আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এঁটো খাবারের রেঁস্তোরা

বিশ্বে কত মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে ঘুমাতে যায়; কত মানুষ ক্রনিক অনাহার ও অপুষ্টিজনিত রোগে মারা যায় তার কোনও লেখাজোখা নেই। অথচ এমন অসংখ্য মানুষ আছে যারা প্রতি বেলায় যত বাড়তি খাবার ফেলে দেয় তা দিয়ে অনাহারীদের একটা বড় অংশ উদরপূর্তি করতে পারে।

এই অমানবিক অপচয়ের অভিনব প্রতিবাদে এক মহান উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি রেস্তোরাঁ। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিডস শহরে গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁটির নাম 'দ্য রিয়াল জাঙ্ক ফুড প্রজেক্ট'।

শহরের অন্যান্য রেস্তোরাঁগুলোতে খদ্দেররা যে বাড়তি খাবার বা এঁটো টেবিলে ফেলে রেখে যান, যেসব এঁটো দান করা হয় এই রেস্তোরাঁকে। আর বিভিন্ন সুপার শপ আগে যেসব বাড়তি শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংস ফেলে দিত, তারাও সেসব এখন পাঠিয়ে দেয় এ রেস্তোরাঁয়। আর এসব দিয়েই তৈরি হয় এখানকার খাবার।

সপ্তাহে পাঁচদিন মূলত সকালের নাশতা আর রাতের খাবারই তৈরি করা হয়ে থাকে এখানে। নির্দিষ্ট কোনো মেন্যু নয় বরং বৈচিত্র আনতে প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে।

তবে প্রতিদিনই সবজি ও মাংসের কোনো না কোনো আইটেম থাকেই।

মজার বিষয় হচ্ছে, এ রেস্তোরাঁর খদ্দেররা খাওয়া শেষে নিজেদের সামর্থ্যমতো বিল দেন। অর্থাৎ, এখানে খাবার খাওয়ার জন্য ধরাবাধা কোনো বিল চাপিয়ে দেয়নি মালিক পক্ষ।

পাচক (শেফ) এডাম স্মিথ গত ডিসেম্বরে এই রেস্তোরাঁ চালু করেন। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, এ বছরের মধ্যে তারা কমপক্ষে এক টন খাবার অপচয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.