আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসাধূ আয়ের টাকায় চলে আশুলিয়া থানার ওসি!

সাংবাদিক দেখলেই ইদানিং ক্ষেপছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। সম্প্রতি সাভারের আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া ছয়তলা বাজার নামক স্থানে প্রকাশ্যে মেলার নামে অসামাজিক কার্যকলাপের চিত্র তুলতে গিয়ে থানাতেই লাঞ্চিত হয়েছেন জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিক। এছাড়াও ঘুষ লেনদেনের চিত্র ধারণ করায় ভেঙ্গে ফেলা হয় তার ক্যামেরা, জব্দ করা হয় মোবাইল, অজ্ঞাত কারনে সাদা ষ্টাম্পে ওই সাংবাদিকের কাছ থেকে নেয়া হয় দস্তখত। এমনকি, আশুলিয়া থানার ওসির সংসার, ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চলছে অসাধূ আয়ের টাকায়। সম্প্রতি নিশ্চিন্তপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল থেকে মাত্র মাইল খানেকের ব্যাবধানে চলছিল মেলার নামে অসামাজিক সব কর্মকান্ড।

মেলায় এসব কর্মকান্ডের সচিত্র প্রতিবেদন করতে গিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর রাতে আশুলিয়া থানার ওসির রোষানলে পড়েন জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক মেহেদী হাসান। তিনি জানান, ‘সেদিন থানায় ঢুকেই তিনি দেখতে পান, ওসি বদরুল আলমের কক্ষে মেলার আয়োজক রমজান ও সুমন ওসির কাছে আনুমানিক ৪০-৫০ হাজার টাকার বান্ডেল দিচ্ছেন। ওই সময়ে বাহিরে থেকে তিনি গোপনে ঘুষ লেনদেনের চিত্র তার ক্যামেরায় ধারণ করেন। তাৎক্ষনিকভাবে ওসি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে, থানায় কর্মরত এসআই বিল্লালকে দিয়ে টেনে হিচরে সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে নিয়ে যান তার কক্ষে। সেসময় ওসি বদরুলকে তার পরিচয় দেয়ার পরও তিনি ক্ষান্ত হননি।

তিনি চেয়ার থেকে উঠে মেহেদীর শার্টের কলার ধরে তার কাছে থাকা ডিজিটাল ক্যামেরাটি কেড়ে নিয়ে সেটি আছড়ে ভেঙ্গে ফেলেন। এক পর্যায়ে ওসি জোরপূর্বক ৪টি সাদাকাগজে মেহেদী হাসানের দস্তখত নেন। এসময় ওসি তাকে হুমকির সুরে বলেন, ‘তার মেয়ে ভিকারুননিসা কলেজে লেখাপড়া করে, যার মাসে খরচ ৫০-৬০ হাজার টাকা, ছেলে লন্ডন থেকে ব্যারিষ্টারি পড়ছে তার পিছনে খরচ হয় লাখ লাখ টাকা, সেই ছেলের মোবাইলের দাম ৭৫ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন, সরকারি বেতন কত পাই? ওই টাকায় আমার সংসার চলে, সেটা তুই বুঝিস না? সুমন রমজানকে দিয়ে এখন চাঁদাবাজি মামলা দিলে কি করবি তুই? মানুষকে আকৃষ্ট করতে গভীর রাতে মেলায় নগ্ন নৃত্য সেটা দোষের কিছু না। তোরা কত লেখালেখি করতে পারিস আমি দেখব।

উর্ধ্বতন মহলে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে আমি এই থানায় এসেছি। এই মেলার টাকা আমি একা খাই না। এই মেলার বেশিরভাগ টাকাই চলে যায় স্থানীয় এমপি, এসপি, ডিসি, ডিবি, র‌্যাব, এসবিসহ আইজির পকেটে। সাহস থাকলে ওদের নামে লেখালেখি কর। লাখ লাখ টাকা দিয়ে তার কথায় উঠে এবং বসে এমন ৬০ জন সাংবাদিককেও পালন করে বলে জানায় তিনি।

তাৎক্ষনিকভাবে সাংবাদিক মেহেদী হাসান তার কতৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানালে তারা ঢাকা জেলার ডিআইজিকে বিষয়টি অবগত করেন, পরে ডিআইজির হস্তক্ষেপে আশুলিয়া থানা থেকে তিনি মুক্ত হন। মেহেদী আরো জানান, সে দিন (ওসি) বদরুলের রুমের সিসি ক্যামেরা যাচাই করলেই ঘটনা সমন্ধে সকলে জানতে পারবেন। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.