আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সীমান্ত দিয়ে অবাধে তেল পাচার

সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেল ডিজেল। ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেলের দাম কম হওয়ায় চোরাকারবারিরা পাচার করে দিচ্ছে। গত বুধবার রাতে পাচারকালে সিলেট থেকে ডিজেলবাহী একটি ট্যাংক লরি আটক করে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। পরে ট্যাংক লরিটি পুলিশে হস্তান্তর করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পর এটি ছেড়ে দেয়। এর আগে গত ৩ মার্চ সিলেট সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ডিজেলবাহী আরেকটি ট্যাংক লরি আটক করে। এদিকে, সিলেট সীমান্ত দিয়ে জ্বালানি তেল ভারতে পাচার হলেও প্রশাসন অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ভারতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৭৬ রুপি (প্রায় ৯৭ টাকা)। বেশি দাম ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ডিজেল অনেক সাশ্রয়ী। এই সুযোগে বাংলাদেশ থেকে অবাধে পাচার হচ্ছে ডিজেল। তেল পাচারে গড়ে উঠেছে চোরাকারবারিদের একটি শক্ত সিন্ডিকেট। ঢাকা ও সিলেটের চোরাকারবারিরা মিলে এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। জানা গেছে, সিলেটের জাফলং ও তামাবিল সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি তেল পাচার হয় বলে জানা গেছে। পেট্র্রল পাম্প ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তেল পাচারের ব্যাপারে বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে, গত বুধবার রাতে পাচারকালে ডিজেলবাহী একটি ট্যাংক লরি পেট্রল পাম্প ব্যবসায়ীদের তথ্যের ভিত্তিতে আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুুলিশ। ওই ট্যাংক লরিতে প্রায় ৯ হাজার লিটার ডিজেল ছিল। তবে আটকের পর আপসরফায় পুলিশ ট্যাংক লরিটি ছেড়ে দেয়। পাম্প মালিকরা জানিয়েছেন, আটক হওয়া ট্যাংক লরিটিতে থাকা কাগজপত্র যাচাই করে দেখা গেছে লরিটি নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগর মেসার্স মাহাদী এন্টারপ্রাইজ থেকে ৯ হাজার লিটার ডিজেল নিয়ে সিলেটের সীমান্তবর্তী জাফলংয়ের মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজে যাচ্ছিল।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউশন এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ভারতে ডিজেলের দাম কম হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে তা পাচার হয়ে থাকে। জ্বালানি তেল পাচার হওয়ার বিষয়টি আমরা জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.