আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসংগ:খৃষ্টান মার্কিনিদের কাছে জামাতের ক্ষমা প্রাথর্না,আর মুসলমান জনতাকে অবজ্ঞা

গতপরশু ইসলাম রক্ষার এক পবিত্র হরতাল পালনের সুযোগ দেশবাসি পেয়েছিল (বলেন আলহামদুল্লিলাহ)। এই হরতালের মুল দাবি ছিল, এদেশে ইসলাম রক্ষার সিপাহসালার ভাষাসৈনিক গো,আজম, নিজামী,সাঈদী গংদের মুক্তির দাবি, যাহতে ইসলামের পক্ষের শক্তি বিএনপির নৈতিক(!?) সমর্থনও ছিল (আসলে মান বাচানোর জন্য দিয়েছে)। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযা্য়ী, ইসলামের অকুতোভয় যোদ্ধারা সারাদেশে ফজরের ওয়াক্ত থেকে মাগরিব পর্যন্ত ময়দানে থেকে ১১১টি গাড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া পুলিশ সহ বেশ কিছু মানুষ আহত হয় তাদের হামলায়। ইহার মধ্যে ইসলামের দুশমন ইহুদি, খৃষ্টানদের প্রতিনিধি মার্কিন দুতাবাসের একটি গাড়িও ইসলামের বীর যোদ্ধাদের হামলার শিকার হয়।

দেশের তৌহিদি জনতা তাদের শত অসুবিধা সত্বেও ইহাতে পুলকিত হয়েছিল। অথচ, জামাতের মোনাফেক,ভিরু ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনেরাল ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান ইসলামি আন্দোলনের এইসব সৈনিককে ধন্যবাদ না দিয়ে, উল্টো মার্কিনীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্ষতিপুরন দিতে চাইলো?গত একমাস যাবত দেশের তৌহিদি মুসলমানদের কয়েকশ গাড়ি, ব্যাবসা প্রতিস্ঠান,সম্পদের ক্ষতি করেও ইসলামি আন্দোলনের সৈনিকদের কোন ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়নি, বরং উল্টো সুশিলগন গনতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে মিডিয়া গরম রেখেছে। অথচ সামান্য একটা গাড়ি ভাংচুরের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে জামাত কি দেশের কোটি কোটি তৌহিদি জনতাকে অবজ্ঞা করলো না? ভেবে দেখুন- জামাত-শিবির কি দেশের সম্পদ ক্ষতি সাধনের জন্য একবার দু:খ প্রকাশ করেছে? জামাত-শিবির কি নিরিহ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য দু:খ প্রকাশ করেছে? জামাত-শিবির কি দেশের লক্ষ লক্ষ পরিক্ষার্থির অসুবিধা সৃস্টির জন্য ক্ষমা চেয়েছে? জামাত-শিবির কি হামলায় আহত মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছে? জামাত-শিবির কি একাত্তরে তাদের অপকর্মের জন্য একবার দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছ? তাহলে কেন তারা সামান্য একটা গাড়ি ভাংচুরের জন্য আমেরিকার কাছে ক্ষমা চাচ্ছে? আসল কথা হল এটা জামাতী ভন্ডামীর একটা নোংরা উদাহারন মাত্র। এরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলে, স্বার্থের জন্য নারী নেতৃত্ব হালাল করে, নিবন্ধন বাতিলের ভয়ে আল্লাহ, রাসুল(স: ) কে বাদ দেয়া জায়েজ করতে পারে, অস্তিতের প্রয়োজনে কুফরি গনতন্ত্রকে সার্বভৌম ক্ষমতার উতস বলে মানে। পদটিকা: গত নভেম্বরে জামাতি হামলার প্রথম দিকে আমেরিকান দুতাবাস একটি বিবৃতি দিয়েছিল এরকম- 'ঢাকা ও অন্যান্য জেলায় সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতায় মার্কিন দূতাবাস উদ্বিগ্ন।

এ সহিংসতার ফলে যারা আহত ও ব্যক্তিগতভাবে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তাদের প্রতি রয়েছে আমাদের সহমর্মিতা। ’ এতে আরও বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে জড়িত হওয়া একটি মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার; সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা বিশ্বাস করি, সংলাপই যেকোনো মতপার্থক্য দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায়। ’ তাই আশা করছি খুব শিঘ্রই আমরা তৌহিদি জনতা মতান্তরে মডারেট মুসলমানদের প্রতিনিধি জামাতিদের সাথে ড্যান ডব্লি্উ মজীনার একটি সংলাপ দেখতে পাব। কেননা তাদের কথা অনুসারে, আমরাও বিশ্বাস করি, 'সংলাপই যেকোনো মতপার্থক্য দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায়।

’ তাই শুরুটা তাদের মাধ্যমেই হবে বলে বিশ্বাস করি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।