আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্যালেস্টাইনের শান্তি, হামাস এবং হামাসের ছেলে - মোসাব হাসান ইউসেফ।

Everyone is entitled to my opinion. (১৯৯৩ সালে) ইজরায়েল এবং ইয়াসের আরাফাত এক গোপন আলোচনা শুরু করে যা কিনা পরবর্তীতে অসলো সন্ধি চুক্তিতে পরিণত হয়। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে আরাফাত ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী রবিনকে একটি চিঠি লেখেন যে চিঠিতে তিনি সরকারীভাবে ইজরায়েল রাষ্ট্রের শান্তিতে এবং নিরাপদে টিকে থাকার অধিকার স্বীকার করে নেন। একই সাথে ইজরায়েলের প্রতি সন্ত্রাস এবং আক্রমণাত্মক আচরণ পরিহার করার অঙ্গীকার করেন। এরপর রবিন PLO কে প্যালেস্টাইনী জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকার করে নিলেন। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন সংগঠনটির উপর থেকে আমেরিকান সম্পর্কের উপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলেন।

সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে হোয়াইট হাউসে তোলা আরাফাত এবং রবিনের করমর্দন রত ছবি দেখল। সেই সময়কার এক জরীপে দেখা যায় গাজা এবং পশ্চিম তীরের অধিকাংশ প্যালেস্টাইনী মানুষেরই Declaration of Principles (DOP) নামে পরিচিত এই চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি সমর্থন ছিল। এই প্রামাণ্য দলিলের কারণে Palestin Authority (PA) এর গঠন সম্ভব হয়েছিল; গাজা এবং জেরিকো থেকে ইজরায়েলী সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল; এই দুই অঞ্চলে স্বায়ত্ত শাসনের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল; এবং তিউনিসিয়ার নির্বাসন থেকে আরাফাত এবং PLOর প্যালেস্টাইনে ফিরে আসার দরজা খুলে গিয়েছিল। কিন্তু আমার বাবা DOPর বিরোধী ছিলেন। তিনি ইজরায়েল কিংবা PLO কাউকেই বিশ্বাস করতেন না।

ফলশ্রুতিতে এই শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি তার কোন আস্থা ছিল না। তার কথা অনুযায়ী হামাসের অন্যান্য নেতাদেরও নিজস্ব কারণ ছিল এই চুক্তির বিরোধিতা করার। যে কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল এই যে এই চুক্তি চিরস্থায়ীভাবে টিকে যেতে পারে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অর্থ হবে হামাসের যবনিকা পাত। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে হামাস সংগঠনটির শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে ওঠার সম্ভব হবে না।

অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলিরও এই দ্বন্দ্ব চালিয়ে নিয়ে যাবার পেছনে নিজস্ব লাভ-ক্ষতির ব্যাপার ছিল। বিভিন্ন ধরনের দল-মানুষের বিভিন্ন রকম লক্ষ্য এবং স্বার্থ যেখানে বিদ্যমান থাকে সেখানে শান্তি অর্জন করা খুবই কঠিন একটি বিষয়। উপরের নির্বাচিত অংশটি হামাসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ হাসান ইউসুফের বড় ছেলে মোসাব হাসান ইউসুফের লেখা "Son of Hamas" বইয়ের ৮ম অধ্যায় "Fanning the fire" এর কিছু নির্বাচিত অংশের অনুবাদ। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উভয় পক্ষেরই সদিচ্ছা হল সবচাইতে বড় এবং প্রয়োজনীয় শর্ত। লেখার এই অংশ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে হামাসের সেই সদিচ্ছার অভাব আছে এবং তারা ইচ্ছুক নয়।

আজকে ইজরায়েলের সাথে সাময়িক শান্তি চুক্তিতে প্যালেস্টাইনীরা আনন্দিত কিন্তু এই আনন্দ চিরস্হায়ী হবে কি? কোনই সম্ভাবনা নেই। এই শান্তি পুনরায় অশান্তিতে পরিনত হওয়া আবারও শুধু সময়ের ব্যাপার। পাঠক, ইজরায়েলী সন্ত্রাসের কথা কিংবা ইজরায়েল কতটুকু ইচ্ছুক সেই আলোচনা করা এখানে অপ্রয়োজনীয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।