আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টগ্রামে গার্ডার ভেঙ্গে পড়া মূল সংবাদ মাধ্যমে নিহতের সংখ্যা একই

চট্টগ্রামে গার্ডার ভেঙ্গে পড়া মূল সংবাদ মাধ্যমে নিহতের সংখ্যা একই এটা কোন সংবাদ মাধ্যমকে চ্যালেঞ্জ করা নয়। কিন্তু বাংলাদেশে এটাই সাংবাদিকতা। লিখছি চট্টগ্রামে নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে পড়া নিয়ে। এ দুর্ঘটনা দুবার ঘটল। এটা একটা অভূতপূর্ব বিষয় সারাদেশে।

যাক -আজ রাতে আমি আসছিলাম কাপ্তাই থেকে। কাপ্তাই বাস টার্মিনালে নামতে নামতে শুনছি নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে পড়ে প্রায় একশ নিহত হয়েছে। এ কথা সব পথচারির মুখে মুখে। ঠিক পথচারি নয় অনেকে প্রত্যক্ষদর্শী। তারা জানাচ্ছেন গার্ডারের নীচে আড্ডা দিচ্ছিল এবং সবজি বিক্রেতা ছিল।

এদের সংখ্যা ১০০ এর কম নয়। এরা প্রত্যেকে নিহত হয়েছে বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীদের। আমি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছি তার আধ ঘন্টা আগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আমি গিয়ে দেখলাম পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। পুলিশ জনতাকে তাড়াচ্ছে।

সেটা লাঠিসোটা নিয়ে। কিংবা আর এক দফা দুর্ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যে। তখন আমি চলে আসলাম। কারণ আমার কোন অফিস এসাইনমেন্ট নয় এটি। যেহেতু কাপ্তাই থেকে আসছি সেহেতু আমি একজন পথচারি।

সোজা আমি বাসায় ফিরলাম। এই তো একট্টু আগে আমার প্রাক্তন একজন সহকর্মিকে ফোন করলাম। তাকে আমি যেটা ধারণা করেছিলাম সেটা জানালাম। তিনি স্পটে আছেন। তিনি বললেন, আমার ধারণাই সত্য।

যেটাকে বলা হয় লাশ গুম করা। যেটাকে বলা হয় রাজনীতি। কিšত্তু এদেশের মানুষ যে সব সংবাদ মাধ্যমকে সবচেয়ে বিশ্বস্থ্য মনে করে সেসব সংবাদ মাধ্যমে অনেক বিষয়ে অমত থাকলেও এই ঘটনায় তারা একমত ‘ লাশের সংখ্যা ২” নাকি ‘৩’। অবাক বাংলাদেশ। কারণ ভোটের শংকা।

একশ’ কে ২ বা ৩ করা কোন ব্যাপার না। এটা সাংবাদিকতা বা রাজনীতি। এটা না পারলে সাংবাদিকতা বা রাজনীতি কোনটাই সফল হবে না। মারহাবা!! তুমি মর বা বেঁচে থাক। আমি আমার টা চালিয়ে যাব।

কারণ আমি জন্ম থেকে নাদান। আমার চৌদ্দ পুরুষ নাদান!!!! সত্য বলা আমার পক্ষে অসম্ভব!! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।