আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলম যোদ্ধা এবিএম মুসা

এ বি এম মুসা একজন নির্ভিক সাংবাদিক। অন্যায়ের সাথে মাথা নত না করা এক সৈনিক। সবার কাছে মুসা ভাই। সাংবাদিকতায় একটা বিষয় আছে আপনার বয়স যতই হোক না কেন আপনি সবার ভাই। এই পেশায় কাউকে স্যার ডাকতে হয়না।

পৃথিবী থেকে মানুষ চলে যাবার জন্যই আসে। সবাই যায় তবে কেউ কেউ মরে গিয়েও অমর হয়ে থাকে। এক জন সাংবাদিকতার ছাত্র হিসেবে এবি এম মুসা আমাদের কাছে অনুসরনীয় আদর্শিক জন হিসেবে পরিচিত। পুরো নাম আবুল বাশার মোহাম্মদ মুসা। জন্ম ১৯৩১ সালের ২৮ ফ্রেব্রুয়ারী ফেনি জেলার ছাগলনাইয়া থানার কুতুরপুরে।

বাবা তথকালিন ডেপুটি মেজিট্রেট আলী। মা মাজেদা খাতুন। তরুণ বয়স থেকেই তিনি রাজনৈতিক ভাবে সচেতন ছিলেন। ছোট বেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাস গড়ে উঠে। জীবনের বাস্তবতা গুলোকে তিনি কাছ থেকে লিখেছেন।

তার লেখালেখির অভ্যাস গড়ে উঠে সাপ্তাহিক ‘কৈফিয়াত থেকে। তিনি সাপ্তাহিক সংগ্রামের নিয়মিত লেখালেখি করতেন। ১৯৫০ সালের দিকে ঢাকায় এসে ইনসাফ পত্রিকায় তিনি সহ সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার পর তার জীবনের গল্প শুধুই সাফল্যের কথা বলে। সেবছরই তিনি পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় কাজ নেন।

তখন তিনি ভাষা আন্দোলনের পক্ষে প্রচুর লেখালেখি করেন। পরর্তিতে পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৫২ সালে এবিএম মুসা দৈনিক সংবাদ এ যোগ দেন। তার মেধার জোরে তিনি পরর্তিতে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে তিনি কমনওয়েলথ প্রেস ইনিস্টিটিউট থেকে স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনে সাংবাদিকার ওপরে ডিপ্লমা ডিগ্রি নেন।

৬০ দশকে তিনি বাংলাদেশের প্রত্রিকার পাশাপাশি বিবিসি ,লন্ডন দ্যা টাইমস ,নিউইয়ার্ক টাইস ,ইকোনোমিস্টের মত আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে কাজ করেছেন । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা তার মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক গনমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে তার কলম সব সময় সজাগ ছিল। ১৯৭৫ সালে তিমি সানডে টাইম পত্রিকার রির্সাচ ফেলো পদে নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৮ সালে এ বি এম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে তিনি কলামিষ্ট হিসেবে ভোরের কাগজে আর্ভিবাভ হন। ৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখ বুধবার দুপুর সোয়া একটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৩ বৎসর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। ২৯ শে মার্চ তাঁকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অবস্থার অবনতি হলে ৭ এপ্রিল দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে তাঁকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হতে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ৯ এপিল ২০১৪ দুপুর একটা ১৫ মিনিটে এবিএম মূসার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা খুলে ফেলা হয়।

কয়েক বৎসর যাবৎ তিনি নানাবিধ বাধর্ক্যজ্বনিত রোগে ভুগছিলেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের শেষ ভাগে তিনি মাইলোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোম আক্রান্ত হন। এর ফলে তাঁর অস্থিমজ্জা বিনষ্টিতে আক্রান্ত হয়। এটি ক্যানসারের ন্যায় প্রাণহারী ব্যাধি। ।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।