আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃদুলকে অপহরণে র‌্যাবের ‘সম্পৃক্ততা নেই’

পুলিশ সদর দপ্তর গঠিত এই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন- চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ এবং র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. নাজমুল হাসান।

গত ২ মার্চ গঠিত এই কমিটি মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে। তিন পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে র‌্যাব বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।    

গত ১১ ফেব্রুয়ারি মৃদুল অপহৃত হলে তার পরিবার র‌্যাবের দিকে ইঙ্গিত তোলে। তবে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হওয়ার পর এই ব্যবসায়ী বলেন, অপহরণকারী কাউকে তিনি চিনতে পারেননি।

 

তদন্ত কমিটির প্রধান বনজ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অপহরণের ঘটনা হলেও এর সঙ্গে র‌্যাব বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

“আমরা র‌্যাব-৭ সদর দপ্তরে গিয়েছিলাম এবং সেখানকার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা এবং নিবন্ধন বই পর্যালোচনা করেছি। ”

“পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের নিবন্ধন বইও দেখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে এ ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ”

তদন্ত কমিটি স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুলের পাশাপাশি কয়েক মাস আগে তার করা মামলার আসামি র‌্যাব-২ এর মেজর রকিবুল আমিন এবং অপহরণের সময় প্রত্যক্ষদর্শীসহ আটজনের বক্তব্য শুনেছে।

 

পুলিশ কর্মকর্তা মজুমদার বলেন, “মৃদুল চৌধুরী আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে যা বলেছেন, তদন্ত কমিটিকেও একই বক্তব্য দিয়েছেন। ”

মেজর রকিবুল তদন্ত কমিটিকে বলেছেন, চট্টগ্রামের এই অপহরণের ঘটনার সময় তিনি তার কর্মস্থল ঢাকায় ছিলেন।

গত বছরের শেষ দিকে নিজের গাড়িচালক বাবুল পালকে দিয়ে ৮০ ভরি স্বর্ণ ঢাকায় পাঠান মৃদুল, যা র‌্যাব আটক করেছিল বলে মৃদুলের অভিযোগ।

ওই স্বর্ণ আর ফেরত না পাওয়ার পর মেজর রকিবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন মৃদুল। এই র‌্যাব কর্মকর্তা এক সময় চট্টগ্রামে ছিলেন।

ওই মামলাটি তদন্তাধীন জানিয়ে মজুমদার বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খতিয়ে দেখবেন।

ওই মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।

পুরাতন টেলিগ্রাফ রোড থেকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তুলে নেয়া হয় চট্টগ্রাম নিউ মার্কেটের দুলহান জুয়েলার্সের মালিক মৃদুলকে।

ঘটনার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের হুমকির মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার কংশ বাজার এলাকায় পাওয়া যায় মৃদুলকে।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।