আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়! জনসভা, তুমি কার?

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। " ভাই দেখছেন খালেদা জিয়ার জনসভায় কি বিশাল লোক সমাগম অথচ দেখেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় লোকই হয় না মিডিয়া কভারেজও দ্যায় না এর থেকেই বুঝা যায় খা-লেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা হাসিনার থেকে বেশি । " একটু চিন্তা করে বললাম, " হাসিনার জনসভায় জনসভায় লোক কম হতে পারে এইটা অবশ্যই আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা কিন্তু এই কম লোক সমাগম দেখেও মনের মধ্যে এক ধরনের শান্তি পাই । " উনি আমার কথা শুনে একটু ভিরমি খেলেন, এই রকম একটা জবাব তিনি আমার থেকে প্রত্যাশা করেন নাই । মাথা একটু চুলকে আবার কথা বলা আরম্ভ করলেন, "এইটা কিন্তু ভাই আপনি ক্লাস ওয়ান টুর বাচ্চাদের মতো কথা বলে ফেললেন জনসভা মানেই হচ্ছে বাংলাদেশে এক প্রকার শক্তি প্রদর্শন ইংরেজিতে যাকে বলে শো ডাউন যে দল যতো বেশী ম্যান পাওয়ার, ব্যানার ফেস্টুন নিজেদের জনসভায় প্রদর্শন করতে পারবে সবাই তা দেখে বুঝে যাবে হাওয়া কোন দিকে , কোন দল ক্ষমতায় আসছে, বিএনপির বিশাল বিশাল জনসভা প্রমাণ করে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন ।

" এইট বলে উনি একটু দম নেওয়ার জন্য থামলেন। আমি বললাম, আওয়ামীলীগের জনসভায় লোক কম হতে পারে ,ব্যানার ফেস্টুন কম হতে পারে কিন্তু যারা সেই জনসভায় আসেন তাদের কণ্ঠে একটাই ধ্বনিই থাকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু , তাদের হাতে নৌকা প্রতীকের সিম্বল থাকে কিংবা আওয়ামীলীগের পতাকা হাতে থাকে বঙ্গবন্ধু কিংবা শেখ হাসিনার পোষ্টার ছবি থাকে । এর থেকে যা বুঝি জনসমাবেশটা আওয়ামীলীগ নিজের সাংগঠনিক শক্তির দিয়েই আয়োজন করেছে কারো অনুগ্রহ সে গ্রহণ করেনি । অন্যদিকে সম্প্রতি বিএনপি যে সমাবেশগুলি ডাকে সেইগুলাতে একমাত্র সভা মঞ্চ ছাড়া আর কোথাও বিএনপির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না, জামাতের নেতা নিজামি মুজাহিদ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিশাল বিশাল রঙ্গিন পোষ্টারে সমাবেশ এলাকা ছেয়ে যায় । চাপা পড়ে যায় বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক জিয়া ! বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগান শুনা যায় না চারিদিকে জামাত শিবিরের নারায়ে তাকবীরে মুখরিত থাকে ! এমনকি সমাবেশ আরম্ভ হয় ছাত্র শিবিরের নেতাদের ভাষণের মধ্য দিয়ে ! মেকআপ লাগানো রঙ্গিন শিফন শাড়ির খালেদা ম্যাডাম যদি ভাষণ না দিতেন তাহলে মানুষ মনে করতো এইটা জামাতে ইসলামির একক কর্মসূচি বিএনপির এই সব বিশাল বিশাল জনসভা থেকে পাবলিকের কাছে বিএনপির সাংগঠনিক দীনতা পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠেছে ।

১৮ দলের জনসভার আগেই সকালে নয়া পল্টনে জড়ো হয়ে যুদ্ধাপরাধের মামলায় অভিযুক্ত শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। বুধবার সকালে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভার মঞ্চ নির্মাণসহ সব প্রস্তুতি শেষ হয়। দুপুর ২টা থেকে জনসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা নাইটেঙ্গেল মোড়ের কাছে অবস্থান নেয় সকাল ৮টার দিকে। তাদের অনেকেই পল্টনের পশ্চিম পাশে সড়কের ওপর বসে পড়েন। জনসভা প্রাঙ্গণে আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি সম্বলিত শ্লোগান লেখা পাঁচটি বেলুনও উড়িয়েছে জামায়াত কর্মীরা।

এসব বেলুনে অধ্যাপক গোলাম আজম, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, আবদুস সুবহান, এম কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা ও মীর কাশেম আলীর মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া ফকিরেরপুল থেকে শুরু করে কাকরাইল পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে জামায়াত নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আজম, বর্তমান আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ, নায়েবে আমীর দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, আবদুস সুবহান, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এম কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার ছবি সম্বলিত কয়েক হাজার পোস্টার হাতে নেতা-কর্মীরা একটু পরপরই শ্লোগান দিচ্ছেন সমাবেশস্থলে। একবার ভাবুন তো শেখ হাসিনার সমাবেশ কিন্তু চারিদিকে খালি মার্কস লেলিনের ছবি , কাস্তে হাতুড়ি লাল পতাকা দিয়ে চারিদিকে ভরা এইরকম একটা সমাবেশ যদি কখনো ভবিষ্যৎতে হয় তাহলে সেই জনসভা দেখে পাবলিক আওয়ামীলীগের শক্তির পরিচয় পাবে নাকি দীন হীনতার পরিচয় পাবে ? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।