আমাদের চারপাশটা আর্ট পেপার আর মানুষগুলো রঙ পেন্সিল হয়ে গেলে পৃথিবীটা কি চমৎকার ক্যানভাস-ই না হয়ে উঠত
ব্লগে প্রায়ই দেখি বিভিন্ন ব্লগার বিভিন্ন ছবি শেয়ার করে। চিন্তা কইরা দেখলাম আমি আর বাদ যাই কেন। তাই আজকে আমি আমার তোলা কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করুম। সেই সাথে কিভাবে শুরু করলাম তাও একটু জাহির করার চেষ্টা করুম।
আগে কিছু ছবি দেখেনঃ
আমার হাতে প্রথম ক্যমেরা আসে point and shoot camera (canon Ixus 105 ) ২০১১এর ৩০ এ এপ্রিল (তাও নিজের রোজগারের টাকায় কেনা)।
ফিল্ম ক্যমেরাতে কখনো হাত দিতে সাহস পাই নাই, মনে হইত একটা চাপেই মনে হয় সব ছবি নষ্ট হইয়া যাইব। কাজেই ক্যমেরার কোন নিয়ম ই জানা ছিল না। ডিজিটাল ক্যমেরায় এই ভয় নাই, তাই যেখানেই যাই ক্যমেরাটা প্যকেটে ফালায় দৌড়াই। কিন্তু দুঃখের বিষয় এত ক্লিকাই কিন্তু ভাল ছবি তুলতে পারি না।
শুরু করলাম ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাটি আর প্রাকটিস।
ধীরে ধীরে মনে হইল যে না একটু উন্নত হইতাসে। একটা সময় পরে মনে হইল না এই টোনা ক্যমেরা দিয়া আর চলতাছে না তখন সিধান্ত নিলাম একটা মাইয়া পটানোর যন্ত্র কিনি (DSLR) ।
৬ মাস আগে কিনলাম DSLR (canon 600D)। কেন কিনলাম সেইটা একটু বলা দরকার, ছোট ক্যমেরা দিয়া হাই সাটার স্পীড কোন ফটো তোলা যায় না, বোকে পাওয়া যায় না (বোকে হইল ফটোতে সাবজেক্টর পিছনে যেই গোল্লা গোল্লা জিনিস গুলা দেখা যায়)।
চামে একটু আসল কথা কই- আসলে এইসব কিছু না আর দশ জনের মতো আমিও ভাবছিলাম দামী ক্যমেরা মানেই ফাটাফাটি ছবি।
কিন্তু হায় অভাগা ভাবে এক আর হয় আর এক।
ক্যমেরার বাটন চাপলেই দেখি AK47 এর গুল্লির মতো ফটো ঠিকি উঠে, কিন্তু যখন প্রিভিউ দেখতে যাই তখন দেইখা নিজেই লাফ দিয়া উঠি যে এই ছবিটা কি আদৌ দিবাকরের আলোয় তোলা নাকি তোড়াবোড়া পাহাড়ের ভিতর থাইকা তোলা। ছবি দেখি আর নিজের চুল নিজেই ছিড়ি। শুরু করলাম আবার গুগ্লি করা। নেট ঘাটি আর প্রাকটিস করি।
এখন মনে হয় যে দিনের আলোর ছবি দিনের মতোই হয় আর রাতের আন্ধারের ছবি রাতের মতই হয়।
আমার তোলা এইসব ছবি নিয়া একটা পেজ বানাইসি উদ্দেশ্য নিজের কাজ সবার সাথে শেয়ার করা আর কিভাবে তুলি তা সবাইকে জানান দেয়া, আশা করি দেখলে খুব একটা খারাপ লাগব না।
এইখানে ফটোগ্রাফির বিভিন্ন বিষয়ে টিপস দেওয়া হবে (মানে আমি যা জানি আর কি), so মনে চাইলে সাথে থাকেন আর মনের আনন্দে ক্লিকান, অনেক ফয়দা হইবেক
https://www.facebook.com/SinobelaDesignStudio ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।