আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীলের আব্বু আর নীলের আম্মুর গল্প

সময়ের আবর্তে বদলে যায় পৃথিবী, বদলে যায় মানুষের মন, আমি আমার মতো চাই পৃথিবীকে। নীলের আম্মুর সাথে নীলের আব্বুর পরিচয় একটি বহুজাতিক কোম্পানির সেমিনারে। মার্কেটিং বিষয়ক দু’দিনের একটি সেমিনার। সেমিনারটা হয়েছিল ঢাকা শহরের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। নীলের আব্বু সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে একটি বহুজাতিক কোম্পানির জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে জয়েন করেছে।

শিকড় গ্রামে বিধায় তখনো শহরের বিলাসী কায়দা খুব একটা রপ্ত করতে পারে নি। মাথায় তাসমেরী হেয়ার ওয়েল এবং স্কুল ড্রেসের মতো পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করতো। পক্ষান্তরে নীলের আম্মু ছিল পোশাকে আশাকে অনেক হাল ফেশানের। জিন্স এর প্যান্ট কিংবা ফতুয়াতেই তার আসক্তি। আঞ্চলিক টানে কথা বললেও তার পোশাক এবং সাড়ে পাঁচ ফিট উচ্চতার বিশাল সুসজ্জিত অবয়ব ওইসব ছাপিয়ে নিত।

চেহারায় কিছুটা রাখাইন ভাব থাকলেও ওটাই ছিল তার প্রধান চৌম্বকত্ব। তার উচ্চতা এবং স্মার্টনেস তাকে সব সময় অন্য রকম উচ্চতায় রাখতো। যদিও চেহারাতে বয়সের একটা ছাপ পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেটাকেও সে ম্যানেজ করে নিত প্রসাধনীর মুন্সিয়ানায়। সেমিনারে কয়েকবার চোখাচোখি হলেও তাদের প্রথম কথা হয় বিরতির সময়।

নীলের আম্মুও নীলের আব্বু’র মতো একই পজিশানে কাজ করতো অন্য একটি কোম্পানিতে। কেউ কাউকেই পাত্তা দিচ্ছিল না প্রথম দিকে। নীলের আব্বু দেখতে আহামরি কিছু না হলেও চাল-চলন কথাবার্তায় ছিল অনেক পরিমিত ও মার্জিত। কিন্তু রসবোধ ছিল প্রচণ্ড। কয়েক মিনিট কথা বললেই সবার নজরে আসার মতো।

সেমিনারে কয়েকবার কথা বলেই মোটামোটি হিট হয়ে গেল সম পর্যায়ের অন্য কোম্পানির কর্মীদের কাছে। এই ফাঁকে নীলের আম্মুরও নজরে আসে। নীলের আম্মুর বিশাল তনু-মনে একটা জায়গা নিয়ে বসে পড়ে নীলের আব্বু। সেমিনারের এক পর্যায়ে সবাই সবার সেল নম্বর লিখল একটি কাগজে। যার এক কপি সবাইকে দেয়া হল।

মিনিট পাঁচেকের মধ্যে নীলের আব্বু অচেনা নম্বরের কল পেতে থাকে। সেমিনারে বসে ফোন ধরার সুযোগ ছিল না। নীলের আব্বুর পোস্টিং ঢাকার বাইরে। তল্পী তল্পা গোছাচ্ছে আর ফাঁকে ফাঁকে ইয়াহুতে চ্যাট করছে। পরেরদিন ঢাকা ছেড়ে যেতে হবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য।

সেই পরিচিত পল্টন, শাহাবাগের বন্ধুদের ছেড়ে চলে যেতে হবে দূর পাহাড়ের দেশে। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো, অপরিচিত নারী কণ্ঠ। পরিচ্ছন্ন উচ্চারণ কিন্তু পরিচয় এড়িয়ে যাচ্ছে। নারী কণ্ঠের মোহ ছাড়ানোর কিছুটা ক্ষমতা নীলের আব্বুর ছিল। - হ্যালো কে বলছেন প্লিজ - আমি - আমি নামের কাউকে আমি চিনি না - আরে আমি আমার নাম না, নাম না জেনে কী কথা বলা যায় না? - যায়, তবে আমি বলি না - আসলে আপনি আমার একজন প্রিয় মানুষের প্রিয় মানুষ - তো আমি যার প্রিয় মানুষ তার নামটাই বলুন - তার নাম বলা যাবে না - আমি ফোন রাখলাম নীলের আব্বু ফোন রেখে দেয়।

মুনের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের পর পারতপক্ষে সে মেয়েদের ফোন এড়িয়ে চলতো। সেটা আরেক ইতিহাস। পুরনো ঘটনা টেনে লাভ নেই। নীলের আব্বু খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিছানায় গেলে আবার একই নম্বর থেকে ফোন আসে। এবার ফোনের কণ্ঠ ভিন্ন।

কণ্ঠটা কেমন চেনা লাগছিল। নীলের আব্বু বুজতে পারে এটা সেই দীর্ঘাঙ্গীনির কণ্ঠ। হিশেব মেলাতে পারে না এই রাত দুপুরে নীলের আব্বুর কাছে তার প্রয়োজনটা কী। - তখন ফোনে এতো ভাব নিলেন কেন - আমি অপরিচিত মানুষের সাথে আলাপ জমাই না - উনি কে ছিলেন - আমার বন্ধু মুনিয়া - সুন্দর নাম কিন্তু উনার বান্ধবীর প্রিয় মানুষ কীভাবে হলাম আমি - প্রিয় মানুষ হতে কী খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন - আমার ঘুম পাচ্ছে পরে কথা বলবো - আপনি স্কুল ড্রেসের মতো শার্ট পরবেন না আর - আপনি অধিকারের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এখন ঘুমান - অধিকারের সীমা ছাড়ানো আমার স্বভাব - আমি রাখছি ভাল থাকবেন - আপনিও ভাল থাকবেন আর স্কুল ড্রেস পড়া বন্ধ করবেন। নীলের আম্মু প্রচণ্ড স্বাধীনচেতা এবং একরোখা ও বটে।

ঢাকা শহরে তেমন কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলায় তাদের বাড়ি। বাবা-মায়ের সাথে ঝগড়া ঝাটি করেই ঢাকায় আগমন। তারপর কয়েক বন্ধুর সহায়তায় চাকরী। ঢাকায় থাকে একটি সরকারী কলোনির সাবলেটে।

বাসাটি নীচ তলায় স্যাঁতসেঁতে ফ্লোর। মাঝে মাঝে কয়েকটি পোশাক এবং অন্তর্বাস চুরি করে নিয়ে যায় বস্তির মেয়েরা কিংবা মাদকসেবীরা। অত্যন্ত সাহসী প্রকৃতির নীলের আম্মু এসব প্রতিকূলতাকে কেয়ার করে না। পোশাক-আশাকে আধুনিক হলেও আচরণে কিছুটা গেঁয়োভাব রয়েছে। নিজেকে সামন্ত কন্যা পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করে।

নিজের পিতার ধনসম্পদের গল্প করতে ভালবাসে। আবার তার পরিবারের সাথে কোনো সম্পর্ক নেইও বলে থাকে। নীলের আব্বু একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য। বাবা নেই পরিবারের অন্য সদস্যদের অনুগ্রহে পড়াশুনা। তাই কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগে সবসময়।

ঢাকায় থাকে বড় ভাইয়ের বাসায়। বড় ভাই অদ্দপি তার যাবতীয় চাহিদা মেটালেও বড় ভাইকে তার কর্মকর্তা ছাড়া কিছুই মনে হয় না। বড় ভাইয়ের কর্মকর্তা সুলভ আচরণ তাকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলে মাঝে মাঝে। বড় ভাইয়ের আশীর্বাদে মানুষ হয়েছে বিধায় বড় ভাইয়ের সামনে মেরুদণ্ড কখনো সোজা করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুরন্ত প্রভাবশালী মানুষটি মেনি বিড়ালের মতো থাকে বাসায়।

গ্রামে থাকে অসুস্থ মা তার জন্য কিছুটা দায়িত্ববোধ রয়েছে। চাকরী ছিল না বলে ভালোবাসার মানুষটিও হারিয়ে গেছে বছর খানেক আগে। সেই থেকেই কিছুটা নারী বিরূপ। হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকার স্মৃতি-চারণ করেই কাটে অবসর সময়। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে আড্ডা।

এক কথায় নীলের আব্বু আর নীলের আম্মু দু’জন বিপরীতমুখী স্রোত। তারপর নীলের আব্বু চলে যায় নীল পাহাড়ের দেশে। এক বন্ধুর আশ্রয়ে থাকে। বন্ধু স্থানীয় কলেজের প্রভাষক বাসায় ফিরে রাত ১২টার দিকে। ততোক্ষণে নীলের আব্বুর এক পশলা ঘুম হয়ে যায়।

শুক্রবারে বন্ধু’র সহকর্মীদের সাথে নিষ্প্রাণ আড্ডা তার বেদনার মাত্রাটা বাড়িয়ে দেয়। চাকরিটা খারাপ যাচ্ছিল না। এক শহর থেকে আরেক শহরে ঘুরে বেড়ানোর চাকরী। ঐ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জগদ্বিখ্যাত। ভূপ্রকৃতি অনেক বিচিত্র কোথাও টিলা কথায়ও সমতল কোথায়ও হাওর বাওর।

বুঝাই যাচ্ছে কোণ অঞ্চলের কথা বলা হচ্ছে। এই নিসর্গের মাঝে বসত করেও ঢাকার যান্ত্রিকতা সব সময় হাত ছানি দিয়ে ডাকতো। এর মাঝেই মাঝে মাঝে দীর্ঘাঙ্গীনিরমাঝে মাঝে কার্টেসি ফোন পাওয়া যেত। একদিন হঠাৎ করে অফিসের কাজে নীলের আব্বু ঢাকা গেল। ঢাকা গেলে একটা সমস্যা আরও দুদিন বাড়তি ক্যাজুয়েল লিভ নিতে হয়।

কথা বার্তা কম হলেও কর্মকর্তা ভাইয়ের বাসার প্রতি এক ধরনের টান। তো ছুটিতে থাকার সময় হঠাৎ দীর্ঘাঙ্গীনির ফোন বেজে উঠলো। যখন জানলো নীলের আব্বু ঢাকায় তখন দীর্ঘাঙ্গীনির দেখা করার ইচ্ছে হল। নীলের আব্বু না করতে পারে না। দেখা হয় একটি শপিং মলে।

আজকে নীলের আম্মু একটি সাদা রঙের থ্রী-পিজ পড়েছে। খুব একটা আকর্ষণীয় লাগছে না। প্রথম দিন যেমনটি লেগেছিল। যাহোক ঘণ্টা খানেক এই সেই কথা বার্তা বলে চা-কফি খেয়ে দুজন দুদিকে চলে গেল। নীলের আব্বু ভদ্রতা করে বাসায় পৌঁছে দিতে চাইল যেহেতু তখন কিছুটা সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

কিন্তু সেই দুঃসাহসী দিরঘাঙ্গীনি সেই সাহায্য নিবে কেন? তারপর যথারীতি নীলের আব্বুর আবার কর্মস্থলে গমন। আবার গৎবাঁধা জীবনের শুরু। এদিকে অফিসেও কাজের চাপ বেড়েছে কিছুটা। বাসায় ফিরে লোডশেডিং কখনো বুয়া আসে কখনো আসে না । তখন রান্না করতে হয় নইলে হোটেলে খেতে হয়।

এভাবে খেয়ে খেয়ে ডাক্তার এর ইনকাম বাড়াচ্ছিল প্রতি মাসে। ঠিক এমনি এক দিন কোনো এক শরতের রাতে নীলের আব্বু বারান্দায় পায়চারি করছিলো দূরে দেখা যাচ্ছিল মেঘালয় পাহাড়ের কয়েকটি গড়ে উঠা নগরীর আলো, শিলং ও হতে পারে। হঠাৎ দানবের মতো বেজে উঠলো হাতের মোবাইলটি। আবার দীর্ঘাঙ্গীনির ফোন। নীলের আব্বু রিসিভ করলো না।

বার বার বাজতে লাগলো। ঘণ্টা খানিক পর নীলের আব্বু ফোন ব্যাক করলো। আজকে দীর্ঘাঙ্গীনিরকণ্ঠে সাহসী সেই নারীটি নেই। বড় অসহায়ের মত লাগছিলো তার কণ্ঠ। নীলের আব্বুকে সে ফোনে যে ঘটনাটি জানালো তা অনেকটা এই রকম।

দীর্ঘাঙ্গীনির বাসায় সেদিন তার গৃহস্বামীর পরিবার ছিল না। সে বাসায় একা। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছে। আটটার দিকে বাথরুমে শাওয়ার নিতে গেল। সরকারী কলোনির বাসাগুলোর বাথরুমের ভ্যানটিলেশানের জায়গাটা অনেক বড়।

নিচতলার টয়লেটগুলোতে যে কেউ উঁকি মারতে পারে কিংবা হাতও ঢুকাতে পারে। শাওয়ার শেষে লক্ষ করলো একটি হাত এবং একটি মোবাইল ভ্যানটিলেশানের জায়গা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করানো। এই দৃশ্য দেখে দিরঘাঙ্গীনি বিকট চিৎকার দিলো। সঙ্গে সঙ্গে হাতটি সরে গেল। দীর্ঘাঙ্গীনির অনেক সাহসী মেয়ে সে টয়লেট থেকে বেরিয়ে এলো।

হাজার রকমের চিন্তা ভিড় কড়ছে তার মনে। ওই হাতটা কী তার স্নানের দৃশ্য পুরোটা ভিডিও করেছে, করে থাকলে সে কী করবে, ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে? তার মান সম্মানের কী হবে? পরিবারের অবাধ্য দুঃসাহসী মেয়েটি সব সাহস হারিয়ে একজন অসহায় নারীতে পরিনত হল। সে বারবার তার ওড়না ও ফ্যানের দিকে তাকাচ্ছে। সে কী করবে? তার কী করা উচিৎ। এই কাহিনী শোনার পর নীলের আব্বু পরামর্শ দিলো তার কোনো প্রিয়জন কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যের সাথে কথা বলে তাইলে মনটা একটু হালকা হবে।

আর এটা তেমন মারাত্মক কোনো ঘটনা না। এটার সাথে তার মান সম্মানের কিছু নেই। এটা একটা দুর্বৃত্তের কাজ। দুর্বৃত্তরা অনেক কাজ করে। কিন্তু নীলের আম্মুকে কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছে না।

সে হাউ মাউ করে কেঁদে দিল। সে এ জীবন রাখবে না। আসলে নীলের আব্বু তখনো নিজেকে এই ঘটনার সাথে জড়াতে চাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ কথা বলে একটু শান্ত করে ফোন কেটে ঘুমাতে গেল। নীলের আব্বুর মাথায় অন্য চিন্তা আজকে মেয়েটি যদি সত্যিই আত্মহত্যা করে তাইলে সকালে পুলিশতো কল লিস্ট থেকে তাকেও তলব করতে পারে।

ধুর! কেন যে কলটি ব্যাক করল। অযথাই আরেকটা ঝামেলায় জড়িয়ে গেল। নীলের আব্বু ঘুমানোর চেষ্টা করে। প্রতিদিন একটি লেক্সটানিল খায় আজকে দুটো খেল যেন তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। আবার যন্ত্রটি ভয়ংকরভাবে বেজে উঠে।

অপর প্রান্ত থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসে। নীলের আব্বু কখনো তাকে নাম ধরে ডাকে না আপা বলে ডাকে। আজকে নীলের আব্বু তার নাম ধরে ডাকল, - বীথি বীথির কণ্ঠে ফোঁপানির শব্দ - আমি আর এই পৃথিবীতে আর বেচে থাকতে চাই না, আমি এই লজ্জার ঘটনা আমি আমার পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারব না। আমি আজ রাতেই নিজেকে শেষ করে দিব। - বীথি এটা আপনার কোনো লজ্জা না।

যে ভিডিও করেছে তার অপরাধ। অন্যের অপরাধের শাস্তি আপনি নিজেকে দিবেন কেন? - আমি কোনো কথা শুনব না, আমি ভয়ে পানি খেতে অন্য রুমেও যেতে পারছি না। - বীথি আপনার পাশেই আছি, আপনি কান পেতে শুনেন আস্তে আস্তে পানি খেয়ে আসুন বীথি পানি খেতে যায়। নীলের আব্বু ভাবে মেয়েটিকে যেভাবে হোক আজকে সারা রাত জাগিয়ে রাখতে হবে। কালকে সকালে অফিসে গেলে হয়তো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বীথি পানি খেয়ে আসে। - আমি কীভাবে আজকে একা এই বাসায় থাকবো ( কণ্ঠে কান্না এবং বিশাল অনিশ্চয়তা) - আমি আপনার পাশে আজ সারা রাত থাকব শুধু এক শর্তে - কী শর্ত? - কালকে আপনি এই বাসা ছেড়ে কোনো আত্মীয়ের বাসায় উঠবেন। আর আজকে রাতে আপনার সাথে আমার শেষ কথা হবে। আমরা আর কখনো ফোনে কথা বলব না। -আচ্ছা ঠিক আছে।

তারপর নীলের আব্বু তার সাথে নানা কথা বলা শুরু করলো। কথা যখন ফুরিয়ে আসে ফোনে কবিতা শোণাতে লাগলো। এক সময় কবিতা ও কথা সবই ফুরায় কিন্তু রাত আরও দুঘণ্টা বাকী। নীলের আব্বু কথার প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। নীলের আম্মু তখন নীলের আব্বুর কাছে বন্দী।

পরিবর্তিত প্রসঙ্গগুলো একান্ত নীলের আম্মু এবং নীলের আব্বুর। পৃথিবীর কেউ জানল না ওই পরিবর্তিত প্রসঙ্গের কথাগুলো। ওটা ছিল এমন এক প্রসঙ্গ কোনো পৌরাণিক পুরুষের দুহাজার বছরেও ওই প্রসঙ্গের কথা শেষ হবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।