আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্য ট্রু ফ্যাক্টস অফ ঢাকা রোডস

আমি ব্যস্ততায় অক্লান্ত এক মানুষ, নিশ্চুপ পরিচয়ে পরিচিত.... দ্য ট্রু ফ্যাক্টস অফ ঢাকা রোডস ১.বাসে/রিকশায় বসে আছেন। অনেক লম্বা সিগন্যাল। ভাবলেন হেটে গেলোও এর চেয়ে দ্রুত চলে যাবেন। ভাড়া দিয়ে নেমে হাটা দিলেই দেখবেন সিগনাল ছেরে দিসে। আবার যেদিন বসে থাকবেন এই ভেবে যে আপনি নেমে গেলে সিগন্যাল ছেরে দিবে সেদিন দেখবেন ট্রাফিক পুলিশ ভুলে যাবে তারা সিগনাল দিয়ে বসে আছেন।

২.বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন ?আপনি রাস্তার এপারে দারিয়ে আছেন দেখবেন বাস থামবে রাস্তার ওইপারে। এ অবস্থা দেখে আবার ওইপারে গিয়ে দারাবেন, দেখবেন বাস আবার আগে যে পারে ছিলেন সেখানে থামছে। ৩. পরিক্ষা/মিটিং অথবা জরুরি কোন কাজে যাবেন। হাতে সময় অল্প। তারাতারি যাবার জন্য সিএনজি নিবেন দেখবেন সেদিন রাস্তায় কোন জ্যামই নাই।

আবার এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য কোন একদিন বাসে উঠবেন দেখবেন ওইদিনই দুনিয়ার সমস্ত জ্যাম বাঝবে। ৪. রেগুলার যেই পথে যাওয়া আসা করেন সেই রাস্তার চরিত্র আপনার মুখস্ত। জানেন কোন সময় কি রমক গাড়ির প্রেসার থাকে। আপনি জানেন যে এই সময় রওনা দিলে বড়োজোর ১ ঘণ্টা লাগবে জেতে। আপনি পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বাসা থেকে বের হয়ে দেখবেন ওই দিনই রাস্তায় কোন বাজ পরসে আর আপনার ১ ঘণ্টার জায়গায় ২ ঘণ্টা লেগে যাবে।

৫. আপনি সচরাচর বাসে ঘুমান না। একদিন আপনি প্রচণ্ড ক্লান্ত তাই বাসে ঘুমিয়ে পরেছেন এটা ভেবে যে আপনার গন্তব্বে জেতে মিনিমাম ১.৫ ঘণ্টা লাগবে। আপনার ঘুম তখনি ভাংবে যখন আপনি আপানর গন্তব্য অতিক্রম করে মেলা দূর চলে গেছেন। ৬. খুব ভাব নিয়ে ফিটফাট হয়ে কোথাও যাচ্ছেন। মাঞ্জা মেরে বাসে বসে আছেন।

ঠিক সেদিনই দেখবেন বিশালদেহি অথবা মোটা মত কেউ একজন আপনার সাথে বসবে এবং তার ঘামে ভেজা শরিরের সমস্ত লবনাক্ত পানিগুলো আপনার শরিরে মাখিয়ে একাকার করে দিয়ে যাবেন যা আপনার বডি স্প্রে বা পারফিউমও রিকভার করতে অক্ষম(বিশেস করে হাতের নিচের অংশের) । এই রকম আর অনেক ঘটনাই ঘটে (যা এখন আমার মনে পরছে না) আমার সাথে যা আমার দৃঢ় বিশ্বাস অন্যান্য আর ৮/১০ জনের সাথেও হয়। আর যদি বলেন হয় না তবে আমি মনে করে নিব “দুনিয়াতে আমি একাই সেই হতভাগা”  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।