সততাই সবসময় রাখা চাই,বাচিবার তরে । ওমরা খালি ভোটের সময় আইসে ভোট নেওয়ার জন্যে। হামাক গুলাক কিছু দেয় না। চেয়ারম্যান-মেম্বার কায়ও হামারগুলার খোঁজ নেয় না’— কথাগুলো বলছিলেন গঙ্গাচড়ায় শামুক কুড়াতে আসা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী উরুং সমপ্রদায়ের দুই নারী মালতি ও সুচিত্রা।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বলদিপুকুর এলাকায় যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা গঙ্গাচড়া থেকে বলদিপুকুরের দূরত্ব কমপক্ষে ৬০ কিলোমিটার। সেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাস, রিক্সা-ভ্যানযোগে উরুং নারীরা এসেছেন গঙ্গাচড়ায়। শামুক সংগ্রহ করে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন বাস কিংবা ভ্যানের জন্য। তখন দুপুর গড়িয়ে বিকাল ৪টা। ঠাণ্ডায় হিম হয়েছে শরীর।
গায়ে কাঁপুনি উঠেছে। তাদের শরীরে নেই কোন গরম কাপড়। একসঙ্গে ১০ জন এসেছেন তারা। এদের মধ্যে মালতি, সুচিত্রা, মিনি, বুধনি বললেন, তাদের দুঃখের কথা, কষ্টের কথা।
মালতি বললেন, ‘হামার গুলার কোন জায়গা জমি নাই।
অন্যের জমিত প্রজা হিসেবে থাকি। ’ আর দশজনের মত এরাও ধান কাটে, রোয়া লাগাসহ অন্যান্য কাজও করে। তাদের পাশাপাশি স্বামীরাও কাজ করেন। তবে তারা দুঃখ করে বলেন, ‘হামাক গুলাক ভিজিডি ও ভিজিএফ সাহায্য দেয়না। ওমরা খালি ভোটের সময় ভোট নিবার আইসে।
কায়ো আর খোঁজ-খবর নেয় না। ’ সুচিত্রা বলেন, তারা খাল-বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে গর্তে পুঁতে রাখেন। বছরের বেশিরভাগ সময় তারা শামুকের ভেতরের অংশ খেয়ে থাকেন। উপরের খোসা দিয়ে চুন তৈরি করে তাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। তারা প্রতিদিন ৩০/৪০ কেজি শামুক সংগ্রহ করে।
এ সময় মিনি বলেন, ‘হামরা গুলা মাছ-মাংস খাবার পাইনা। তাই ইগলা খাই। ’ তারা জানান, বলদিপুকুর এলাকায় ৪/৫’শ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবার বাস করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।