আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী জাতীয়সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর

উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সহমত। কোরআন আর বাইবেলের মতে সবাই আদম-হাওয়ার সন্তান। সব মানুষেরই আছে আবেগ অনুভূতি প্রেম ভালবাসা।

এত কবি সহিত্যিক তাদের সাহিত্যসাধনা দিয়ে মানবতাকেই প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ করেছেন প্রেম আর সত্যের উপলব্ধির। স্রস্টা এত সুন্দর পৃথিবীটা দিয়েছেন মানুষের জন্যই। মহান স্রস্টার প্রথম শিক্ষা তার শেষ্ঠত্ব মেনে নিয়ে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া। সৃষ্টি প্রেমে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া ।

মানবতার বিনাশ নয়। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই্ । কালো আর ধলো বাহিরে সবার ভিতরে সবার সমানই রাঙা। জাতি গোত্র রাষ্ট্র এগুলো মানুষের সৃষ্টি। তাই নিয়ে হানা হানি,হত্যাযজ্ঞ কোনভাবেই কাম্য নয়্আর এটাও সমাচীন নয় কারু ধমানুভূতিতে আঘাত দেয়া্ মন্দির ভেঙে ফেলা,মসজিদ অপবিত্র করা।

কিংবা জাতি গোত্র নিয়ে যুদ্ধ বাধানো। প্রাণের বিণাশ সাধন। সল্পায়ু মানুষ । আর অল্প কয়দিন বেচে থাকা। তাই সত্যের সন্ধানে মানব কল্যাণে অনাগত শিশুর বাসযোগ্য করে তোলার দৃপ্ত অঙ্গিকারই আমাদের ব্রত।

সেই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক সাপ্রদায়িকতাবিরুধী সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন। ধর্মকে পূজি করে যারা রাজনীতি করতে চায় তাদের অপতৎপরতায় সামপ্রদায়িকতা ,মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ আবার বাংলাদেশে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে এসব শক্তি রূখতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অবশ্যম্ভাবী। আর তাই আগামী ৮ ডিসেম্বর এই সম্মেলন। ভেন্যু মহানগর নাট্যমঞ্চ। রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্টজনেরা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষাবিদ ও ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সূত্র:-প্রথম আলো। বিশিষ্টজনেরা সম্প্রতি রামু ঘটনায় বৌদ্ধসমপ্রদায়ের উপর সংঘটিত সামপ্রদায়িক নির্যতনের ঘটনায় শোক ও উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন। যদিও ঘটনার শুরু উত্তম বড়ুয়া নামক এক বৌদ্ধ ব্যক্তির ফেস বুকে তার মন্তব্য করা এবং তা নিয়ে আওয়ামীলীগ যুবলীগের মিছিল শ্লোগান। তারপর জনরোষ আর এই ধ্বংসযজ্ঞ।

সরকার যথারীতি উত্তম বড়ুয়াকে শিবির কর্মী করে দোষ চাপিয়েছেন জামাতের ঘারে। রোহিঙ্গারাও সমপৃক্ত হয় তাতে। উপজাতি -আদিবাসীরা পারস্পরিক সম্প্রীতির উপর কতটা শ্রদ্ধাশীল সেটাও ভাবার বিষয়। পার্বত্য এলাকা তারা তাদের রাম রাজত্ব মনে করে থাকেন?? যাই হোক আমাদের বিশিষ্টজনেরা মনে করেন,ওই ঘটনার পর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচারপ্রক্রিয়া ব্যহত করতে দেশব্যাপী সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব নির্যাতন রোধ করতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

আনিসুজ্জামান বলেন আমাদের বিশ্বাস কেবল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত রেখেই অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। দেশ থেকে সামপ্রদায়িকতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ গুলো চিহ্ণিতহবে সম্মেলনে। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি বলেন রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই যে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকবে না।

কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক বলেন কোন দলের বিরুদ্ধে নয় আমাদের অবস্থান সামপ্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। সুলতানা কামাল বলেন সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রকাশ্য প্রচারণা সামাজিক ধর্মীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে,বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এদের রোধ করতে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন রাজনৈতিকভাবে আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ছিলে জাফরইকবাল সাহেব ও তার ভাই হুমায়ূন আহমেদের নামাযে জনাজায় অংশ নিয়ে কবর দিয়ে অশ্রুপাত ও তিনি করেছেন। (তিনি একজন মহাঞ্জানী নাস্তিক) দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর বিপক্ষের শক্তি এই বিভাজন কারা করেন?মানুষের ধর্মীয়মূল্যবোধে আঘাত কারা করেন?তাদের করা এই সব সো কল্ড অসাম্প্রদায়িক ব্লা ব্লা ব্লা এর পৃষ্ঠপোষক আর ডোনার কারা?এরা ধর্ম সম্পর্কেৃ কতটা ওয়াকিবহাল আছেন্। তারা ব্যক্তিগত লাইফে কতটা সু শৃঙ্খল। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় তাদের ভূমিকা কতটুকু?তাদের কি স্বদেশ প্রেম আছে?দেশে গনতন্ত্র সংকটে তা নিয়ে তারা কথা বলেন না কেন?তারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য বা জনমত তৈরি করেন না কেন?সরকারের পুকুর চুরির ঘটনায় তাদের মুখবন্ধ কেন?তারা অসামপ্রদায়িক ,ধর্মভিত্তিক,স্বাধীনতাবিরুধী ৫০ বছর আগের ব্যপার নিয়ে মানুষের মাথা ওয়াশ করে অসৎ দুর্নীতিপরায়ন,দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়া শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে কি ফায়দা চান?তারা দূর্নীতিবাজ রাজনীতি বিদদের বিরু্দেধ জনমত গড়ে তুলেন না কেন?এই দেশের রাজনীতিবিদদের আত্নিক উন্নয়ন,যোগ্যতার উন্নয়ন,সততার উন্নয়ন,দেশপ্রেম আর সততার উন্নয়ন না হলে এই ১৫ জন বুদ্ধিজীবি দেশের কি উন্নয়ন ঘটাবেন ?অশ্বডিম্ব? অশ্বডিম্ব থেকে অশ্বের জন্ম হয়না। আগে চাই সুষ্ঠু গনতন্ত্র,গণতন্ত্রের চর্চার পরিবেশ গনতান্ত্রিক সরকার তারপর জনগোষ্ঠীর জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ।

সবাইকে শুভকামনা। রাজনীতিবিদরা মানুষ হোক। আমরা সকলেই মঙ্গল লাভ করি। অসাম্প্রদায়িকতা,মৌলবাদ,ধর্মভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এই সমস্ত যুযুর উপর ভর করে কোন অশুভশক্তি দেশকে দেশের অর্থনীতিবিনাশী শক্তি যেন ক্ষমতার মসনদে বসতে না পারে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।