আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য - হৃদয়ের গান - গোল্ডেন আওয়ার

মরণ আমার ভালো লাগে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য (১৯২২ - ১৯৯২) ছিলেন বাংলা আধুনিক ও রাগাশ্রয়ী সঙ্গীতের একজন প্রধান শিল্পী। শ্যামাসংগীত ও রামপ্রসাদী গানের জন্যও তিনি সমধিক বিখ্যাত ছিলেন। ৫০ বছরের দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে তিনি পাঁচ শতাধিক গান রেকর্ড করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল বাংলা আধুনিক, শ্যামাসংগীত, রামপ্রসাদী, হিন্দি গান, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, ভজন, কীর্তন, বাউল গান। বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনে তিনি ছিলেন একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার। 'শ্রী আনন্দ' ও শ্রীপার্থ' নামে তিনি চার শতাধিক গীত রচনা করেছিলেন, যার মধ্যে কিছু ছিল আধুনিক আর অধিকাংশই শ্যামাসংগীত।

সঙ্গীত পরিচালনা করতে যেয়ে একসময় তিনি 'সাড়ে ৭৪', 'নববিধান', 'পাশের বাড়ি' এমন কয়েকটি বিখ্যাত ছায়াছবিতেও চরিত্রাভিনয় করেছিলেন। তবে তাঁর ব্যাক্তি জীবন অনেকাংশেই ছিল রহস্যে ঘেরা। ১৯২২ সালে এক অতি রক্ষণশীল শাক্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৯৪০ এ প্রথম গান, 'যদি ভুলে যাও মোরে' রেকর্ড করার আগের তাঁর পরিবার বা সঙ্গীতশিক্ষা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় না। ধারনা করা যায়, পারিবারিক ও ধর্মীয় ভাবেই তাঁর সঙ্গীত শিক্ষা ও সাধনা শুরু হয়েছিল।

অসাধারণ কণ্ঠের কারুকাজ থেকেই তাঁর সাধনার কঠোরতা অনুধাবন করা যায়। শ্যামাসঙ্গিতের অপর রহস্যপুরুষ ও কালজয়ী শিল্পী, পান্নালাল ভট্টাচার্য ছিলেন ধনঞ্জয়ের ৮ বছরের ছোট সহোদর ভাই। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে এই দুই সহোদর ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও অসম্ভব জনপ্রিয়। তাঁদের যুগপৎ অগ্রযাত্রা থেমে যায়, যখন ১৯৬৬ সালে, রহস্যময় কারনে, মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পান্নালাল ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। কথিত আছে, ধনঞ্জয় ও পান্নালাল উভয়েই 'কালী সাধক' ছিলেন ও তাঁদের সব সঙ্গীতই দেবী কালীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত হত।

কোনও বিচিত্র কারনে পান্নালালের মধ্যে উপলদ্ধি জাগ্রত হয় যে, ধনঞ্জয় দেবী কালীর সিদ্ধি লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং পান্নালাল নিজে আর কোনোদিন সাধনায় সফল হতে বা সিদ্ধি লাভ করতে পারবেন না। তীব্র মনকষ্টে পান্নালাল আত্মাহুতি দেন। ধনঞ্জয় তখন পান্নালালের পরিবারের দায়িত্ব গ্রহন করেন ও পান্নালালের সন্তানকে নিজের তিন সন্তানের সাথে আমৃত্যু লালন পালন করেন। তবে তখন থেকেই ভাইহারা ধনঞ্জয় আরও অন্তর্মুখী হয়ে পড়েন। সঙ্গীত জীবন অব্যাহত রাখলেও, মাত্রা কমিয়ে দেন, সংসার ব্যয় নির্বাহ করতেন, কিন্তু থাকতেন নিভৃতে, পরিচিতদের থেকে দূরে, একা।

১৯৯২ সালে বৃদ্ধ বয়সে, পরিবার পরিজন থেকে দূরে, কোলকাতার একটি মেস বাড়ীতে, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য পরলোকগমন করেন। রেখে যান, 'চামেলী মেলো না আঁখি', 'অন্তবিহীন এই অন্ধ রাতের', 'ঝনন ঝনন বাজে', 'বাসরের দীপ', 'মাটিতে জন্ম নিলাম', 'এই ঝির ঝির ঝির বাতাসে', এমন অসংখ্য কালজয়ী গান, কয়েক দশকের সমঝদার ভক্তবৃন্দ, আর এক অদ্ভুত রহস্যময়তা। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য - হৃদয়ের গান - গোল্ডেন আওয়ার ০১ শিল্পী মনের বেদনা (১৯৫৫) ০২ হৃদয়ে মোর রক্ত ঝরে (১৯৫৫) ০৩ চামেলী মেলো না আঁখি (১৯৫৮) ০৪ এইটুকু এই জীবনটাতে (১৯৬০) ০৫ কবির খেয়ালে প্রেমময় তুমি (১৯৫৫) ০৬ অন্তবিহীন এই অন্ধ রাতের (১৯৬৩) ০৭ ঝনন ঝনন বাজে (১৯৬৩) ০৮ দুটো মিষ্টি কথা বলতে এলাম (১৯৬৯) ০৯ কাল সারারাত চোখে ঘুম ছিল না (১৯৬৯) ১০ বাসরের দীপ আজ আকাশের তারাগুলি (১৯৫৩) ১১ মাটিতে জন্ম নিলাম (১৯৫৫) ১২ এই ঝির ঝির ঝির বাতাসে (১৯৫৭) ১৩ কুসুম যেমন ওই (১৯৫৭) ১৪ রঙ্গিলা রঙ্গিলা (১৯৬০) ১৫ যদি লাজে দুটি ঝিনুক (১৯৬১) ১৬ চেনা চেনা মুখ সারি সারি (১৯৬২) ১৭ ওগো সুচরিতা (১৯৬২) ১৮ এতটুকু আমি কতটুকু পারি দিতে (১৯৬৬) ১৯ এমন মধুর ধ্বনি (১৯৬৪) কোয়ালিটি : ১৯২ কেবিপিএস ভিবিআর এমপি৩ ফাইল সাইজ : ৪৮ মেগাবাইটস ডাউনলোড : ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য - গোল্ডেন আওয়ার পাসওয়ার্ড : samu পূর্বশর্ত : ডাউনলোড করতে হলে ফোরশেয়ারড -এ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অত্যন্ত সহজেই এই অ্যাকাউন্ট করা যায়।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।