আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বদহজম সারাতে ভারতীয়দের মমতা সিরাপ

মোদী চা আর রাহুল দুধের পর এবার ভারতের বাজারে আসছে মমতা সিরাপ। বদ হজম, বুক জ্বালা, অম্বল উপশমে এবার মিলবে মমতার ছোঁয়া। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার আগেই ‘মমতাজাইম’ নামে এ ওষুধ বাজারে আনতে যাচ্ছে একটি ওষুধ কোম্পানি!

এর আগে কোম্পানিটি নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধীর নাম ওষুধের সঙ্গে জুড়ে দেয়। এতে পকেটে মুনাফাও ভালোই লাফিয়ে লাফিয়ে ঢুকতে থাকে। এটা দেখেই এবার মমতার নামে ও্ষুধ বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানটির।

রাহুল ও মোদীর নামে দু’টি নতুন ওষুধ ‘রাগাফ্লেম’ এবং ‘নমোনি’ ভারতের বাজারে সুপারহিট বলেই ওই প্রতিষ্ঠানের দাবি। এ বার পশ্চিমবঙ্গের বাজারে মমতার নামে হজমের ওষুধ আনার জন্য লাইসেন্স চেয়ে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। ‘মমতাজাইম’ নামে সেই ওষুধের লোগো তৈরির কাজও শেষ।

তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এমন উদ্যোগকে খুব ভাল চোখে দেখছেন না। দলীয় সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের বক্তব্য, “বিষয়টি অস্বস্তিকর।

এর নৈতিকতা এবং আইনি দিকগুলি আমরা খতিয়ে দেখব। ” তার দাবি, ‘রাগা’ এবং ‘নমো’ কারও আসল নাম নয়। কিন্তু ‘মমতাজাইম’-এর মাধ্যমে তৃণমূল নেত্রীর নামই তুলে আনা হচ্ছে। এটা মানা যায় না।

রাহুল ও মোদীর নামে যে দু’টি ওষুধ ইতিমধ্যেই বাজারে এসেছে, সেই ‘রাগাফ্লেম’ এবং ‘নমোনি’, দু’টোই প্যারাসিটামল গোত্রের ওষুধ।

অর্থাৎ জ্বরজ্বারি-ব্যথাবেদনায় সাধারণভাবেই যার ব্যবহার, সর্বদা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের উপর নির্ভরশীল নয়। প্রস্তাবিত ‘মমতাজাইম’ও সাধারণ অম্বল-গলাবুক জ্বালায় ব্যবহার্য ওষুধ হিসেবেই বাজার পেতে চাইছে।

সংশ্লিষ্ট সংস্থার ডিরেক্টর নভোনীল জৈনের দাবি, গত সপ্তাহে ‘রাগাফ্লেম’ এবং ‘নমোনি’ দু’টি ওষুধই গোটা দেশে ২০ লাখ করে বিক্রি হয়েছে। যেটা যে কোনো নতুন ব্র্যান্ডের পক্ষেই বড় নজির। বিভিন্ন হোলসেলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে আগামী দেড় সপ্তাহের জন্য যে অর্ডার তারা পেয়েছেন, তা ৪০ লাখের কাছাকাছি।

জৈন-এর মতে, “আমি এর আগেও অন্যান্য সংস্থার প্রধান হিসেবে অনেক বড় বড় ওষুধের ব্র্যান্ড বাজারে এনেছি। কিন্তু এমন অভূতপূর্ব সাড়া পাইনি। ”

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।