আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইবলিশ শয়তান এবং নাস্তিকতা - ২য় পর্ব ( ইহা নাস্তিক মামাদের জন্য গাত্রদাহ মূলক পোষ্ট নহে)

We must not exist, our existance is the most impossible thing. জ্বিন জাতিরে যখন ধ্বংস করার হুকুম দেওয়া হয়, তখন ফেরেশতাগন দয়া পরবশ হইয়া বালক ইবলিশকে হত্যা না করিয়া সংগে করিয়া লইয়া যান। সৃষ্টিকর্তার অনুমতিক্রমে উহাকে প্রথম আসমানে রাখিয়া লালন পালন করার কাজে আন্জাম দেন। ইবলিশ শয়তানের প্রখর মেধার কথা বিভিন্ন কিতাবাদিতে জানা যায়। সে অতি অল্প সময়ে ইবাদত বন্দেগিতে চরম উৎকর্ষ সাধন করিয়া বসে। সপ্ত আকাশে নাকি এমন কোন যায়গা নাই যেখানে সে সিজদা করে নাই।

প্রথম আসমানে ইবাদতে পূর্নতা অর্জনের পরে ২য় আসমান। ২য় আসমানে ইবাদতে পূর্নতা অর্জনের পরে ৩য় আসমান -- এইভাবে সে সপ্তম আসমান পর্যন্ত পৌছাইয়া যায়। অতঃপর এমন একটা সময় আসে যখন তাহার উপাধি হয় "মুআল্লেমূল মালাইকাহ" অর্থাৎ "ফেরেশতাদের ওস্তাদ", সপ্তম আসমানে সে নাকি ফেরেশতাদেরকে ওয়াজ নসিহত করিত। ৬ লক্ষ বৎসর ধরিয়া ইবাদত বন্দেগি করিবার পরও, ফেরেশতাদের ওস্তাদ খেতাব পাওয়ার পরও সে কিভাবে অভিশপ্ত শয়তান হইয়া গেল - তাহা ভাবিলে আশ্চর্য হইতে হয়। ইবলিশ শয়তানের অবস্থানটা খালি চিন্তা করেন।

কি পরিমান সন্মান এবং প্রতিপত্তি সে পাইয়াছিল। তাহার পরও সে কেন সন্মানের উচ্চ দরওয়াজা হইতে বিতাড়িত হইল? বিজ্ঞ-ওলামাগন বলেন, ইবলিশ শয়তানের পতনের কারন হইল তাহার "নফস"। এক মহা শক্তিশালী নিম্নবুদ্ধির সৃষ্টি হইল নফস। আপনার আমার প্রত্যেকের ভিতরে ইহা আছে। যত রকমের খারাবি আছে, সবকিছুর উৎপত্তি নফস হইতে।

ইবলিশ শয়তানের জন্য কোন শয়তান ছিল না, যে তাহাকে কুমন্ত্রনা দিবে, কিন্তু তাহার নফস তাহার সাথেই ছিল। ইবলিশ শয়তানের নফস যে শুধু তাহাকেই জাহান্নামে লইয়া যাইবে, তাহাই নহে, বরং এই নফসের কারনে ইবলিশের মধ্যে আদম (আঃ) হইতে নিয়া সমস্ত মানব জাতির প্রতি এই পরিমান ঘৃনা সৃষ্টি হইয়াছে, যে আজও সে আদা পানি খাইয়া মানুষকে বিপথগামি করার জন্য লাগিয়া রহিয়াছে। একবার নাকি ইবলিশ শয়তানের মধ্যে অনুশোচনা সৃষ্টি হইয়াছিল। সে তওবা করিবার জন্য হজরত মুসা (আঃ) এর নিকট গমন করিয়াছিল। মুসা (আঃ) ইহা আল্লাহতায়াকে জানাইলে, উনাকে বলা হইল, শয়তান যদি আদম (আঃ) এর কবরে সিজদা করে, তাহা হইলে তাহার তওবা কবুল করা হইবে।

আদম (আঃ) এর কবরে সিজদা করিতে হইবে শুনিয়া শয়তানের পুরাতন হিংসার আগুন জ্বলিয়া উঠিল। সে এই প্রস্তাব ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করিয়া যেই শয়তান সেই শয়তানই রহিয়া গেল। কমবখত নফসের কারনে এত বড় সন্মানিত ইবাদত গুজার হওয়ার পরেও ইবলিশ শয়তান ধরা খাইয়া গেল। আর আপনে আমি তো কোন ছার। নফস হইতেছে এমন এক শক্তিশালি শত্রু যার হাত হইতে নিস্তার পাওয়া আমার আপনার মত সাধারন মানুষের পক্ষে অসম্ভব একটা ব্যাপার।

অবশ্য যাহাকে আল্লাহতায়ালা রাস্তা দেখাইবেন তাহার জন্য ভিন্ন কথা। ( এইজন্য আল্লাহতায়ার নিকট সাহায্য চাওয়া জরুরি) নাস্তিকতার মূল কারনও নফস। নফসের চুড়ান্ত স্বাধীনতা ঘোষনার অপর নাম হইল নাস্তিকতা। একজন মানুষ তখনই নাস্তিক হয়, যখন তাহার নফস খুব শক্তিশালি হইয়া যায়। আপন খাহেশ মিটাইবার জন্য যা যা করা দরকার তাহা যাতে বিনা বাধায়, বিবেকের দংশনের পীড়া অনুভব না করিয়াই করা যায় তার জন্য নাস্তিকতার প্রেরনা তৈরী হয়।

এই প্রেরনাই মানুষকে নাস্তিক করিয়া তোলে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.