আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে আমেরিকায় ১ম বারের মত ৪র্থ বাংলা ব্লগ দিবস সফলভাবে সম্পন্ন ( একটি বিবরণ ও ছবি ব্লগ মূলক পোষ্ট)

যাব কাহিপে কুছ নেহি ভি নেহি থা ওইয়ি থা ওইয়ি থা ওইয়ি থা... বি দ্রঃ ব্লগারদের অনুরোধ সাপেক্ষে কোন ব্লগারের ব্যাক্তিগত আই মিন সিঙ্গেল ছবি ও তার নাম ক্যাপশান সহকারে দেওয়া হবে না। একসাথে তোলা ছবি গুলো দেওয়া হবে, আপনারা যারা বুঝতে সক্ষম কোনজন কে তারা বুঝে নিবেন। অনুষ্টিত হয়ে গেলো এক ইতিহাস সৃষ্টিকারী ব্লগ দিবস, "৪র্থ বাংলা ব্লগ দিবস,২০১২ আমেরিকা"। এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে তাও আবার আমেরিকার মাটিতে বাংলা ব্লগ দিবস, যেন তার ভাবই আলাদা মূলত ১৯ ডিসেম্বর বাংলা ব্লগ দিবস পালন করা হলেও বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করে আমরা এই দিনটিকে ২২ ডিসেম্বর এ ট্রান্সফার করি এবং পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজকের সন্ধ্যা ৫ টায় অনুষ্টান শুরু হওয়ার কথা। সকাল থেকেই নানা ভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকি ব্লগ ডে তে যাব বলে, বেলা ১ টায় খেয়ে দেয়ে রওয়ানা দি সাবওয়ের দিকে, সেখানে দেখা হয় ব্লগার বিপ্লব ভাইয়ের সাথে।

তিনি আগে থেকেই তার যাবতীয় যন্ত্র মন্ত্র নিইয়া হাজির বিপ্লব ভাই কে নিয়ে সোজা চলে আসি জ্যাকসন হাইটসএর ফুড কোর্ট রেস্টুরেন্টে। সময় তখন কেবল ৩ তা ৫০। তখনই মোটামুটি অন্ধকার চারিদিক রাফা ভাই আসার কথা ৪ টায়, কিন্তু তিনি কই? আমি আর বিপ্লব ভাই ফুড কোর্টের দোতলায় বসে বসে মাছি মারি ক্যামারা নিয়ে রেডি... ওখানদি আরিফ ভাইয়ের কাছে ব্যানার । ৪ টার একটু পরে আরিফ ভাই ব্যানার নিয়ে আর রাফা ভাই কেক, মুখোশ নিয়ে হাজির নিলয় ব্যানার টাঙাচ্ছে, তাকে হেল্প করছে রাফা ভাই মিনহাজ ভাইয়ের আসার কথা ছিল ৫ টা ৩০ এ, সময় সচেতনতার পরিচয় দিইয়ে তিনি আগেই এসে পড়েন উনার পরেই চলে আসেন মেহেদী_বিএনসিসি ভাই একটু পরেই চলে আসেন আমাদের মাসুম ভাই। সবার সাথে পরিচিত হতে থাকি, এই ফাকে চলে আসেন মামুন ওরফে মেঘদুত ভাই।

একে একে আসতে থাকেন আরো কয়েকজন ব্লগার... না না লাল পানি না, খাটি মেংগো জুস দিয়ে আপ্পায়ন হচ্ছে এখানে বই পরিচিতি চলছে ব্লগারদের মাঝে... আমাদের যুদ্ধের ইতিহাস তো আমরাই বাচিয়ে রাখব এরপর অনুষ্টানের আনুষ্টানিকতা শুরু উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন আমাদের বিপ্লব ভাই। নিলয়ের কোরান তিলায়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্টানের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। কোরান তিলাওয়াতের পরপরেই দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ বিশ্বজিৎএর জন্য নীরবতা পালন করা হয় ও জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে রেডী আজ রাফা ভাইয়ের কেকের একদিন কি আমার একদিন এরপর সবাই সবার সাথে পরিচয় পর্ব সেরে নীলয় কেক কেটে ৪র্থ বাংলা ব্লগ ডের সূচনা করল। কিছুক্ষণ পর মেঘদূত ভাই ব্যাস্ততার কারণে আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেন।

একটি অযাচিত কারণ বসত আমরা জ্যাক্সন হাইটস ফুড কোর্ট থেকে খাবার নিয়ে খাবার বাড়িতে মুভ হই। এবং সেখানেই চলতে থাকে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম। এরপর সূচনা বক্তব্য রাখেন আমাদের মিনহাজ ভাই। একে একে রাফা, আরিফ, মাসুম, মেহেদি বিপ্লব ভাই ব্লগ নিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করেন। হ্যাং আউট চলছে...।

কিন্তু কেও নাই দেইক্ষা হতাশ হইলাম বক্তাদের বক্তব্যে যে মেইন জিনিস গুলো ফুটে উঠেছে তা হল, মিনহজ ভাইয়ের সূচনা বক্তব্যে তিনি ব্লগীয় কার্যক্রম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দেশের উন্নতিতে ব্লগের অবদান ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। রাফা ভাই তার বক্ত্যব্যে ব্লগের বিভিন্ন সিনিয়র ভাই যারা তাকে শুরু থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এসেছেন তাদের স্মরণ করেছেন, এক্ষেত্রে তিনি বিশেষভাবে জানা আপু, অরিলড ভাইকে আমাদের এই সুন্দর ফ্লাটফর্ম উপহার দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ জানান। তাছাড়া ভার্চুয়ালী আমাদের সবচেয়ে বেশী সাহায্য সহযোগীতা করেছেন যিনি অর্থ্যাৎ এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল স্বর্ণাপু কে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানা। আরিফ ভাইয়ের মূল বক্তব্যের বিষয় ছিল বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার জন্য আন্দোলন এবং ব্লগীয় নাগরিক সাংবাদিকতা। বক্তব্য রাখছেন মেহেদী ভাই।

নিলয়ের তার বক্তব্যে বলে, আমরা যারা প্রবাসী তাদের সুযোগ আছে নিজেকে ডেবেলাপড করা ও অপরকেও ডেবেলাপড করতে সহায়তা করা। আমরা যারা প্রবাসী তাদের শিক্ষা দিক্ষা সব দিক দিয়ে উন্নতির রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনা কে কাজে লাগিয়ে রিচার্স ধর্মী কাজ সমূহ ব্লগে পোষ্ট করার সাথে সাথে আর অন্য ৮ -১০ কে রিচার্সে আগ্রহী করাটাই ব্লগের সার্থকতা। যে যে অবস্থানে আছে সেখান থেকে তিনি তার পোষ্টকে রিচারস ধর্মী করতে পারে এবং বহিঃবিশ্বের ব্লগাররা বিভিন্ন বই পড়ে তা অনুবাদ করেও পোষ্ট দিতে পারে, এতে রিচার্সের মনবল তরুণ সমাজে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এরপর আমাদের শ্রদ্ধেয় আরিফ ভাইয়ের পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে, ও বাংলা ব্লগের স্লোগানকে আমরা যাতে বাস্তবায়ন করে দেশ জাতিকে কিছু উপহার দিতে পারি সেই লক্ষ্যে মিনহাজ ভাইয়ের নেতৃত্বে এক ছোট্ট ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।

এরপর আমরা ব্লগাররা রুশান বাবুর জন্যে একটা ফান্ড রেজ করি যাতে প্রায় ১০০ ডলার উঠেছে অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ হিসেবে প্রায় ৮০০০ টাকা এবং শ্রীঘ্রই আমরা এই টাকাটা পাঠানোর ব্যাবস্থা করব। অতঃপর খাওয়া দাওয়ার পালা। বিফ বিরিয়ানী, সোডা, জিঞ্জার চা কফি সহ বিশাল এক অর্ডার দেওয়া হয়। খাই দাই যখন আর নড়চড় করতে পারিনা তখন রাফা ভাই বের করলেন তার অভিনব চিন্তা মুখোশ। ওমা এরা কে? এদেরকে তো চিনি না কন দেহি কে কোনডা এবার একটা কুইজ, জিতলে নগদে ধনেপাতা দেওয়া হপে দেখি এইখান থেইকা কন কে কোনটা অতঃপর একে একে সবাই বিদায় নিলাম, আসলেই আজকে চরম ঠান্ডায় গ্রম গ্রম একটা দিন কাটালাম, আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য অত্যন্ত সফল হয়েছে বলেই আমাদের দৃঢ বিশ্বাস।

আমরা আজ যে কয়জন নিয়ে শুরু করলাম একদিন ইনশাল্লাহ এখান থেকে কয়েকশ গুন বড় হবে আমাদের মিলন, সেদিনের অপেক্ষায় থাকলাম। (বানানভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন) উৎসর্গঃ প্রিয় এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা আপুকে যিনি প্রথম থেকেই নানা ভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা, বুদ্ধি, সাহায্য সহযোগীতা দিয়ে আমাকে সাহায্য করেছেন এই বিশাল দায়িত্ব সহজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।