আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ

নগরীর একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন মো. ফোরকান উদ্দিন কামরুল ইসলাম। তারা নগরীর ওমর গনি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। খুলশী থানাধীন ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে গতকাল তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুই সতীর্থের খুনের খবর পেয়ে এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ষোলশহর এলাকায় যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দীপকজ্যোতি খীসা জানান, ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মীকে হাত-পা বেঁধে, পায়ের রগ কেটে ও শ্বাসরোধে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের। কী কারণে তারা খুন হয়েছেন তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও রাজনৈতিক, আধিপাত্য বিস্তারসহ বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। শীঘ্রই মামলার ক্লু উদঘাটন করতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি। জানা যায়, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রথমে কামরুলের লাশ ও পরে ফোরকানের লাশ বের করা হয়। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ষোলশহর দুই নম্বর গেটের মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা নির্বিচারে গাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে। ছাত্রলীগের কর্মীরা এ সময় বাস, হিউম্যান হলার, ট্রাক, কার্গো ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশাসহ কমপক্ষে ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে। কামরুলের খালা রমিজা বেগম জানান, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কামরুল ও ফোরকান বহদ্দারহাট এলাকায় তাদের বাসায় যায়। এ সময় একটি ফোন এলে তারা তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যায়। এরপর সকালে খবর পাওয়া যায়, তাদের মেরে ফেলা হয়েছে। ফোরকানের মা খুরশিদা বেগম জানান, সকালে একজন তার মোবাইলে ফোন করে বলে, 'তোমার ছেলের লাশ ষোলশহর কবরস্থানের পাশে ট্যাংকের ভেতরে আছে। সেখানে যাও, লাশ নিয়ে আসো।' পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওমর গনি এমইএস কলেজে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ধারণা করছে, বিভিন্ন সময় সংঘর্ষের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। যে জায়গা থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয় সেটি সন্ত্রাসী, অপরাধীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত স্থানীয়দের কাছে। ওই জায়গায় এমইএস কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকার অপরাধীরা দিনে-রাতে আড্ডা দিত। রাতের বেলা ওই জায়গায় কিশোর-তরুণ বয়সী ছেলেরা বসে ফেনসিডিল, মদ খেত। প্রায় সময় ওই জায়গায় অপরাধীদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়া, মারামারি হতো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.