আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ প্রদান করা হবে পদাতিকের সৈয়দ বদরুদ্দীন 

সপ্তাহ আগে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ভিনগ্রহের লিওনেল মেসিকে দেখেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। বাঁ পায়ে জাদুকরি ফুটবল খেলে এফোর-ওফোর করে দিয়েছিলেন 'গ্যালাকটিকো'দের হৃদয়। হ্যাটট্রিক করেছিলেন ওই ম্যাচে বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা। পরশু রাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে সেই মেসিকেই লড়তে হলো ছায়ার বিপক্ষে। পুরো ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া যায়নি চারবারের বিশ্বসেরা ফুটবলারকে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ের দ্বিতীয় লেগে পরশু মেসির বর্ণহীন ফুটবল বিবর্ণ করেছে বার্সেলোনাকে। এই সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ১-০ গোলে হারিয়ে ১৯৭৪ সালের পর আবারও জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে। দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ জিতেছে ২-১ গোলে। একই দিন অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে ইংলিশ জায়ান্ট মানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে পেপ গার্ডিওলার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্ন জিতেছে ৪-২ গোলে।

প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পে অ্যাথলেটিকোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বার্সেলোনা। আসলে তখনই নিজেদের কফিনে পেরেক ঠুঁকে নিয়েছিল লা লীগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় লেগ ছিল ক্রমশ শক্তিধর হয়ে উঠা দিয়াগো সিমিওনের অ্যাথলেটিকোর মাঠে। কাল খেলতে নেমে এক গোলে জয় পেয়েছেন ঠিক ডেবিড ভিয়ারা, কিন্তু দুর্ভাগ্য সঙ্গী হওয়ায় বড় ব্যবধানে জিততে পারেনি দলটি। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে কোকের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিকো।

ম্যাচের ওটাই একমাত্র গোল। তবে ১৯ মিনিটের মধ্যে গোলসংখ্যা আরও তিনটি হতে পারত। যদি না বার্সার গোলবার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতো। কোকে যে গোলটি করেন, সেটাও বার পোষ্টে লেগে ফিরতি আসা বলে। আদ্রিয়ানোর ডান পায়ের জোরালো শট বার্সার গোলরক্ষক পিন্টোকে পরাস্থ করলেও ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে।

এরপর বল ধরে ডেবিড ভিয়া ক্রস করেন। সেই ক্রসে হেড করেন রাউল গার্সিয়া। বল পেঁৗছায় কোকের কাছে। কোনো ভুল না করেই সমর্থকদের উৎসবের রংয়ে মাতান কোকে। মজার বিষয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটাই কোকের প্রথম গোল।

ওই গোলের পর ভিয়া ১১ ও ১৯ মিনিটে পরপর দুই দুইবার বল বারে লাগান। গোলরক্ষক পরাস্থ হলেও বল তার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা খুঁজে পায়নি।

মেসি নিষ্প্র্রভ থাকলেও গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায় বার্সা। কিন্তু অ্যাথলেটিকোর রক্ষণভাগ ভাঙতেই পারেননি মেসি, নেইমার, জাভি, ইনিয়স্তারা। তাই ছয় মৌসুম পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি বার্সেলোনা।

পরশু রাতে মেসি এতটাই নিষ্প্র্রভ ছিলেন যে, হিসাব করে দেখা গেছে তিনি মাত্র ৬.৫ কিলোমিটার দৌড়েছেন ম্যাচে। যা দলের গোলরক্ষক জোসে পিন্টোর চেয়ে মাত্র ১.৫ কিলোমিটার বেশি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা চারে জায়গা করে নিতে না পারায় হতাশ বার্সা দলনায়ক জাভি বলেন, 'ম্যাচে আমরা ৪-৫টা সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু গোল পাইনি। আসলে ওরা শুরুতেই গোল করে নিজেদের গুছিয়ে নেয়।

এরপরও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হয়নি। তাই অ্যাথলেটিকোর ফুটবলার ও দর্শকদের অভিনন্দন জানানো ছাড়া আর কিছুই করার নেই আমাদের। '

ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথমে গোল করেছিল ডেবিড ময়েসের দল ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে জিততে পারেননি রেড ডেবিলরা।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের সঙ্গে ড্র করেছিল ১-১ গোলে। পরশু রাতে অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে তাই ব্যাকফুটেই ছিলেন ওয়েইন রুনিরা। এগিয়ে ছিলেন রুবেন, মানজুকিচ, শোয়াস্টেইনগার, রিবেরিরা। শুরু থেকে ঘরের মাঠের পরিচিত পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে ছিন্নভিন্ন করতে চেষ্টা করেন রুবেনরা ময়েসবাহিনীর রক্ষণভাগকে। কিন্তু প্রথম লেগের মতো কালও প্রথমে গোল করে বসে ম্যান ইউ।

৫৭ মিনিট প্যাটট্রিক এভ্রা গোল করে স্তব্ধ করে দেন বায়ার্ন সমর্থকদের। অবশ্য এই এগিয়ে থাকা বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি রুনিরা। ৫৯ মিনিটে মারিও মানজুকিচ গোল করে সমতা এনে বায়ার্ন সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান। ৬৮ মিনিটে গোলসংখ্যা দ্বিগুণ করেন টমাস মুলার। এরপর ৭৬ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার আর্জেন রোবেন একক প্রচেষ্টায় তৃতীয় গোল করে ইংলিশ জায়ান্টদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুঁকে দেন (৩-১)।

দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্ন ৪-২ গোলে শেষ চার নিশ্চিত করে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.