আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"জামাত বা হেফাজত বা জংগীবাদ শুধুমাত্র দেশপ্রেমের আবেগ দিয়ে না হবে না যুক্তি দিয়ে না করুন"



এটা ঠিক জামাত বা হেফাজত বা হিজবুত তাহিরি যারা করেন এবং যারা সর্মথন করেন তাদের বেশীরভাগ এবং প্রধান অংশটাই আসে দরিদ্র জনসংখ্যা থেকে । কেন আসেন তার অনেক গুলো বাস্তব কারন আছে সে বিষয়ে পরে আসছি। কিন্তু এই আলোচনাটা হওয়া খুবই জরুরি যে গরিব মানুষের অংশগ্রহন থাকা মানেই গরিব মানুষের রাজনিতী না। কিছু সংখ্যক বাম নামধারী ভাম কে দেখছি যেহেতু হেফাজত বা জামাত বা এই জংগী তৎপরতা গরিব মানুষগুলোকে কেন্দ্র করে এবং তাদের আশ্রয়েই হচ্ছে এটাকে গরিব মানুষের আন্দোলণ বা সমাজের নিগ্রিহীত নিশ্পেশিত অংশের আন্দোলন হিসেবে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করছেন। যে কোন আন্দোলন যখন সংগঠিত হয় তখন সেই আন্দোলনের স্বরুপ বা চরিত্র নির্ধারন করার সবচেয়ে সহজ পন্থা হচ্ছে একটি সরল প্রশ্ন করা " আন্দোলনের ফলাফল কাদের পক্ষে যাচ্ছে?" অথবা আরেকটু এগিয়ে প্রশ্ন করলে "সংগঠিত আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি?" বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধর্ম নিয়ে যে রাজনিতী চলছে চরম মূর্খেরও আর যাই হোক এটা বলার কথা না এটা গরিবের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলন অথবা গরিবের স্বার্থ রক্ষার রাজনিতী।

জনগন কে ধর্মান্ধ করার মধ্যে দিয়ে শাষকশ্রেনীর ফায়দালোটাটাই পক্ষান্তরে সহজ হয়। এটা ঐতিহাসিক সত্যি। এটা নিয়ে অন্তত একজন যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষের সন্দেহ থাকা উচিত না। ধর্ম আবেগের উপর নিভর্র্ করে দারায়। আর গরিবের রাজনিতী অথবা শোষীতের মুক্তি প্রতিটা ধাপ নির্মিত হতে হবে যুক্তির উপর ভর করে ।

নইলে এটা রোমান্টিসিজমের স্তরেই রয়ে যাবে। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ধর্মকে আশ্রয় করে যারা আন্দোলন সংগ্রম করেন তাদের ভূমিকাটা আসলে একটু ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। তারা যে স্তরেরই হোন না কেন এখন পর্যন্ত সমাজের কোন ধরনরে কোন প্রগতিতে তারা কোন ভূমিকা রাখতে পারেন নি। বরং পক্ষান্তরে প্রগতির বিরুদ্ধেই তাদের সবচাইতে বেশী দেখা গেছে। বিষয় টা যে তারা মানুষ বা সম্প্রদায় হিসেবে ভালো না তাই প্রগতিতে ভূমিকা রাখেন নি, এমন না ।

যে কোন প্রগতির বিরুদ্ধে অবস্থান এটা কিন্তু তাদের চেতনাগত অবস্থান । সচেতন ভাবেই তাদের দৃষ্টিভংগি তাদেরকে ঠেলে দেয় প্রগতি বিরোধি অবস্থানে। কারন কিন্তু খুব সহজ, আপনি যত আবেগ কে আশ্রয় করবেন আপনার দৃষ্টি ভংগি তত ক্লামজী হবে, অসপ্ষ্ট হবে। দৃষ্টিভংগি স্পস্ট হতে হলে, সত্যান্বেষী হতে হলে আপনি যুক্তিবাদী হতে বাধ্য। অর্থাৎ যুক্তিবাদী হওয়া ছাড়া আপনি সত্যের কাছাকাছি পৌছতে পারবেন না ।

"প্রেমে অন্ধ" শব্দটা কিন্তু এসেছে প্রেমে পড়ার যে তীব্র আবেগ আপনার দৃষ্টিভংগীকে অন্ধ করে দেয় তার থেকে। আর ধমের্র্ ক্ষেত্রে খোদা প্রেমই কিন্তু শুরুর কথা এবং শেষের কথা। এটি নিখাদ নিপাট আবেগ। এখেত্রে "বিশ্বসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর" - এটিই সত্যি। কাজেই আপনার উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক না কেন এই আবেগীয় দৃষ্টিভোংগী ব্যবহার করে আপনি যখন রাস্ট্র ব্যবস্থা, রাজনিতী, জনগন এরকম খটমটে যুক্তি নিভর্র বিষয়গুলো বিশ্লেষন করতে থাকবেন সেটা কখনই আপনাকে সঠিক যায়গায় পৌছাতে দেবে না ।

যার ফলাফল হিসেবেই আমরা দেখতে পাই ১ বৈশাখে বোমা হামলা, ড. হুমায়ূন আজাদ কে হত্যা, নারী নিতীর বিরোধিতা ইত্যাদি আরো অসংখ্য প্রগতিবিরোধী অবস্থান । একটা বিষয়ের কথা উল্লেখ করলে তাদের অবস্থান টা আরো পরিষ্কার হবে। বাংলাদেশে সংস্কারপন্থি আন্দোলনে এনজিও দের ভূমিকা কেউ অষ্মিকার করতে পারবে না । দেশর যতখানি উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে সেটা কিন্তু এমনি এমনি হয়নি এখানে এনজিওদের ভূমিকা অনষ্মিকার্য। এটা আমি এনজিওদের এজেন্ট হিসেবে বলছি না ।

বাম রাজনিতীতে বিশ্বাস করেও আমি এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি কারন আমি এনজিওদরে কাজ কাছ থেকে দেখেছি, জেনেছি, যুক্ত থেকেছি। সে যাই হোক আসল আলোচনায় আসি। আশির দশকে বাংলাদেশে যখন এনজিও মুভমেন্ট শুরু হয় তখন সবচেয়ে বেশী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এই সমস্ত ধর্ম প্রচারকগন। এনজিও কর্মীদের চুনকালি মাখানো থেকে শুরু করে শরিরীক ভাবে লাঞ্চিত করা, অফিস ভেংগে দেয়া থেকে শুরু করে যত ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যায় তা কিন্তু তারা করেছে। কোন না কোন বোধের যায়গা থেকেই তারা তারিত হয়ে এই কাজ গুলো করেছে।

এখন পর্যন্ত বাস্তবতা হচ্ছে নারী প্রগতির বিরুদ্ধে কারো যদি রুট পর্যায় কোন শক্ত অবস্থান থাকে তা এই সমস্ত ধর্মপ্রান ধর্ম ব্যাহারকারীদেরই । ১৯৭১ সালে যে অংশটা স্বাধনিতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের প্রধান মোটিভেশন কিন্তু ছিলো ধর্ম। কিন্তু তাইবলে শুধু স্বাধনিতার বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে বলেই তাদের রাজনিতি নিষিদ্দ হওয়া প্রয়োজন বিষয়টা কিন্তু এমন না । ধর্ম নিয়ে রাজনিতী করার মধ্য দিয়ে কেউ, কোন দেশে, কোন দিন কোন অবস্থাতেই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিতে পারে নাই । এটা ইসলাম, খৃষ্ট, হিন্দু কিংবা বৈাদ্ধিজম সব ধর্মের জন্যই সত্য।

প্রগতির জন্য চাই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভংগি যা ধর্ম দিতে পারে না ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.