আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষকদের ওপর চড়াও ছাত্রলীগ কমপক্ষে ৩০ শিক্ষক আহত

প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ.. কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালনরত শিক্ষকদের ওপর আজ সোমবার চড়াও হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এতে অন্তত ৩০ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকেরা পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা উপাচার্য, সহউপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি প্রক্টোরিয়াল বডিকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে ওই তিনজন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। আহত শিক্ষদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম ইয়াকুব আলী, আওয়ামী লীগপন্থী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আবুল আহসান চৌধুরী, সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি তোজাম্মেল হোসেন, বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি এ কে এম মতিনুর রহমান, নজিবুল হক প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা কয়েকজন শিক্ষক জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও ভেতরে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি মিছিল প্রশাসনিক ভবনের দিকে যায়। অনেক বহিরাগতও মিছিলে ছিল।

এরপর মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে বসে থাকা শিক্ষকদের মাড়িয়ে যেতে চাইলে শিক্ষকেরা বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন। এতে অন্তত ১৫ জন শিক্ষক আহত হন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটক আটকে শিক্ষকদের প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ করে সমাবেশ করেন।

এ সময় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুহুল কে এম সালেহ বলেন, ‘শিক্ষকেরা শান্তিপূর্ণভাবে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিলেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর নগ্নভাবে হামলা চালায়। ’ আজকের এ ঘটনা সহউপাচার্য কামালউদ্দিনের ইন্ধনে হয়েছে বলে শিক্ষকেরা দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিবের হামলা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।

আমরা তা প্রতিহত করেছি মাত্র। ’ সূত্র :প্রথম আলো ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.