আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয়নবি (স.) কি নবুওয়াতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করছিলেন? মওদুদির ভ্রান্ত মতবাদ খন্ডন

মেনে নিব না, আসে যদি ইসলামের উপর কোন আঘাত। মাঠে নেমেছি, হয় সফলতা নয়ত চাই শাহাদাত। https://www.facebook.com/altamash.bd কোরান হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, নবী-রাসূলগণ নবুওয়াতের দায়িত্ব যথাযথ পালণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের দ্বারা বিন্দুমাত্র ত্রুটি সংঘটিত হয়নি। কোরআন কারিমে রাসুল (স.) সম্পর্কে এসেছে, হে রাসূল, তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে তুমি তা পৌছে দাও, অন্যথায় তুমি তাঁর রিসালাত পৌছে দিলে না ।

(সূরা মায়দা-৬৭) বিদায় হজ্বের ভাষণে লক্ষাধিক সাহাবীর সামনে রাসূল (স.) সকলকে সম্বোধন করে তিনবার প্রশ্ন করেছিলেন, আমি কি তোমাদের কাছে (দ্বীন) পৌছে দিয়েছি? সমবেত সাহাবাগণ উত্তরে বলেছিলেন, জি হ্যা অবশ্যই দিয়েছন। তারপর রাসূল(স.) এ কথার উপর আল্লাহকে সাক্ষ রেখছিলেন এই বলে যে, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক, । এর দ্বারা প্রমানিত হল যে রাসূল তার নবুওয়াতের দ্বায়িত্ব পালনে কোন ত্রুটি করেন নি। অথচ মওদুদি সাহেব লেখেন, সে প্রবিত্র সত্বার নিকট কাতর কন্ঠে আবেদন করুন হে মালিক, এ তেইশ বছর নববী জীবনে দ্বিনের খেদমত আন্জাম দানকালে স্বীয় দ্বায়িত্ব সমূহ আদায়ের বেলায় যে সকল ত্রুটি বিচ্যুতি আমার থেকে সংঘটিত হয়েছে তা ক্ষমা করে দাও। ( কোরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা-১১২ পৃ) এখানে স্পস্টতই নবুয়াতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি হয়েছে বলে বোঝানো হয়েছে।

নবি যদি নবু্যাতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি কর থাকেন তবে তো তার নবুওয়াতই বৃথা প্রমাণিত হয়ে যায়। সর্বোপরি মহান আল্লাহ তায়ালার মনোনয়নই প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে পড়ে। -------------------------------------------------------------------- ইসলামি আক্বীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।