আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপিলেও সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের ওপরে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। গতকাল প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ৪৬তম দিনের মতো এ মামলার শুনানি গ্রহণ করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার কার্যক্রম রবিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় যথার্থ। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, সাঈদীর ব্যাপারে করা আপিলের ওপরে আমাদের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখতে আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছি। এ ছাড়া প্রমাণের পরেও যেসব অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কোনো দণ্ড দেননি সেসব অভিযোগেও তাকে দণ্ড দেওয়ার আবেদন করেছি।

মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় অন্য ছয়টি অভিযোগে তাকে কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি। ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ আপিল করে।

আসামিপক্ষ খালাস চেয়ে আবেদন করে। আর প্রমাণের পরেও যেসব অভিযোগে সাঈদীকে কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি সেসব অভিযোগেও তার সর্বোচ্চ দণ্ড চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
‘মীর কাসেম সরাসরি অপরাধে জড়িত ছিলেন’ : মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তদন্ত কর্মকর্তা জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে সাক্ষীকে জেরা করেন আইনজীবী নাজিবুর রহমান।

জেরা সমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। জবানবন্দি গ্রহণের সময় মীর কাসেম আলীকে কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। জবানবন্দিতে নূরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে মীর কাসেম চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র গণহত্যা, হত্যা, নারী নির্যাতন, উচ্ছেদসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন। তিনি অপরাধী চক্রের মূল ধারায় সম্পৃক্ত হয়ে সরাসরি অপরাধ করেন বলে তদন্তকালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের শিকার, ভিকটিম, ভিকটিম পরিবারের সদস্য এবং জনশ্র“তি থেকে জানতে পারি।
আজহারের পক্ষে জেরা : মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের নবম সাক্ষী শোভা করকে জেরা করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসামিপক্ষ জেরা করে।
হিউম্যান রাইটসের বিরুদ্ধে শুনানি ১২ মে : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ১২ মে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন ধার্য করেন। গতকাল ওই মানবাধিকার সংস্থাটি ট্রাইব্যুনালের রুলের জবাব দেয়।
খন্দকার মাহবুবের বিরুদ্ধে শুনানি ২৯ এপ্রিল
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।

খন্দকার মাহবুবের পক্ষে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল-২ এ দিন ধার্য করেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.