আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃহত্তর চট্টগ্রামে এক মাসে ২০ অজ্ঞাত লাশ

আমি যা বলতে চাই... কেবল নভেম্বর এক মাসেই বৃহত্তর চট্টগ্রামে পাওয়া গেছে ২০টি অজ্ঞাত লাশ। জেলা ও মহানগরের ২৭টি থানা ছাড়াও কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অজ্ঞাত লাশগুলো উদ্ধার করেছে। এছাড়া ৭টি আত্মহত্যা ও ২টি শিশু ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বিগত এক মাসে। তবে পূর্ববর্তী (অক্টোবর) মাসের তুলনায় অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের সংখ্যা এবার (নভেম্বর মাসে) কিছুটা কমেছে। পূর্ববর্তী মাসে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের সংখ্যা ছিল ৩১টি।

এতে দেখা যায়, পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের সংখ্যা কমেছে ১১টি। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা’র চট্টগ্রাম ইউনিট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর নগরীর কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যার টেক এলাকা থেকে বিকাল ৫টার সময় আহত অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আনুমানিক ৫০ বছর বয়স্কা এক মহিলাকে উদ্ধার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মহিলাটিকে মৃত ঘোষনা করেন। তবে মহিলাটির পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

একই তারিখে সাতকানিয়ার পুরানগড় এলাকার ফকিরখীলের হিন্দু পাড়ার সমীরণ দাশ গুপ্তের ৫ বছরের শিশু কন্যাকে একই এলাকার খোকন দাশ ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানালে স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়। অবশ্য পুলিশ পরবর্তীতে ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। ৪ নভেম্বর নগরীর এম এম আলী রোডের একটি বাসার বাথরুম থেকে আনুমানিক ১২ বছরের এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। একই তারিখে পার্বত্য বান্দরবানের রুমা উপজেলাধীন পাইন্দু ইউনিয়নের পরিতং পাড়ার বাসিন্দা ছোঅং প্র“ মারমার মেয়ে খয় সাং প্র“ মারমার সাথে সদর ইউনিয়নের নাজেরেট পাড়ার বাসিন্দা সায়া মারমার ছেলে চশৈথুই মারমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক উভয়ের পরিবার মেনে না নিলে তারা উভয়েই এক সাথে আত্মহত্যা করে।

এছাড়া যৌতুকের কারণে হত্যা ১, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের স্বীকার ১, গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের ঘটনায় নিহত ১, রহস্যজনক মৃত্যু পুরুষ ২ ও নারী ৩, নারী ধর্ষণ ৩, নারী ৩ ও পুরুষ ৪ জনসহ মোট ৭ জনের আত্মহত্যা, ৩ জন ইভটিজিংয়ের শিকারসহ ২টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে নভেম্বর মাস জুড়ে। এ বিষয়ে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ‘এসএইচআর প্রকল্প’ চট্টগ্রাম ইউনিটের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর ও ডকুমেন্টেশন সেলের প্রধান মো. ফয়সাল আহম্মদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে বৃহত্তর চট্টগ্রামে আত্মহত্যার ঘটনা এবং অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের সংখ্যা অনেকাংশে কমেছে। এটি একটি ভাল দিক। তবে এ চিত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে তা বলা যাবেনা। ’ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবমহলের এ ক্ষেত্রে আরো জোরালো ভূমিকা রাখা এবং মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেন এই মানবাধিকার কর্মী।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.