আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দি ডিভাইন ম্যাট্রিক্স

জ্ঞানার্জনকে ব্রত করাই শ্রেয় । বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি, সৌরজগৎ , গ্রহ , নক্ষত্র নিয়ে আমাদের এই মহাবিশ্ব যার সীমা - পরিসীমা আমাদের চিন্তার ঊর্ধে । আমাদের চিন্তা ভাবনা , অনুভূতি কি এই সুবিশাল মহাবিশ্বে কোন ভুমিকা রাখতে পারে ? কিংবা কোন পরিবর্তন কি ঘটাতে পারে বহমান সময়ের স্বাভাবিক বিবর্তনকে ছাড়িয়ে ? গ্রেগ ব্রাডেন নামে একজন বিজ্ঞানী রয়েছেন যিনি প্রায় ২০ বছর ধরে মিশর , পেরু এবং তিব্বতের বিভিন্ন মঠগুলোতে ঘুরে ঘুরে খুঁজে বেড়িয়েছেন জীবনের নানা রহস্য , নানা প্রশ্ন যার উত্তর হয়ত লুকিয়ে আছে কোন এক প্রাচীন আধ্যাত্নিক গ্রন্থে কিংবা কোন প্রাচীন উক্তি বা সংস্কৃতির কোন এক রূপের মাঝে । তিনি কয়েকটি বইও লিখেছেন যেগুলোর সাথে আপনারা অনেকেই ইতোমধ্যে পরিচিত হয়ে থাকবেন । যেমন ঃ দি গড কোড , দি ডিভাইন ম্যাট্রিক্স , দি সায়েন্স অব কম্প্যাসন ইত্যাদি ।

এই ব্লগটিতে ডিভাইন ম্যাট্রিক্স নিয়ে দুটি কথা বলব । ব্রাডেন এটিকে একটি শক্তির ক্ষেত্র ( ফিল্ড অব এনার্জি ) হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা এই পৃথিবীর ভিতরে এবং বাইরে যা কিছু ঘটে তাদের মধ্যে সংযোগকারী সেতু হিসেবে কাজ করে । এটাকে একটা ধারকপাত্র হিসেবে কল্পনা করা যায় যা এই মহাবিশ্বকে ধারণ করে আছে । আবার এটি একটি দর্পণের ন্যায় যা আমাদের দেখায় সেটিই যা আমরা সৃষ্টি করেছি । আমাদের প্রাচীন জ্ঞান এবং কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সমন্বয়ে গ্রেগ ব্রাডেন ডিভাইন ম্যাট্রিক্সের কিছু মূলনীতি প্রদান করেছেন ।

সেগুলো হল ঃ ১, মহাবিশ্বের সবকিছুই একে অপরের সাথে সংযুক্ত এবং ডিভাইন ম্যাট্রিক্সে বিদ্যমান থাকে । ২, ডিভাইন ম্যাট্রিক্স হলগ্রাফিক । এর মানে হলো ক্ষেত্রটির যেকোন একটি অংশে সমগ্র ক্ষেত্রের সবকিছুই বিদ্যমান থাকে । ৩, অতীত , বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত । সময়ের ধারক হিসেবে ম্যাট্রিক্স আমাদের বর্তমানের পছন্দ এবং ভবিষ্যতের অভিজ্ঞতার মধ্যে অবিচ্ছিন্নতা প্রদান করে ।

আমরা চিন্তা ভাবনা নয় বরং আবেগ অনুভূতির ভাষা দ্বারা ম্যাট্রিক্সের সাথে সংযোগ স্থাপন করি । আমাদের ভালবাসা , ভয় , ঘৃণা ইত্যাদি অনুভূতিগুলো প্রকৃতপক্ষে একে নির্দেশনা প্রদান করে । ব্রাডেনের মতে , ম্যাট্রিক্সকে একটি বিশাল কম্পিউটার হিসেবে চিন্তা করা যায়, যার মধ্যে আমরা বিশ্বাস, আবেগ অনুভূতি ও প্রার্থনার মাধ্যমে তথ্য প্রদান করি এবং বাস্তব জীবনে এর ফলাফল দেখতে পাই । কিছু আবেগ অনুভূতি আমাদের ডিএনএর ডাবল হেলিক্সকে প্রসারিত করে যার ফলে আমরা সুখানুভূতি লাভ করি । আবার কিছু আবেগ ডিএনএ কে সঙ্কুচিত করে যার ফলে আমাদের দুঃখ হয় ।

তাই বলা যায় আবেগ অনুভূতি ডিএনএর পরিবর্তন ঘটায় । আবার ডিএনএ ফোটন কণাকে প্রভাবিত করতে পারে । একটি পরীক্ষায় দেখা যায় যে , কতগুলো ফোটন কণাকে একটি পাত্রে রাখলে তা বিশৃঙ্খল অবস্থায় থাকে । পড়ে ঐ পাত্রে ডিএনএ দেয়া হলে ফোটন কণাগুলো একটি নির্দিষ্ট সজ্জায় বিন্যস্ত হয় । ডিএনএ অণুগুলো সরিয়ে নেয়া হলেও ফোটন কণাগুলো পুনরায় বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে না ।

অর্থাৎ ডিএনএ ফোটনকে প্রভাবিত করতে পারে । আবার আবেগ ডিএনএর পরিবর্তন ঘটায় । তাই একথা বলা যায় যে , আবেগ অনুভূতি পদার্থের পরিবর্তন ঘটাতে পারে । এরকম অনেক পরীক্ষা রয়েছে যার দ্বারা মহাবিশ্বের উপর আমাদের মনের প্রভাব প্রমাণ করা যায় । অর্থাৎ আপনিও পারেন আপনার মন ও হৃদপিণ্ডের শক্তি দ্বারা আপনার চারপাশের পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে ।

গ্রেগ ব্রাডেন একটি কনফারেন্সে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন । এটি তার ইউটিউব ভিডিও লিঙ্ক । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।