আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোগীর স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও ডাক্তারের দোষ?

মেন্টাল উন্ডস নট হিলিং লাইফ'স আ বিটার শেইম আই এম গোইং অফ দ্যা রেইলস অন আ ক্রেজি ট্রেইন !! মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে যারা সবসময় রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত আজ তাদেরই উপর নির্যাতন ! শুধু নির্যাতন বললে ভুল হবে, একে চিকিৎসা পেশার মর্যাদার অবমাননা বলা উচিৎ। ঘটনার সূত্রপাত ২১শে নভেম্বর শের-এ-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় গৌরনদীর মোকরিমন বিবিকে (৬০) ১৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা। বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টায় তিনি মারা যান। ঘটনার জেরে তার ছেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক তন্ময় বড়ুয়াকে মারধর ও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

এ সময় অন্যান্য সহকর্মী চিকিৎসকেরা এগিয়ে এলে তাঁদেরও লাঞ্ছিত করেন তাঁরা। এ ঘটনায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা ঐদিন সকাল হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট এবং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা কি শুধুই একটা ঘটনা ? নাকি দীর্ঘদিনের চলে আসা বিবেক-বিবর্জিত আচরণ ধারার বহিঃপ্রকাশ ? এর আগেও যে এমন ঘটেনি তা নয় কিন্তু প্রশাসনের দীর্ঘমেয়াদী নীরবতা এবং বারবার আশ্বাস দিয়েও কোন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। নেই কোন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, নেই কোন নিয়মনীতির বালাই। ডাক্তাররা দিন-রাত ডিউটি করবে অথচ তাদের নিরাপত্তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

কিন্ত আর কত ? এই ঘটনা আজ বরিশালে হয়েছে, কাল যে অন্য জায়গায় হবে না তার নিশ্চয়তা কী ? তাই বলে একজন ডাক্তার অপমানিত হবেন আর অন্যরা কেন বসে বসে দেখবে ? পেশার খাতিরেই একজন ডাক্তার কখন পারেন না আর এক ডাক্তারের এমন লাঞ্চনা সহ্য করতে। এই আন্দোলন কেবল শুরু, দাবি না মানা পর্যন্ত চলমান থাকবে। দেশের বিভিন্নস্থানে অবস্থানরত এবং কর্মরত সিনিয়র-জুনিয়র ডাক্তারদের তাই পাশে থাকার আহবান জানাচ্ছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.