ক্রিস গেইলের উদযাপন দেখে মনে হলো যেন গতবারের মতো শিরোপাই জিতে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়সূচক রানটি আসার পরই দৌড়ে মাঠে ঢুকতে গিয়ে একবার পড়ে গেলেন। তারপর মাঠের ভেতরে এসে মেতে উঠলেন গ্যাংনাম নৃত্যে। উত্তেজনা চরমে উঠে গিয়েছিল বলেই হয়তো খুশির মাত্রাটা একটু বেশিই দেখা গেল গেইলের মধ্যে।
জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৪২ রান।
কঠিনই বলতে হবে সমীকরণটা। কিন্তু উইকেটে যথার্থ অধিনায়কের মতো ব্যাটিং করেই দলকে জয় এনে দিলেন ড্যারেন স্যামি। খেললেন ১৩ বলে ৩৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১২ রান উইন্ডিজ অধিনায়ক সংগ্রহ করেছেন টানা দুইটি ছয় মেরে। ১৭৯ রানের লক্ষ্যে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন দুই বল বাকি থাকতেই।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ উইকেটে জয়ের ভিত্তিটা অবশ্য গড়ে দিয়েছিলেন গেইলই। এর আগের দুইটি ম্যাচে গেইলের সেই ‘হাত খুলে মার’ দেখা যায়নি। ৩৩ বলে ৩৪ আর ৪৮ বলে ৪৮—এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও গেইল কেমন যেন অচেনা। তবে আজ শুরুতেই ঝড় উঠেছিল বামহাতি এই ওপেনারের ব্যাটে। ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে খেলেছেন ৫৩ রানের ইনিংস।
১৩তম ওভারের প্রথম বলে যখন সাজঘরে ফিরেছেন তখন স্কোরবোর্ডে যোগ হয়ে গিয়েছিল ১০০ রান। শেষ কাজটা স্যামি করেছেন লেন্ডল সিমন্স ও ডোয়াইন ব্রাভোর সহযোগিতায়। ২৬ রানের মূল্যবান এক ইনিংস এসেছে সিমন্সের ব্যাট থেকে। ১২ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন ব্রাভো।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসমানরা।
তবে রানের চাকা দ্রুত ঘুরলেও প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল অ্যারন ফিঞ্চ (১৬), ডেভিড ওয়ার্নার (২০) ও শেন ওয়াটসনের (২) উইকেট। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাক্সওয়েল অবশ্য বুঝতেই দেননি দ্রুতই তিনটি উইকেট হারানোর ধাক্কা। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় মেরে উইন্ডিজ বোলারদের ভালোই ভুগিয়েছেন। ১২তম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস। সেসময় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১০০ রান।
শেষদিকে বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখিয়েছেন ব্র্যাড হজ। খেলেছেন ২৬ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। সেই সঙ্গে জেমস ফকনারের ১৩ ও ব্র্যাড হাডিনের ১৫ রানের ইনিংসগুলোর সুবাদে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান জমা করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে রাজত্ব করেছেন স্পিনাররাই। দুইটি করে উইকেট গেছে মারলন স্যামুয়েলস, স্যামুয়েল বদ্রি ও সুনীল নারাইনের ঝুলিতে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।