আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুকে একদিন....অত:পর দেখা

যথারীতি অফিসে পৌছে ল্যাপটপ অন করে কাজ করছি। সেদিন খুব একটা কাজের চাপ ছিল না। অফিসিয়াল মেইল গুলো চেক করে আমি ফেসবুক লগইন করলাম। বেশকিছুক্ষন ধরেই প্রোফাইল চেক করলাম। হঠাৎ করেই ফ্রেইন্ড রিকয়েস্ট অপশনটা চোখে পরল।

ভাবলাম আমার একটা ফ্রেইন্ডের নাম লিখে সাচ দেই। কারন ফেসবুকে ও অ্যাড করা ছিল না আমার সাথে। ওকে খুজে পাবার জন্যই মূলত নামটা লেখা হয়েছিল। ওকে তো খুজে পেলাম সাথে একই নামের আরেক জনকে চোখে পড়ল। কেন জানি ঐ অচেনা ছেলেটাকে একটা ফ্রেইন্ড রিকয়েস্ট পাঠালাম।

সেদিনের মতো অফিস শেষ করে বাসায় আসলাম। বেশকিছুদিন কেটে গেছে ঐ অচেনা ছেলেটার কাছ থেকে কোন রিপলাই পেলাম না। অবশ্য এরকম আশাও করি নাই। কেননা ফেসবুকে প্রায় প্রোফাইল হলো ভুয়া। অত:পর একদিন দেখলাম একটা ম্যাসেজ- "hello,sorry to say, i cant recognize u...can u tell me who u r "।

এই ম্যাসেজটা আসার দুইদিন পর আমি লিখলাম-" I also dont know ". আমি মনের অজান্তে অনেকবার ওর প্রোফাইলটা চেক করি। পরবরতি দুইদিন পর অচেনা ছেলেটা লিখল- "so how u..."। আমি অনেকদিন আর কোন রিপলাই করি নাই। পরে আবার একটা ম্যাসেজ আসল ছেলেটার কাছ থেকে- "tumi ki ahad vai ke chino..."। আমি বললাম- "না কেন?"।

ওপাশ থেকে কোন উত্তর এল না। তাই আবার লিখলাম- "r u there?" বেশকিছুক্ষন পর উত্তর এল - now i am here -kemon acen?? -valoi jasse.. tumi kemon aso -valo -tumi kothai porasuna korteso -porasuna apatoto shesh korci -oassa....akhon ki kora hosse... এভাবে ওর সাথে প্রায় প্রতিদিন কথা হইত। শেয়ার করতাম অনেক কিছু। ভালোই কাটছিল দিনগুলো। ও চাকরি করত ঢাকার বাহিরে।

ও আমাকে বলল- "আমি দুইদিন ছুটি নিয়ে ঢাকা আসব। " আমি বললাম- "কেন?" ও বলল- "ঢাকা থেকে সব জিনিস-পত্র আনতে হবে। আমার তো এখন ঢাকা থাকা হবে না। তাই সব কিছু গিয়ে নিয়ে আসব। " ও কখনো দেখা করার কথা আমাকে বলল না।

তাই আমিও ইনটারেস্ট হলাম না। আর দেখা করার কথা ও আমাকে কেন-ই বা বলবে এতটা তো পরিচয় আমার সাথে হয়নি। মাত্র শুরু। আরো অনেকদিন তো অপেক্ষা করতেই হবে। এরমধ্যেই ও ঢাকা থেকে ঘুরে গেলো।

এরপর একদিন আমাকে বলল- "ঢাকা থেকে ঘুরে এলাম, বেশ ভালোই লাগলো। " আমি বললাম- "ভালো তো লাগার কথা। আর কি করলে, কার সাথে ঘুরলে?" ও বলল- "বেশিরভাগ সময়টা অবশ্য ঘুমিয়ে কাটিয়েছি আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছি। " এরপর অনেকদিন কেটে গেছে ওর কোন খবর পেলাম না। অনলাইনে ওকে পাচ্ছিলাম না।

কেন জানি ওর খবর নিতে ইচ্ছা হলো। কিন্তু কিভাবে নিব, আমি তো ওর মোবাইল নম্বর জানি না। হঠাৎ মাথায় এলো হয়তো ওর প্রোফাইলে কোন নম্বর থাকতে পারে। ঠিক যে ধারনা করলাম তাই হলো। ওর মোবাইল নম্বরটা ওখানে ছিলো।

আমি ওকে একটা ম্যাসেজ দিলাম। আর এরপর থেকে মোবাইলের ম্যাসেজের মাধ্যমে বাসায় বসে কথা হইত। কারন বাসায় নেট ছিল না। জানি না এই ছেলেটার সাথে কেন এত কথা বলতে মন চায়। ওর সাথে কোন সম্পক করা তো সম্ভব নয়।

এর পিছনে দুইটা কারন আছে। দুইটা কারনের মধ্যে একটা হলো- আমি জানলাম ওর H.S.C হলো ২০০৬। আর আমার টা হলো ২০০৪। এদিক থেকে বলা যায় আমি ওর থেকে দুই বছরের বড়। তার মানে হলো অসম ব্য়স।

তবে ওর জম্ম তারিখটা জানতে পারলে ভালো হতো। ওর যদি ৮৮ হয় তাহলে ঠিক হবে! আর যদি তা না হয় তাহলে আমার ভাগ্য খারাপ। কেননা আমার জম্ম সালটা ঔটা। মেয়েরা সাধারনত জম্ম সালটা বলে না। কিন্তু আমি বোকার মতো করে বলে ফেললাম।

যাইহোক যখন বলেই ফেলেছি তখন আর কি করা! তবে এই কথাটা ওর সাথে কখনো শেয়ার করা হয় নাই। আর দ্বিতীয় যে কারনটা আছে তা আমি বলতে চাচ্ছিনা। এই দ্বিতীয় কারনটা ওকে কোন দিন জানাতে পারব কিনা তা সময় বলে দিবে। ওর কাছে আমার লাইফ সম্পকে যা বলেছি বা ও আমার সম্পকে যা জানে তার প্রায় ৯০% মিথ্যা। আমি জানি না ওকে কোনদিনও সত্যি কথাগুলো জানাতে পারবো কিনা! তবে আশাকরি এটা রহস্য হয়ে থাকবে।

তবে যত কথাই বলি না কেন আমি মনে হয় নিজেকে ওর সাথে বেশি জড়িয়ে ফেলতেছি। ওর সাথে কথা বলতে না পারলে কেমন জানি অস্থির লাগতো। আমরা বেশ কিছুদিন মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে মনের কথা শেয়ার করেছি বিশেষ করে যখন বাসায় থাকতাম। আর অফিসে থাকলে অনলাইনে কথা হইত। একদিন ভাবলাম এভাবে সব কথা বলা যায় না।

তাই আমি ওকে ম্যাসেজ দিলাম- "তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে কিন্তু সাহস পাচ্ছি না। " ও লিখল- " এতে সাহসের কি আছে, আমি এমন বড় কোন মানুষ না যে তুমি সাহস পাবে না। " আমি লিখলাম- " তুমি অভয় দিলে আমি কল দিবো। " ও লিখল- " আচ্ছা অভয় দিলাম। " তারপর আমি কিছুক্ষন সময় নিয়ে ওকে কল দিলাম।

বুকের ভিতর কেমন যেন করে উঠল। বলতে গেলে, আমার কাছে মনে হচ্ছিল আরেকটু সময় হলে আমি হারটফেল করতাম। বুকের ভিতরটা এমন ধরফর করতে লাগছিল। যাইহোক অনেক সাহস নিয়ে ওর সাথে কথা বলতে লাগলাম। এর আগে কখনো কাউকে এভাবে সেধে সেধে কল দেই নাই।

তাহলে আজ কেন। কি হয়েছে আমার। প্রেমে তো মানুষ একবারই পড়ে। আর সেই প্রেমে তো আমি অনেক আগেই পড়েছি। তবে এটা কি! এটা তো প্রেম-ভালোবাসা একটার মধ্যেও পড়ে না।

তারপরও কিছু কথা বলতে মন চায়। আর এভাবেই ওর সাথে মোবাইলে কথা বলা শুরু। ঐদিন রাত দুইটা কি তিনটা পযন্ত কথা বলেছি। পরের দিন সকালে অফিসে যেতে অবশ্য একটু লেট হয়েছে। অফিসে গিয়ে ফেসবুকে আবার বসলাম আর ওর সাথে কথা বললাম।

আমি লিখলাম- "তোমার অফিসে আসতে কোন সমস্যা হয় নাই তে। " ও লিখল- " না, আমি অফিসে এসে ঘুমিয়ে নিয়েছি, তোমার অবস্থা কি"। আমি লিখলাম- " না তেমন কোন সমস্যা হয় নাই, একটু লেট হয়েছ। " বেশ দ্রুতই আমাদের মধ্যে একটা ভালো সখ্য গড়ে উঠল। এর মধ্যে আবার ঈদ আর পূজার ছুটি এসে গেলো।

এই ছুটিতে আমার প্লান ছিল ইন্ডিয়া যাবার পুরোপুরি ফ্যামিলি কাজের জন্য। আমি, মা আর আমার ছোট মামা যাব। তাই এবারের পূজায় বাংলাদেশে থাকা হচ্ছে না। তবে মজার বিষয় হলো আমি যেদিন ঢাকা ছেড়ে যাব আর ও ঔদিন ঢাকায় আসবে। তার মানে হলো ওর সাথে এবারো দেখা হলো না।

ঔদিন ও রওনা যখন দিল তখন বাজে দুপুর দুইটা। ওর ঢাকা পৌছাতে পৌছাতে হয়তো রাত দশটার মতো বাজবে। আর আমার গাড়ি ছিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে। তাই শত ইচ্ছা থাকলেও হয়তো দেখা হবে না। ওর গাড়ি এসে থামবে সায়দাবাদে আর আমার গাড়ি ছারবে রাজারবাগ থেকে।

আমার গাড়ি ছাড়তে বেশ লেট হচ্ছিল। সাড়ে নয়টার গাড়ি ছাড়ল সাড়ে দশটার দিকে। আমি যখন ঢাকা থেকে বের হচ্ছি তখন ও ঢাকায় পৌছাল। ও হলে উঠল আর ওখানেই থাকবে আজকের রাতে। অল্প কিছুক্ষনের জন্য ওর সাথে কথা হলো।

আমি ইন্ডিয়া গিয়ে একটা ইউনিয়রের সিম নিয়ে ওকে কল দিলাম আর ম্যাসেজের মাধ্যমে আমরা কথা বলতে লাগলাম। ও আমাকে বলল- "তুমি কবে আসবে। " আমি বললাম- "হয়তো ২৭ তারিখের দিকে। " ও বলল- " তুমি ২৭ তারিখে আসলে আমি ২৮ তারিখ ঢাকা আসবো, তোমার বাসায় কি থাকা যাবে- যদি না থাকা যায় তবে আমাকে অন্যত্র দেখতে হবে। " আমি কি বলব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

আর এধরনের যে একটা ম্যাসেজ পাব এটাও আশাকরি নাই। ভাবতে ভাবতে ওর কাছ থেকে আবার একটা ম্যাসেজ পেলাম- "তুমি তাড়াতাড়ি জানাও, তা না হলে আমি গাড়ির টিকিট পাব না। " আমি বললাম- " আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি গাড়ির টিকিট কাটো, দিনের বেলায় কোন সমস্যা হবে না। " ও বলল- " ঠিক আছে আমি তাহলে টিকিট কাটতেছি। " সেই অনাকাক্ষিত দিনটা আসল।

আমি ২৭ তারিখে রওনা হলাম ইন্ডিয়া থেকে। যশোরে আমার বোনের বাসা থাকায় ওখানে এসে বিশ্রাম নিয়ে ২৭ তারিখ নাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ওর সাথে এর মধ্যে অনেকবার কথা হয়েছে। ভালোয় ভালোয় আমি ২৮ তারিখ ঢাকা এসে পৌছালাম তখন বাজে ভোররাত ৪টা। যেহেতু অন্ধকার তাই কাউন্টারে অপেক্ষা করতে লাগলাম।

ওকে ফোন দিয়ে বললাম- "আমি এখন ঢাকায়, তোমার খবর কি?" ও বলল- " আমার গাড়ি সকাল ৬ টা। আমি দুপুরের মধ্যে ঢাকায় এসে পৌছাবো। " আমি বললাম- "ঠিক আছে। " যখন সকাল ৫.৩০ টা তখন কাউন্টার থেকে বের হলাম বাসায় যাবার জন্য। কাউন্টার থেকে বাসায় যেতে ৫ মিনিট সময় লাগে।

হেঁটে হেঁটেই যাওয়া যায়। তাই ছোট্ট ব্যাগটা নিয়ে হাটঁতে লাগলাম বাসার দিকে। বাসার গেটে আগে একটা তালা দেওয়া থাকত আর আজ দেখি দুইটা তালা। একটা তালার চাবি আমার কাছে আছে আরেকটা তালার চাবি নাই। এখন কি করি মহাবিপদে পড়ে গেলাম! বাড়িওলার নম্বর আমার কাছে ছিল।

মোবাইল চেক করতে লাগলাম। আরে কি বিপদ কাজের সময় কোন কিছুই ঠিক থাকে না। সব নম্বর পাচ্ছি অথচ বাড়িওলার নম্বর পাচ্ছি না। কি করি! কে খুলে দেবে এই তালা। ঐ একটা গান আছে না- খোল খোল দ্বার, রাখিওনা আর বাহিরে আমার দাড়ায়ে!!! হঠাৎ মাথায় আসল বাসায় ফোন দিয়ে বোনের কাছ থেকে নম্বরটা নেই।

আমার বড় বোন আগে আমার সাথে ঢাকায় থাকত। ও এখন চাকরির জন্য বরিশাল থাকে। ওর কাছ থেকে বাড়িওলার মোবাইল নম্বরটা এনে ফোন দিলাম। অত:পর গেট খোলার প্রবলেম সলভ হলো। দিনের শুরুই হলো প্রবলেম দিয়ে আর না জানি কি কি ঝামেলা পোহাতে হ্য়!! রুমের মধ্যে পা ফেলা যাচ্ছিল না এতটা নোংরা হয়ে আছে।

রুম গোছাতে শুরু করলাম। তাড়াতাড়ি গোছাতে হবে আবার তো মেহম্যান আসবে। কথায় আছে- অথিতি নারায়ন। রুম পরিস্কার করে স্নান করে আসলাম। তখন বাজে সকাল ৯ টার মতো।

এরমধ্যে ও আমাকে কল দিয়েছিল, জানালো যে ওর আসতে বেশি সময় লাগবে না কারন রাস্তা ফাঁকা আছে। ওর আসার প্রতীক্ষায় আছি। মনে হলো সময় যাচ্ছে না। ও কখন এসে পৌছাবে। এদিকে আরেকটা সমস্যা হলো।

ফ্যানটা আবার ঝামেলা করতেছে। কিছুক্ষন চলল এরপর ধুম করে একটা আওয়াজ শুনতে পেলাম। যা এতো দেখি ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হয় কয়েল কেটে গেছে। ফ্যানের তো আছেই একটা কয়েল।

তাই নিয়েই এতো ঝামেলা করে। এই ফ্যানটা আমাকে অনেক পেইন দিয়েছে সেই স্টুডেন্ট লাইফ থেকে। কিন্তু আমি ওকে ছাড়িনি। এর আগে যতবার নষ্ট হয়েছে ততবার-ই সারিয়ে নিয়েছি। না এবার আর তোকে সারাচ্ছি না।

যে সাথে থাকতে চায় না তাকে তো জোর করে রাখা যাবে না। এবার এই ফ্যানের বিদায়ের ঘন্টা বাজল। এদিকে বাসায় একজন অথিতি আসবে আর দেখবে ফ্যান নষ্ট। এত তো দেখি মহা ঝামেলা! এখনো হাতে কিছু সময় আছে এর মধ্যে যদি আরেকটা ফ্যান কেনা যায়। বের হলাম বাসা থেকে।

মাকেটে গিয়ে দেখি মাকেট বন্ধ। যাক বাবা অনেক চেষ্টা করেছি ব্যথ হলাম। আবার বাসায় আসলাম। হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠল, এই বুঝি এসে গেলো আমার অচেনা সেই মানুষটি যার জন্য এত অপেক্ষা। ফোনটা রিসিভ করলাম- "আমি এখন সায়দাবাদে গাড়ি থেকে নামলাম।

এখন কি করবো সি এন জি নিবো না রিকশা হলেই হবে। " "না না সি এন জি নেবার দরকার নাই তার থেকে একটা রিকশা নাও আর বলো মৌচাক মাকেটে নামবে। আমি মৌচাক গিয়ে তোমাকে নিয়ে আসবো। " "আচ্ছা ঠিক আছে"। মনে মনে ভাবলাম ওকে বাসায় নিয়ে এসে একটু বিশ্রাম নিয়ে খেতে বের হবো।

আর একারনে বাসায় কোন রান্না-বান্নাও করা হয়নি। সত্যি কথা বলতে আমি ভালো রাধঁতে পারি না। আমার রান্না খেলে তা আর জীবনে ভোলা লাগতো না। তারপর কিছুক্ষন ঘুরে-ফিরে বাসায় আসবো আর রাতে ও তো চলে যাবে। আর দেরি করা ঠিক হবে না সময় হয়ে গেছে ও হয়তো এতক্ষনে মৌচাকের কাছাকাছি চলে এসেছে।

বের হলাম বাসা থেকে। মৌচাকে পৌছাতেই ওর ফোন। দেখা হলো অচেনা মানুষটির সাথে। কি বলবো। কি বলা উচিৎ।

ভেবে পাচ্ছিলাম না। এত ভাবার কি দরকার বলে ফেললাম "আসতে কোন প্রবলেম হয়নি তো"। "না না" "রাস্তা ক্রস করতে হবে। আরে ঐদিকে না, এইদিকে আস। " বাসায় পৌছালাম।

ওকে বললাম- "যাও ফ্রেশ হয়ে নাও" "হ্যা যাচ্ছি" ও বাথরুমে ঢুকল। আমার যেন কেমন লাগছিল। কি করতেছি, না করতেছি বুঝে উঠতে পাচ্ছি না। সব কিছু কি ঠিক হচ্ছে! না ভাবতে পারছি না। যা হোক না কেন, তা হয়তো ভালোর জন্যই হবে।

আর ভাববো না। এত ভেবে তো ফল-ফুল কোনটাই পাচ্ছি না। ও বাথরুম থেকে বের হলো। আমি বললাম- "একটু রেস্ট নিয়ে নেও। বের হতে হবে"।

"কোথায় যাবো"। "খেতে হবে না! বাহিরে খেয়ে নিবো"। ও কিছুক্ষন ভেবে বলল- "বাসায় কি চাল আছে!" "হ্যা আছে" "আলু-টালু কি কিছু হবে" "হ্যা হবে" "হলুদ মরিচ কি আছে?" "হ্যা আছে" "তাহলে আর চিন্তা কি, আমি রান্না করি চলো" আমি ভাত চাপিয়ে দিলাম। ও আলু কাটল। ঔদিন খাবারের আইটেম ছিলো ভাত সাথে ডিম+আলু।

রান্না শেষ! খেতে বসলাম। একটু যে আরাম করে খাব তারও উপায় নাই। ফ্যানটা নষ্ট হবার আর সময় পেল না। বেচারারও অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বলতে পারছে না।

মুখে হাসি নিয়ে বলল -"কোন সমস্যা নাই, তার থেকে বলো রান্না কেমন হলো!" "হ্যা খুব ভালো হয়েছে" "আরো ভালো হইতো যদি আর একটু মশলা দেওয়া যেতো"। খাওয়া-দাওয়ার পাঠ শেষ করলাম। গল্প করতে লাগলাম। কি সব গল্প যার কোন মাথা-মুন্ডু নাই। সব আজাইরা কথা বাতা।

এই গল্পের কোন মানে না থাকলেও একটা মজা পাচ্ছিলাম। ও এখন আমার কাছে আছে - ভাবা যায়! সেই অচেনা-অজানা একটা মানুষ যার সাথে প্রতিনিয়ত মনের কথা শেয়ার করেছি সে-ই মানুষটা আজ আমার সামনে, আমরা একে অপরের খুব কাছাকাছি বসে কথা বলছি। হঠাৎ করে ও আমাকে স্পশ করল। কিছু না বুঝে উঠতেই মনের ভিতরটা ছাত করে উঠল। এ কোন শিহরন আমার মধ্যে জেগে উঠল।

আমি কোন দিকে পা বাড়াচ্ছি। অবশ্যই ভুল দিকে। কিন্তু কেন! সব কিছু বুঝেও কেন এইদিকে পা দিচ্ছি। যা কোন সম্পকের মধ্যে পড়ে না যাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ নাই তার সাথে...এটা কি হচ্ছে! না না এগুলো পাপ। কিন্তু পাপ কেন হবে আমি কি অন্যায় কাজ করতেছি।

না কিছু বুঝতে পারছি না। কিছু না বোঝার আগেই কি যেন ঘটে গেলো। মনের অজান্তে ওর সাথে একাত্ত হওয়াটা কি ঠিক হলো। মনের কাছে এই প্রশ্নটাই করে যেতে লাগলাম। কিন্তু কোন উত্তর মিলল না।

না পেলাম মনের কাছ থেকে সাড়া, না পেলাম কোন স্বতি। মনে হচ্ছিল কি যেন হারিয়ে ফেলেছি। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। ওর একটা অসুস্থতার সাটিফিকেট লাগবে অফিসে জমা দিতে হবে কারন ও সিকলিভ নিয়েছে আর গাড়ির টিকিট কাটতে হবে। তাই বের হলাম বাসা থেকে।

প্রথমে গাড়ির টিকিট কাটলো পরদিন দুপুর দেড়টায় গাড়ি। টিকিট কাটার ঝামেলা শেষ করে রওনা হলাম শাহবাগের দিকে। ওর এক দাদা হলো ডাক্তার, সে থাকে আজিজ সুপার মাকেটের এপাটমেন্টে। রিকশা নিয়ে গেলাম শাহবাগে। ও ফোন করল দাদাকে, দাদা জানাল যে সে ফামগেটে আছে মাত্র রওনা দিবে।

এখন কি করি। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে। ও বলল- চলো টি এস সির দিকে যাই। শাহবাগ থেকে হাটঁতে লাগলাম। ওখানে বসলাম অনেকক্ষন।

ওর দাদা এলো আমরা ওখান থেকে উঠে আজিজের দিকে হাটঁতে শুরু করলাম। আমি আজিজের নিচে দাড়িয়ে রইলাম , ও উপরে গেলো। অনেকক্ষন হয়ে গেলো কোন খবর নাই। রাতে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে রাস্তার পাশে বিষয়টা একটু অড মনে হয়। আমি ওকে ফোন দিলাম- "কই তুমি, কতক্ষন লাগবে" "এই তো হয়ে গেছে, একটু ভুল করে ফেলেছে দাদা তাই দেরি হচ্ছে" অত:পর ও আসল আর একটা রিকশা নিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছি।

ওকে বার বার ছুঁতে ইচ্ছা হচ্ছিল। কেন এরকম হচ্ছে, কিসের জন্য হয়! আমি ওকে ভালোবাসি না আর ও আমাকে ভালোবাসে না তাহলে আমার কেন এরকম হচ্ছে। আমি তো সব কিছুই বুঝি তারপরও নিজেকে কেন জড়িয়ে ফেলছি। বেশি ভাবতে গেলে চুল পেকে যাবে আপাতত ভাবনাটা বাদ দেই। বাসায় পৌছালাম।

কিন্তু রাতে কি খাব। আমার অবশ্য খিদে নাই। সব খিদে মরে গেছে। ওকে জিগ্ঘাসা করতেই বলল- "যে ভাত তরকারি আছে তাতে দুজনারই হয়ে যাবে কি বলো। " "আমারও তাই মনে হচ্ছে।

" তো আর রান্নার ঝামেলা নাই। দুপুরের আইটেম দিয়েই সেরে নিলাম ডিনার। তবে রাতের খাবারটা কিন্তু খুব একটা খারাপ হয়নি। শুধু ভাতটা নরম হয়েছিলো। ওর সাথে থাকাতেই সময়টা যেন খুব দ্রুত যাচ্ছে।

ইচ্ছা করছিলো ঘড়ির কাঁটা বন্ধ করে দেই। বন্ধ করেও তো কোন লাভ নেই। সময় চলেই যাবে। সুখের সময়গুলো মনে হয় একটু তাড়াতাড়ি যায়। ওর সাথে রাত্রিযাপন কখনো যা ভাবি নাই তাই হতে যাচ্ছে! কি ভয়ানক কথা! শুধু ভয়ানক বললে ভুল হবে বলতে হয় মহা ভয়ানক কথা।

ভাবলেই গা শিউরে উঠে। কিন্তু মন যে মানে না। মনের বিরুদ্ধে কাজ করবো তার শক্তিও পাচ্ছি না। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি ঠিক খেয়াল করতে পারছি না। অবশেষে সকাল হলো, ঘুম ভাঙলো।

তখন সকাল আটার মতো। ও ঘুমাচ্ছে। ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষন আর ভাবছিলাম, আর কি কিছু হওয়ার বাকি আছে। নাকি এখানেই সব শেষ। ও কি ভাবছে আমার সম্পকে।

আমি খুব খারাপ! হ্যা সত্যি তাই আমি আসলেই খুব খারাপ, তা-না হলে এধরনের কাজ করতে পারে কেউ! আমার কেন জানি বলতে গেলে হঠাৎ করেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ভবিষ্যৎ ভাবলেই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কি করলাম, কেন করলাম, কিসের আশায় করলাম- মনের কাছে বারবার উত্তর জানার চেষ্টা করলাম কিন্তু কোন ফয়দা হলো না। খুব কাদঁতে ইচ্ছা হলো। চোখের জলটাকে বের না করার জন্য অনেক চেষ্টা করলাম।

না পারলাম না অল্প করে বের হলো। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। ও কি আমাকে বুঝতে পারবে। হয়তো কখনো বুঝতে পারবে না। আর বোঝার তো কথাও নয়।

আমি তো ওর এমন কিছু হই না যে সে আমাকে বুঝবে। ওর তো কোন দোষ নেই। আমি না চাইলে হয়তো বা এরকম হইতো না। আমি কি কিছু হারিয়েছি? আমি কি কাউকে ঠকিয়েছি? জানি না ভাবতে গেলে পুরো পাগল হয়ে যেতে হচ্ছে। সকালে নাস্তা কি হবে।

ওকে বললাম- " কি খাবে?" "সমস্যা নেই, না খেলেও হবে" "তা কি করে হয়, বিস্কুট আছে খেতে পার" " আচ্ছা যাবার আগে খেয়ে যাব" ওর গাড়ি ছিল সম্ভবত দেড়টার দিকে। ওকে অনন্তপক্ষে আধঘন্টা আগে বের হতে হবে। তার মানে একটার দিকে বের হলেই হবে। ওর যাবার সময়টা খুব দ্রুত যেতে লাগল। ওকে যেতে দিতে ইচ্ছা করছিল না।

তবে কিসের জোরে ওকে বেধে রাখবো। মনে হচ্ছিল সারাজীবন ওর সাথে..না না কি সব উল্টা-পাল্টা ভাবছি। কখনো সম্ভব নয়। যাবার আগের মুহুতে ও খাটে হেলান দিয়ে আছে আর আমি ওর বুকে মাথা রেখে আছি। ঐ সময়টা মনে হলো ওর বুকে মাথা রেখে খুব শান্তি লাগছিল।

পৃথিবীর সুখী মেয়েদের মধ্যে নিজেকে মনে হলো। কিন্তু এই সুখ-শান্তি ক্ষনিকের জন্য। খুব ভালো করে হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছি। করার কিচ্ছু নেই, বড় অসহায় লাগছে নিজেকে। মনের ভিতরটা কুড়ে কুড়ে মরছে।

তারপরও একটা অজানা টানে বারবার ওকে জড়িয়ে ধরছি। রজনিকান্তের একটা গানের কথা মনে পড়ছে ভীষনভাবে- "আমি ছুটিয়া বেড়াই জানি না কি আশে, সুধা পান করে মরি গো পিয়াসে। " দেখতে দেখতে সময় চলে আসল, ওকে যেতে হবে। যাবার সময়টা আর একবারের জন্য জড়িয়ে ধরা। আর হবে কিনা ওর সাথে দেখা...জানি না ভাগ্যে কি আছে! ও চলে গেলো।

ও যাবার পর পরই একটা অদ্ভুত কাহিনী হলো। চোখ থেকে অনবরত জল পড়তে লাগল। আরে কি বিপদ আমি কাদঁছি কেন? এতটা কষ্ট কেন হচ্ছে? ওর তো কোন কষ্ট হচ্ছে না। তাহলে আমি কেন কষ্ট পাচ্ছি! অনেক কেদেঁছি। এবার থাম বাবা আর কত জল আছে চোখে! এই জল মনে হয় ফুরাবার নয়।

নিজেকে সামলাতে খুব ঝামেলা পোহাতে হলো। শুয়ে আছি। সারাক্ষন ওর চিন্তা, কি যে ঝামেলা। যতই ভুলতে চাচ্ছি ততই বেশি করে মনে পড়ে ওর কথা। ওর পৌছাতে রাত হবে।

আমি ওকে দুপুর দুইটার দিকে ফোন দিয়েছিলাম তখন গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। আমার দায়িত্ব শেষ। ও কি আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখবে। জানি না বলতে পারছি না। ওর ফোনের অপেক্ষায় থাকলাম।

রাত তখন আটার মতো হবে। ফোনটা বেজে উঠল-রিসিভ করলাম "আমি পৌছে গেছি" "এত তাড়াতাড়ি কিভাবে গেলে, কোন সমস্যা হয়নি তো" "না কোন সমস্যা হয়নি। রাস্তা ফাকাঁ ছিল তাই পৌছে গেছি"। ওর ফোনটা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চিন্ত হলাম।

রাতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ঠিক খেয়াল নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি ভীষন ভাবে জ্বর আসছিল। শরীরটা খুব একটা ভালো লাগছিল না। পরদিন অফিসে গেলাম কিন্তু কাজে মন বসাতে পারছিলাম না। এরকম কেন হয়।

আমি তো কাউকে ভালোবাসি নাই। তবে ভালোবাসার সেই অনুভূতিগুলো কেন আমার ভিতর হচ্ছে। ভালোবাসি না ভালোলাগার জন্যই কি এত কিছু! আমাদের সম্পকটা কিভাবে সংঙ্গায়িত করা যায়। বন্ধুত্ব তা কি স্পষ্ট ভাবে বলা যায়! কোন কিছুর মধ্যেই পড়ে না। ভাবছি কি নাম দেওয়া যায়।

একটা নাম অবশ্য মাথায় আসছে কিন্তু না বলা যাবে না। অফিস শেষ করে বাসায় গেলাম। কি মারাত্তক অবস্থা আবারো কান্না পাচ্ছে। এত জল চোখে জমে আছে। এই জল কি শেষ হবে না।

ভাবছি কিছু জল বোতলে জমিয়ে রাখি। কিছুদিন যাবার পর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে লাগলাম। ভুলে যাবার চেষ্টা করছি সব কিছু। কিন্তু পারছি কই। যতই ভোলার চাচ্ছি ততই জড়িয়ে ফেলছি নিজেকে।

ওর সাথে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে। কিন্তু কি পাবার আশায় কথা বলছি। কেন বলছি, কেন নিজেকে সরিয়ে আনতে পারছি না। কেন ব্যথ হচ্ছি বারবার। কেন শুধু সেই স্মৃতিগুলোর কথা মনে পড়ছে।

উত্তর খুজেঁ বেড়াই সারাক্ষন। কিন্তু উত্তর মিলে কই। শুধু আনন্দ করেই বতমান সময়টা পার হচ্ছে। এই আনন্দই কি জীবনে সবকিছু। হয়তো এমন একটা সময় আসবে যখন খুব আফসোস হবে।

নিজের প্রতি খুব ঘৃনা জম্মাবে। হয়তো এমন একদিন আসবে ওর সাথে কোন যোগাযোগ নাই। হঠাৎ একদিন দেখা..কারো মুখে কোন কথা নাই। শুধু তাকিয়ে থাকা। তখন কি ও আমাকে চিনতে পারবে...কি জানি হয়তো পারবে হয়তো না।

হয়তো ও কিছুক্ষন ভাববে যে এই মেয়েটাকে খুব পরিচিত মনে হচ্ছে, কোথায় যেন দেখেছিলাম। তখন কি ও আমার সাথে কথা বলতে চাইবে। ওর মনে কি সেই স্মৃতিগুলোর কথা মনে পড়বে। কি হবে তখন! আমার ভিতর কি তখন কোন পরিবতন আসবে। হয়তো না।

হয়তো তখনও ইচ্ছা হবে ওকে একটু স্পশ করার, ওকে ছুয়েঁ দেখার। কতটা বেহায়া আমি। নিজেকে ছোট করতেও মন বাধা দিচ্ছে না। মনের ইচ্ছাগুলো কতটা অবলিলায় শেয়ার করছি। তখন ও হয়তো ওর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করবে।

কি ঘটেছিল লাইফে তা হয়তো ও বেমালুম ভুলে যাবে। কিন্তু আমি তো ভুলতে পারবো না। কত সহজে ও আমাকে ভুলে যাবে! আর আমি বিষয়টা সহজ করে নিতে পারছি না। আচ্ছা ও যখন ফেসবুক লগইন করবে তখন তো আমায় মনে পড়ে যাবার কথা। নাকি তখনও মনে পড়বে না।

ছেলেদের সম্পকে আমার আইডিয়াটা কম। ওরা কি অতি সহজেই সব কিছু ভুলে যেতে পারে। হয়তো মেয়েরাও পারে। কিন্তু আমি পারি না কেন! আমার কোথায় প্রবলেম হচ্ছে। নাকি ওকে হারানোর কষ্টটা মনে নিতে পারছি না।

ওর সাথে তো কোন মনের সম্পক নাই। নাকি আছে! নিজের মনটাকেই বুঝে উঠতে পারলাম না। অন্যের মনের কথা আর কি বলব। ওর সাথে একান্তে কিছু কথা বলার আর কি কোন সুযোগ আসবে। হয়তো এই জীবনে আর আসবে না।

ওকে কখনো কিছু বলতে পারিনি আর বলতে চাচ্ছিও না। মনের কথা মনেই থাক। অনেক নিলজ্জের মতো কাজ করেছি আর নয় না-ই করলাম। জীবনটা তো বড়ই ক্ষুদ্র আর এই ক্ষুদ্র জীবনে না হয় একটা ভুল-ই করলাম। আর এই ভুলের মাশুল নয় সারাজীবন বয়ে বেড়াবো।

ওকে ছাড়া তো এই কথাগুলো কারো সাথে শেয়ারও করতে পারছি না। পেটের অবস্থা তো বারোটা। কথা ভিতরে জমিয়ে রাখতে রাখতে পেট ফুলে ফেপে উঠেছে। এখন পযন্ত ওর সাথে যোগাযোগ আছে। এই লেখা যে দিন ও পড়বে তারপর থেকে ও হয়তো আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখবে না।

আমি ওর ফোনের অপেক্ষায় থাকবো কিন্তু ফোন আর বেজে উঠবে না। বারবার ফোনটা হাতে নিবো এই বুঝি ওর কল এলো। না মনের ভুল ওর কোন কলই আসে নাই। রাতে হয়তো ওকে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়বো। আর এভাবেই হয়তো মনের ভিতর চাঁপা একটা যন্ত্রনা নিয়ে আমি আমার লাইফটা কাটিয়ে দিবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.