আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাইগারদের লড়াই শুরু

রাত জেগে হাজার মাইল দূরের 'এল ক্লাসিকো' ম্যাচ দেখেননি নিশ্চিত মুশফিক, সাকিবরা। রাত জাগার চেয়ে ঘুমিয়ে কাটানোই উত্তম মনে হয়েছে টাইগার ক্রিকেটারদের। ঘুমিয়ে রাত পার করলেও মিস করেছেন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ম্যাচ। চাপের মুখেও কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, কাল রিয়াল মাদ্রিদের বার্নাব্যুতে সেই অসাধ্য কাজটাই করে দেখিয়েছে বার্সেলোনা। মাথা ঠাণ্ডা রেখে চাপ সামলে উল্টো প্রতিপক্ষকে কীভাবে চাপের মুখে ফেলে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতে হয়, সেটাও করে দেখিয়েছেন লিওনেল মেসি। হোক এটা ফুটবল ম্যাচ, কিন্তু এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারতেন মুশফিকরা। কীভাবে চাপ সামাল দিতে হয়, কিংবা প্রতিপক্ষের উপর কীভাবে চাপ উগরে ফেলতে হয়_সবকিছুই ছিল দুই বিশ্বসেরা ফুটবল ক্লাবের লড়াইয়ে। বার্সা, রিয়াল দুই বিশ্বসেরা ক্লাবের ম্যাচ নিয়ে কথা বলার একটাই কারণ, হংকংয়ের বিপক্ষে হেরে এমন চাপে রয়েছেন যে মুশফিকরা, সেখান থেকে বেরুনোর রাস্তা খুঁজতে হচ্ছে তাদের। টি-২০ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেই নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া মুশফিকরা প্রেরণা নিতেই পারতেন 'এল ক্লাসিকো' থেকে। নতুন উদ্দীপনায় ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারতেন ময়দানি লড়াইয়ে।কাল ছিল দলের মূল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ২৭তম জন্মদিন। আগে হলে ঘটা করেই জন্মদিনটা পালন করতেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু তানপুরার তার ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ছন্দ হারিয়ে ফেলা টাইগাররা কাল কোনো অনুষ্ঠানই করেননি। যেনতেনভাবে জন্মদিনটা পালন করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ঘটা করে পালন না করলেও তার জন্মদিনের বড় উপহার ২৪ ঘণ্টা পর মুশফিকরা দিতেই পারেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয়োৎসব করে। স্যার গ্যারি সোবার্স, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, ব্রায়ান লারার দেশটির বিপক্ষে কিন্তু অতীতে প্রজাপতির ডানায় মেলে ভেসে বেড়ানোর রেকর্ড রয়েছে টাইগারদের। টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশ যে প্রথম জয় পেয়েছিল, সেটার প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৭ সালে ক্রিকেটের সংক্ষপ্তিতম আসরের প্রথম বিগ ইভেন্টটিতে ক্যারিবীয়দের ৬ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইট খেলেছিল টাইগাররা। এরপর অবশ্য টানা ১০ ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারের পঞ্চম আসরে বাছাইপর্বে আফগানিস্তানকে হারিয়ে হারের লাইনে যতিচিহ্ন বসিয়ে দিয়েছেন মুশফিকরা। পরের ম্যাচেও নেপালকে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে আনকোরা হংকংয়ের বিপক্ষে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। হেরে যায়। হারের পর চারদিক থেকে তীক্ষ্ন তীরগুলো এমনভাবে বিদ্ধ করছে মুশফিকদের, যার যন্ত্রণা কাটানোর মোক্ষম ওষুধ আজকের ম্যাচ। ক্রিস গেইলদের মতো মারকাটারি ব্যাটসম্যান থাকার পরও ম্যাচ জিততে মরিয়া টাইগার অধিনায়ক, 'আমাদের প্রথম টার্গেট ছিল সুপার টেন। সেটা নিশ্চিত হয়েছে। এখন সুপার টেনে ভালো খেলতে চাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমাদের সুখকর স্মৃতি রয়েছে। এবারও চাইব ভালো কিছু করতে।' ২০১২'র এশিয়া কাপের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলছিলেন মুশফিকরা। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে যেভাবে ছন্দ হারিয়ে ফেলে টাইগাররা, সেটা এখনো রয়েছে। যদিও টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছেন মুশফিকরা। হংকংয়ের সঙ্গে হারিয়ে ফেলেন ছন্দ। এটা ভুলে নিজেদের সেরাটা খেলতে চান ক্রিকেটাররা। আর সেটা শুরুর সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪৮ ঘণ্টা আগে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৭ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে নিয়েছে ভারত।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.