দারুণ নাটকীয় শুরু যা কল্পনা করাও দুরূহ। একটি গাড়ী একসিডেন্ট করে লাফিয়ে পরে সমুদ্রের ভিতর। পরে পুলিশের আগমন সেই পুলিশ বাহীনির সাথে ছবির নায়ক আমীর খানের প্রবেশ। গাড়ীর ভিতর থাকা একমাত্র মানুষটি একজন চলচ্চিত্র তারাকা আরমান খান। শুরু হয় পুলিশী তদন্ত।

ডালমে কুচ কালা হে-আরমান ছিলেন একাই? দুর্ঘটনার সময় তার সার্বক্ষণিক সফরসঙ্গী গাড়ীচালক ও স্পট বয় ছিলো না তার সঙ্গে। ব্যাপারটা রহস্যজনক!!! কারিনা কাপুরের প্রবেশ,দারুণ গ্লামার নিয়ে,চাকচিক্য সজ্জায় কিন্তু একজন পতিতার বেশে। তার পিম্প শশি ভাই একজন নার্ভাস মানুষ। তিনি ফোন নম্বর পরিবর্তন করে তল্পিতল্পাসমেত শহর ছেড়ে অন্য শহরে। নাটকীয় ভাবে রানী মূখার্জীর আগমন একজন গৃহীনি হিসেবে ।

এটা বুঝা যায় তার এবং তার স্বামীর বিবাহের মধ্যে ঘটনা আছে ইস্যু আছে। দেখা যায় আমীর -রানী নতুন বাসা নিয়েছেন এমনকি তাদের আসবাবপত্রও পুরোপুরি সাজানো হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে নতুন প্রতিবেশী মিস মিস্ট্রির আগমন তার জন্য চা বানাচ্ছেন রাণী -সেই প্রতিবেশী একটি শিশুর ছবি উল্টিয়ে বললেন কারান তোমাকে দেখে ভাল লাগছে। মিঃ আরমান ব্যাগভর্তি টাকা দিচ্ছেন-এই ঘটনা কয়েকবার ঘটে কাউকে ব্যাগভর্তি টাকা দেয়ার ঘটনা । তারা তাদের সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দু হোটেলের দিকে এগুতে থাকেন রহস্য উদ্ধারে ।

তিনি ইতিমধ্যেই কয়েকদিন আগে চাকরি ছেড়েছেন। এইবার প্রতিবেশী ফেনির আগমন। তিনি বলেন যে তিনি কারানের কাছ থেকে সংবাদ পেয়েছেন!কারানহলো আমীর-রানীর মৃত পুত্রসন্তান। ফেনি কি তার মৃত সন্তানের কাছ থেকে সংবাদ এনেছে!!?? আমীর খুব আবেগপ্রবন এবং উত্তেজনায় পাগল পারা হয়ে উঠেন তার সন্তানের দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার কথা মনে পড়ে-সেখানে রহস্য আছে-তারা কি তার সন্তানের প্রকৃত মৃতদেহ খুজে পেয়েছিল?একটি ঘটনা আরেকটি ঘটনার তদন্তে দিক নির্দেশনা দিতে থাকে নিয়ন্ত্রন প্রভাব বিস্তার করতে থাকে দারুণ ভাবে- রাণী তার সন্তান হারানোর দুঃখে দুঃখিত-তিনি একজন মনোবিজ্ঞানীর দ্বারস্থ হয়েছেন। এমন দারুণ উত্তেজণার মুহুর্তে -দারুণ স্ক্রীন প্লে-দারুণ পেইস-aowsome রহস্য আর সাসপেনশনে ঠাসা-এটি উপলব্ধি করা যায় কিভাবে সাসপেনশন জন্ম নেয় -যথার্থ মুহুর্তেই গান যা টেনশন থেকে কিছুটা মুক্তি মেলায়।

গানটি আমীর রাণীর পূর্বের আনন্দঘন মুহুর্তের স্মৃতিচারণ-তাদের মৃত সন্তান কারানের উপস্থিতি_যা তীব্র আবেগের সঞ্চার করে। ছবি সামনের দিকে এগুতে থাকে-মন্দলোক শশি যার ছবি মিসিং-পলিশ তাকে খুঁজছে-তার ডানহাত মানুষটা পুলিশ কাস্টডিতে শশীর পুরাণো সীমকার্ড এবং একটি রেকর্ড শুনা- যে কেউ বুঝতে পারে কে ধরা পরতে যাচ্ছে। আমীর সন্ধানে আত্ননিমগ্ন-কারিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক-ভয়ঙ্কর সেক্সি এবং সন্দেহজনক -কারিনাকি দ্বিমুখী ভুমিকায় অবতীর্ণ?! ছবি ৪র্থ গিয়ারে-রাণী তার মৃত সন্তানের কাছ থেকে চিাঠ পায়!!!! মনে রাখতে হবে এটি তার মৃত ছেলে। কিংবা দর্শকদের তাই বুঝানো হচ্ছে। সে তার ক্রেইজি সাইকো প্রতিবেশীর সাহায্য নিচ্ছেন যে তাকে কারানের চিঠি দেয় যোগাযোগ করে।

এই সময়ে আরেকটি মৃত্যু-এইবার শশী মারা যায়-যাকে সবাই খুঁজছিল-তাহলে শশীকে হত্যা করলো কে? এবার সবার দৃষ্টি শশির ডানহাতের উপর-সে নিশ্চিতভাবেই সেইরকম কিছু-খুবই রহস্যজনক-এরই মধ্যে ইন্টারভ্যাল-দারুণ যখন সবার সন্দেহের দৃষ্টির কিছুটা কারিনার দিকে গড়াচ্ছে। মৃত চলচ্চিত্র তারকা আরমান-শশি-কারিনা এরা কি একই চক্রের অংশ। নতুন উপস্থিতি নিখিলের মৃত্যু। যে কিনা মৃত আরমানের একজন বন্ধু। কারিনা মৃত নিখিলকে তার একজন ক্লায়েন্ট বলে পরিচয় করিয়ে দেন আমীর খানের কাছে।

কারিনা আরমানের সঙ্গে মারা যাওয়ার আগেই সাক্ষাৎ করেছে- নিখিল আরমান-তৃতীয় একজন -যার নাম সে জানে না-তৃতীয়জনের আগমন যে আরমানের কল রিসিভ করেছেন? ভাবতে হবে নিখিল মৃত নয় সে জীবিত কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে কথা বলছে না -প্যরারালাইজড। নতুন নাটকিয়তা সেই ক্রেইজি প্রতিবেশীর মৃত্যু যে কারানের চিঠি নিয়ে আসে। সে কি !রানি কোথায়?আমীর তাকে তার প্রতিবেশীর বাসায় খুঁজে বের করে। নতুন নাটকিয়তা আমীর রানীকে যথেষ্ট সময় দিতে পারে না ব্যস্ততার কারণে। তা্ই রাণীর বিকল্প শান্তির সন্ধান।

রানীর সন্দেহ আমীররে অন্য এফেয়ার আছে- যাদও তা দৈহিক নয়। মানসিকভাবে আমীর শান্তি খুঁজছেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মধ্যে-কারিনাকেই তার উপযুক্ত ভাবছেন-আর একটি হোটেল কক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা!!! আরেকটি আবেগঘন গান-নতুন রহস্য টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায় সিনেমা- আরমানের বন্ধু কিছু সংখ্যক খারাপ লোকের নিয়োগ দেন যারা খুনি-সন্দেহজনক মানুষ খুন করে বেড়ায়-তাদের একজন ধরা পরে। অনুসন্ধানে পাওয়া যায় সেই লোকের নিয়োগকর্তা আরমানের বন্ধু-সঞ্জয়!! এইবার লুঙ্গি শক্ত করে বাঁধতে হবে-টানটান উত্তেজনা-একটি ঘটনা যা তিন বছর আগে ঘটেছিল what the hell is going on? ছবির আর ২০ মিনিট বাকি-সবাই কি বাকি বিশ মিনিট দেখার জন্য রেডি? রহস্য উদ্ঘাটনে?ছবি মূল রহস্য উদ্ঘাটন হবে এই অংশেই? aowsome আমীর খানের ছবি মানেই নতুন কিছু-ভিন্ন কিছু-আর এইবার উত্তেজনায় ঠাসা সাসপেনশন থ্রিলার। আমীর -রানী -কারিনা দূর্দান্ত অভিনয় করেছেন। আমীর অসাধারন।

ছবিটি মিস করা যাবে না। আমীর খানের ছবি মানেই বিশেষ শ্রেনীর দর্শকদের বিনোদন। তালাশ সবাইকে মুগ্ধ করবে। আগেও পুলিশ সেজেছেন আমির। এবারে ভারী গোঁফের আড়ালে আর ভারিক্কি চালে পিছনে ফেলেছেন এক দশক আগেকার ‘সরফরোশ’-এর আইএএস-কে।

করিনা কপূরের রোজি-তে দশ বছর আগেকার ‘চামেলি’-র ছম্মকছল্লোর আদাকারি আজও আছে। ভ্রূপল্লবের ডাকে তিনি যত স্বচ্ছন্দ, চন্দনের বনে নিয়ে যেতেও ততটাই। রানি এ ছবির শান্ত পাষাণমূর্তি। এত নিচু চাবির অভিনয় তিনি আগে করেছেন বলে মনে পড়ে না। ইন্টারনেট অবলম্বনে............... http://bollywood.celebden.com/2012/11/talaash-movie-first-day-first-show-as-it-happens/  ।