আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাপার ফন্ট বদলেই বছরে ৪০ কোটি ডলার সাশ্রয়!

নথিপত্র ছাপানোর সময় কেবল ছাপার জন্য বর্ণের ‘ফন্ট’ বা ‘লিপি’ বদলে ফেললেই বছরে ৪০ কোটি ডলার খরচ কমে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলোর। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক কিশোর সম্প্রতি অঙ্ক কষে এই হিসাব বের করেছে। সুবীর মিরচান্দানি নামের ওই কিশোর দেখিয়েছে, কীভাবে সরকারি নথিপত্র হালকা-পাতলা ‘গ্যারেমন্ড’ লিপিতে ছাপলে কালির খরচ কমে গিয়ে বছরে এই সাশ্রয় হতে পারে। দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

পিটসবার্গের নতুন স্কুলে পড়তে এসে শিক্ষক আর স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নানান বিষয়ে একের পর এক কাগজপত্র পেয়ে রীতিমতো অস্থির হয়ে উঠেছিল সুবীর।

এ সময় তার মনে হয়, কাগজপত্র ছাপাতে কি টাকা লাগে না! আর এ নিয়ে ভাবতে ভাবতেই সে জানতে পারে ছাপার খরচের ৬০ ভাগই ব্যয় হয় কালির জন্য। অর্থাত্ কালির পরিমাণ কমাতে পারলে ছাপার খরচও কমবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় লেখাগুলো তো ছাপতেই হবে। তাহলে উপায় কী?

উপায় একটা আছে। অন্যান্য ছবি-টবি বাদ দিলেও প্রয়োজনীয় লেখাগুলো ছাপানোর সময় যদি এমন একটা ফন্ট বা লিপি বেছে নেওয়া হয় যা অপেক্ষাকৃত হালকা-পাতলা তাহলেই কালির পরিমাণ কমে যায়।

একটা পৃষ্ঠা ছাপার ক্ষেত্রে এই পার্থক্য খুব সামান্যই। কিন্তু শত-লাখ বা শত-কোটি পৃষ্ঠার হিসাবে ওই পার্থক্য হয়ে ওঠে বিপুল পরিমাণ কালির। বিভিন্ন ধরনের লিপিতে কালির খরচ কতটা কমে বাড়ে এই সূত্র ধরেই সুবীর এগোতে থাকে।


সুবীর দেখতে পায়, ১৬ শতকে ফরাসি প্রকাশক ক্লদ গ্যারেমন্ডের প্রবর্তিত ‘গ্যারেমন্ড’ লিপিটি খুবই হালকা-পাতলা ধরনের। ছাপার নথিপত্র এই লিপিতে লিখলেই তার স্কুল-জেলার বার্ষিক ছাপার খরচ প্রায় ২৪ ভাগ কমে যায়।

আর এতে খরচ কমে বছরে প্রায় ২১ হাজার ডলার। সরকারি নথিপত্রের পরিমাণ আর ছাপার খরচের পরিসংখ্যান নিয়ে অঙ্ক কষতে বসে সুবীর। সে দেখতে পায়, গ্যারেমন্ড লিপিতে ছাপলে বছরে প্রায় ৪০ কোটি ডলার খরচ কমাতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো মিলে।

এর আগেও কাছাকাছি কিছু গবেষণায় সরকারি নথিপত্র ছাপার খরচ কমানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু দিন দিন আরও বেশি প্রযুক্তি-নির্ভরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই তো বলছেন খরচ কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ছাপাছপির কাজটাই পুরোপুরি বাদ দেওয়া এবং সব খানে ইলেকট্রনিক পদ্ধতির প্রবর্তন।

অবশ্য এই বিতর্ক উঠতেই পারে, কাগজ তৈরি এবং ব্যবহার আর সবকিছু ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে রূপান্তরের মধ্যে পরিবেশ-প্রকৃতির জন্য কোনটা বেশি ক্ষতিকর, কোনটা উপকারী।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।