আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাগেরহাটে ব্রীজ ধসে ১০ গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কতৃপক্ষের গাফিলতি ও দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় অবশেষে বাগেরহাট শহর সংলগ্ন পুটিমারী নদীর ব্রীজটির একটি গার্ডার নদী গর্ভে ধসে পড়েছে।

আজ সকালে হঠাৎ করে গুরুত্বপূর্ন এ ব্রীজটি ধসে পড়ায় রাধাভল্বব, কাঠুয়া, গোমতি, গুজিহাটি,বাশবাড়িয়া, পঞ্চমালাম, ডেমাসহ ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের জেলা শহরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এদিকে ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ার এলাকাবাসী দুপুরের দিকে বাগেরহাট এলজিইডি কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে প্রতিবাদ জানায়।

বাগেরহাট শহরের প্রানকেন্দ্র বিসিক শিল্পনগরীর পাশে দিয়ে প্রবাহিত পুটিমারী নদীর উপর  ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে ব্রীজটি নির্মিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর আগে নির্মিত এই ব্রীজটির মাঝের একটি অংশ দুই বছর আগে ভেঙ্গে নদী গর্ভে ভেঙ্গে পড়ে।

এ অবস্থায় স্থানীয় কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই স্থানে কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল উপযোগী করা হয়। সেই থেকে ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বাগেরহাট জেলা শহরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্রীজটি পার হতো। প্রায়শই ব্রীজটি পার হতে গিয়ে দুর্ঘটানার শিকার হতো স্কুল কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রীসহ পথচারীরা।

কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলাম জানান, ইতিপূর্বে জনগনের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে পুটিমারী ব্রীজটি পূর্নঃ নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) অবহিত করা হয়। তবে কতৃপক্ষ দীর্ঘদিন পরেও এবিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় ব্রীজটির একটি গার্ডার আজ ধ্বসে পড়ে।

এই ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী দুপুরে বাগেরহাট এলজিইডি ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে কতৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতি ক্ষুব্দ এলাকাবাসি এলজিইডি ভবন ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকেৌশলী শাহবুদ্দিন জানান, ভেঙ্গেপড়া ব্রীজটি নির্মানে আগামী ১ মাসের মধ্যে টেন্ডার আহবান করা হবে।

এবিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম এহতেশামুল হক বলেন, ভেঙ্গেপড়া ব্রীজটি পুর্নঃনির্মান না হওয়া পর্যন্ত বাশের সাকো নির্মান করে জনসাধারনের চলাচল উপযোগী করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।