আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪৬৩ তে ই দাড়ি টানলেন শচীন........

আরও নাড়ু চাই আমার ক্রিকেট নিয়ে একটা দুর্বল অবস্থান ছিল এবং আছে। যতদূর মনে আছে খুব ছোটবেলা থেকেই এর প্রতি আমার এবং আমার ছোটভাইয়েরও প্রচণ্ড ঝোঁক । খুব খেলতাম দুইভাই মিলে। ক্লাস ফাঁকি দেওয়া ছিল আমাদের নিত্যদিনের কাজ। তখন আকরাম খান, নান্নু, দুর্জয় তাদের খেলা দেখার তেমন সুযোগ ছিল না।

তখন টিভি তে খবরের শেষে খেলার নিউজ এ কিছু দেখতাম। তবে টিভি তে প্রথম যার খেলা দেখে অনুপ্রানিত হয়েছিলাম সে আর কেউ নয় স্যার শচীন রমেশ টেনডুলকার (God of cricket)। ছোটবেলায় আমার কাকার মুখে খুব শুনতাম শচীন সম্পর্কে, আজ শচীনএর খেলা আছে ইত্যাদি। কাকা আমাদের দুইভাইকে পড়াতেন, সুতরাং কাকা খেলা দেখবেন মানে আমাদের ছুটি । খুব চাইতাম প্রতিদিন যেন শচীনএর খেলা হয় ।

একসময় নিজেই এর ভক্ত হয়ে গেলাম। তখন সীধু আর শচীন ওপেন করতো, আমার যতটুকু মনে পড়ে সেই থেকেই আমি শচীনের খেলা দেখি। পাগল ছিলাম এক প্রকার ক্রিকেট আর শচীনকে নিয়ে। কতো কার্ড, স্টিকার কিনতাম শচীনের। অনেক emotion ছিল এই খেলা নিয়ে, যা ই টুক টাক খেলতাম, তবে ব্যাটিং করতে চেষ্টা করতাম শচীনের মতো করে।

হয়তোবা ভালো খেলতাম না তবে স্টাইল কিন্তু খুব ভালো ছিল আমার, কারণ আমি হুবাহু নকল করতে চেষ্টা করতাম শচীনের। আমি যতটুকু ইন্ডিয়ার খেলা দেখি তার পুরা টুকুই শচীনের খেলা, সে আউট তো শেষ আমার খেলা দেখা। আগে যা একটু সাপোর্ট করতাম শচীনের জন্য, আজ থেকে তাও আর রইল না। দুঃখিত ইন্ডিয়া.................. আসলেই খুব খারাপ লাগছে এই ভেবে যে, ক্রিকেট এর এই মহান মানুষটির ওয়ান ডে খেলা আর দেখব না, আর খেলা হবে না তার ৪৬৪ তম ম্যাচ,সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি তার রেকর্ড বইতে থাকবে না। তার ৪৪.৮৩ গড়ে ১৮,৪২৬ রান স্থির হয়ে থাকবে রেকর্ড বইতে আজ থেকে।

যে এতো বছর ধরে করে গেছে আমাদের এন্টারটেইন, তার বিদায়বেলা টুকু যেন খুব অমসৃণ/ঝাপসা মনে হল। এতো শান্ত প্রকৃতির ও ব্যক্তিত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আমি আর কোথায়ও দেখি নাই। অনেকে আছে ইন্ডিয়ান টিমকে পছন্দ করে না, কিন্তু শচীন এর বাইরে অবস্থান করে তাদের কাছে ও। তাই আমার মনে হয় যারা কখনও ক্রিকেট খেলেছে অথবা এই খেলাটাকে পছন্দ করে,তারা সবাই একটু হলেও ব্যথিত। হয়ত কিছুদিন পর মানুষটি হারিয়ে যাবে, কিন্তু রয়ে যাবে তার কীর্তি।

সম স্বীকৃতঃ মোঃ আবু জাফর এবং তনয় নন্দী ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।