আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিষ্টুর মা স্বর্ণ চুরি করলো নিজের মেয়ের।

সময় খুবই কম। দুনিয়াতে যদি কোন মধুর শব্দ থাকে তার নাম "মা", শ্রদ্ধ ভালবাস, প্রেম প্রীতি, হাসি খুশি, সুখ আনন্দ সব কিছুর প্রতিশব্দ যেন মা। যে কোন আপদ বিপদের সবচেয়ে বড় সহায় হলো মা, মায়ের আদর আর সান্তনা দুনিয়ার সকল সন্তানের জন্য সর্বশ্রেষ্ট ও মহামুল্যবান সম্পদ। দুনিয়াতে এমন কোন মা নেই তার সন্তানের জন্য মায় মততা নেই, তার পরও অনেক সময় কিছু মা তাদের মনের অজান্তে ও বিভ্রান্ত হয়ে কখনো কখনো সন্তানদের প্রতি ভুল আচারণ করে ফেলেন। তা কিন্তু সাময়িক ও অস্থায়ী, যখন মা তার ভুল বুঝতে পারেন তখন তারা খুবই অনুতপ্ত হয় দ্রুত সন্তানের কাছে ফিরে যান।

আজ আমার মা ও দুনিয়ার সকল মাকে শ্রদ্ধা আর সালাম জানিয়ে আমার আজকে পোষ্ট শুরু করলাম। এক মা তার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে, ৩ মেয়েকে বড় ও ধনী পরিবারে বিয়ে দেন। তার ৩ মেয়েই ছিল সুখী ও শান্তিতে। দুনিয়ার সকল সন্তান তার মাকে বিশ্বাস করবে এটা স্বাভাবিক। তার ৩ মেয়েও তাদের মাকে বিশ্বাস করে তিন জনেই তাদের ব্যাক্তিগত কিছু স্বর্ণ তার মায়ের কাছে জমা রাখেন তাদের শাশ্বর বাড়ীর লোক ও তাদের স্বামীর অজান্তে।

৩ মেয়ের স্বার্ণের পরিমাণ প্রায় ২০ ভরি মত হবে। এক দিন ডাকাত হানাদেন ঐ ঘরে, ডাকাত দামী জিনিস পত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণ মোবাইল সহ প্রচুর দামী জিনিস পত্র নিয়ে যান। কিন্তু ঐ মায়ের কাছে জমা রাখা ৩ মেয়ের স্বর্ণ ডাকাত খুজে পায়নি, ফলে ডাকাতের কবল হতে রেহাই পায় ৩ মেয়র স্বর্ণ, কিন্তু র্দুভাগ্য ৩ মেয়ের, তাদের স্বর্ণ ডাকাতের কবল হতে রেহাই পেলেও তাদের মায়ের লোভ হতে রেহাই পায়নি। ঐ মা ডাকাতের ছুতো ধরে সুযোগ বুজে তার তিন মেয়ের জমাকৃত সব স্বর্ণ নিজেই কৌশলে লুকিয়ে রাখেন। পরে সবাইকে জানিয়ে দেন ডাকাত সবস্বর্ণ ডাকাতি করে নিয়ে গেছে।

ডাকাতির ঘটনাটি তার ৩ মেয়ে মেনে নিলেও ছোট মেয়ের স্বামী কোন অবস্থায় মেনে নেননি। খুবই ও মারাত্বক ভাবে ছোট মেয়ের স্বামী তার তার স্ত্রীকে জেরা করতে থাকেন এবং চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন, স্বর্ণ যে করে হোক যেন তাকে ফিরিয়ে দেন। তার দাবী ছিল, তার বাপের বাড়ীর লোকরা যেন নতুন করে ঐ পরিমাণ স্বর্ণ ক্রয় করে তাকে পিরিয়ে দেন। মা তার মেয়ের উপর নির্যাতন খবর পেয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে পরেন। এপর্যায়ে ভেঙ্গে পড়েন ও মেয়ের উপর নির্যাতন ও র্তক বির্তকের দৃশ্য দেখে, অবশেষে মা তার মেয়ের উপর নির্যাতন ও র্তক বির্তকের দৃশ্য সইতে না পেরে, এ পর্যায়ে কৌশলে অভিনয়ের আশ্রয় নেন।

হুট করে এক দিন নিজে নিজে চিৎকার করে থাকেন স্বর্ণ পাওয়া গেছে , স্বর্ণ পাওয়া গেছে। ডাকাত ডাকাতি করে যাবার সময় ভুলে কিছু র্স্বণ ফেলে যান আলমারির চিপায় । সবাই দৌড়ে আসল , দেখলো ব্যাপারটি সত্য, কিছু স্বর্ণ পাওয়া গেছে। কিন্তু বির্তক এখানে শেষ হয়নি, বরং উল্টো নতুন বির্তকের সৃষ্টি হয়। বড় ও মেজ মেয়ের স্বামী ও তাদের শাশ্বুর বাড়ীর লোকরা চালাকি টের পান।

সবার কাছে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনাটি যে একটি সাজানো নাটক ছিল তার সবার কছে স্পষ্ট হয়ে যায়। সবাই বুঝতে পারেন ডাকাতির ছুতো ধরে ঐ মা তার তিন মেয়ের স্বর্ণ নিজেই হজম করে ফেলেন। কারণ ডাকাত কোন দিন কোন অবস্থায় ডাকাতি করা স্বর্ণ হতে কিছু স্বর্ণ ফেলে রেখে যায়না। শেষ পর্যন্ত ৩ মেয়ের সব স্বর্ণ তার মা ৩ মেয়েকে ফিরিয়ে দেন। ঘটনাটি জানাজানি হবার পর এলাকায় খুবই হাস্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয় ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।