আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফতোয়ার বিষয়ঃ বড়দিনে খ্রিস্টানদের প্রতি শুভেচ্ছা-জ্ঞাপন

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু। প্রশ্ন: খ্রিস্টানদের উৎসব-আনন্দে শুভেচ্ছা-জ্ঞাপন বা দুঃখবেদনায় সমবেদনা জানানো ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ কি-না? উত্তর: ইন্টারন্যাশনাল মুসলিম স্কলারস ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আবদুল্লাহ বিন বিহ বলেন, অমুসলিমদের প্রতি শুভেচ্ছা-জ্ঞাপনের ব্যাপারে মতবিরোধ আছে। কেউ কেউ একে বৈধ বলেন। শাইখ ইবনে তাইমিয়া একেই সমর্থন করেছেন সামগ্রিক কল্যাণের বিবেচনায়।

সেই অনুসারে খ্রিস্টানদের প্রতি শুভেচ্ছা-জ্ঞাপন বৈধ। এটি যেহেতু মতবিরোধপূর্ণ বিষয়, তাই এ নিয়ে মানুষের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি ও শত্র“তার প্রবণতা উষ্কে দেওয়া অনুচিত। ড. আবদুল্লাহ বিন বিহ-এর মতে, শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানের মূল্যবোধের প্রতি যাদের সমর্থন রয়েছে, সংঘাত-দ্বন্দ্বের প্রতি যাদের বিতৃষ্ণা রয়েছে, তাদেরকে বন্ধনে জড়িয়ে রাখাই কল্যাণধর্মিতা তথা সার্বিক মঙ্গল। আর বর্তমানের চাহিদা হল, মানুষকে যুদ্ধ-সংঘাতের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। তিনি আরো বলেন, কেউ কেউ কল্যাণধর্মিতাকে অনুভব করতে সক্ষম হন আবার অন্যরা তা পারেন না।

এ বিষয়ে সরাসরি কোনো নিষেধের প্রমাণ তা থাকায় শুভেচ্ছা-জ্ঞাপনকে বারণ করায় কোনো সম্মতি নেই তাদের। বরং তারা হৃদয়কে প্রশস্ত করার আবেদন জানান। কারণ, আমাদের মুসলিম-বিশ্বে মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে অনুদারতা একটি বড় সমস্যা। তিনি বলেন, আমরা সবাইকে মতবিরোধ ও এর কারণ সম্পর্কে জ্ঞান-অর্জন করার উপদেশ দিই। মতবিরোধের পেছনে অনেক রকমের উপাদান রয়েছে: যেমন- কুরআন-হাদিসের সরাসির প্রামাণিকতা, ভাবার্থের বোধগম্যতা এবং অর্থপ্রকাশের মাত্রা।

ড. আবদুল্লাহ বিন বিহ এখানে রাসুল সা. কর্তৃক ‘হিলফুল ফুজুল’ এর পক্ষে সমর্থনের বিষয়টি টেনে আনেন। কারণ এ চুক্তি তো জাহিলিয়া সময়ে তথা নবুয়তের পূর্বেই ঘটেছিল। রাসুল সা. এ বিষয়ে বলেন, “আবদুল্লাহ বিন জাদআনের ঘরের প্রতিজ্ঞা-সমাবেশে আমি উপস্থিত ছিলাম। ইসলামের এ সময়েও যদি এমনতর কোনো আহ্বান পাই, আমি সাড়া দিতে প্রস্তুত। হকদারের কাছে সকল প্রাপ্য ফিরিয়ে দেওয়া এবং মজলুমের বিরুদ্ধে জালিমকে সাহায্য না করার পণ করেছিলেন তারা।

” তেমনই অধিকাংশ মুফাসসিরিন (“তোমরা তাকওয়া ও সৎ কাজে পরস্পরে সাহায্য করো। ” আল-মায়িদা-২) শীর্ষক আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন যে, তা শুধু মুসলমানদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। কারণ, এ আয়াতের পূর্বে বলা হয়েছে, (“কোনো জাতির অপরাধ বা সীমালঙ্ঘন যেন তোমাদেরকে অন্যায্যতার প্রতি উদ্বুদ্ধ না করে। তোমরা ন্যায়াচরণ করো। এটাই তাকওয়ার অধিকতর কাছাকাছি।

” আল-মায়িদা-২) তাই মুসলমান হিসাবে আমাদের দায়িত্ব হল এর সকল অর্থকে আত্মস্থ করা। তবে এর মানে এ নয় যে, নিজের ধর্ম থেকে আমাদের বিচ্যূত হতে হবে। যে নিজের ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে খ্রিস্টানদের শুভেচ্ছা জানায়, তার ব্যাপারে ড. আবদুল্লাহ বিন বিহ-এর কোনো সমর্থন নেই সূত্রঃ Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।