্রে রোগীর লোককে বুঝানো-যে আমাদের এই নামকাওয়াস্তে মেডিকেল কলেজে এক্স রে টা পর্যন্ত এখন হয় না। দয়া করে কোন এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্সরে করে নিয়ে এসে-যদি চান যে এখানে এসে প্লাস্টার করবেন-তবে এসে আমাদের ধন্য করুন।
তাও ভালো এখন পপুলার সিটি স্ক্যান করতেছে-নইলে তো রোগী মাঝে মাঝে এ্যাম্বুলেন্স এই ঘুরে চলে যায়। আমাদের কাউন্সেলিং এ। ভাই এই তাবত বগুড়ায় সিটি স্ক্যান নাই-হয় আপনি রাজশাহী যান নয়তো খাজা ইউনুসে যান।

সিটি স্ক্যান দামি মেশিন। না হয় সহ্য হয়। সিটি স্ক্যান এর রোগীও বেশি না। দিনে ১০-১২ টা। কিন্তু ভাই ক্যাজুয়াল্টি এর রোগী মানেই তো ভাঙ্গাচুড়া থাকবেই।

দিনে ১০০-২০০ রোগী তো ভাই দালালি সহ্য হয় না।
ভেবে বসে থাকবেন না যে-আরে বাইরে পাঠান-টাকা পান। না ভাই-এই যে দিনে ১০-১২ টা সিটি স্ক্যান যায়-এক্টারো কোন টাকা পাই নি। বেসিকালি রোগী গুলা ফেরত আসেই কম। ওই পপুলার বা ডক্টরস এই ভর্তি হয়ে যায়।

আর আমার মেডিকেল এর সম্মানিত স্যার-অথবা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের পোয়াবারো হতে থাকে। প্লিজ প্লিজ প্লিজ আমাকে আর দালাল বানিয়েন না। মেশিন গুলা একটু ঠিক করুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।