আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ময়ূরাক্ষীর তীরে একজন নিমাই এবং হিমু কিঞ্চিৎ জইল্ল্যা মিক্স

“রণে, বনে, জনে যেখানেই যাইবে স্যর এম. এ. অনন্ত জলিল কে স্মরণ করিবে” সুখে থাকিলে ভুতে কিলায় এইডা ডাহা মিছা কথা, তয় আমি যাহা বুঝিতে পারিলাম সুখে থাকিলে ভুত-পেত্নী এবং উহার গুষ্ঠিপিণ্ড রাম ধোলাই দিয়া ছারিয়া দেয়! লাইট--- ক্যামেরা--- এ্যকশন অ্যান্ড নিমাই এর কাহিনিঃ- “রহিয়াছিলাম নানাবাড়ি পরম সুখে, আহা কি আনন্দ আকাশে এবং বাতাসে” শান্তির দেবী নানী এক বিকেলে আসিয়া কহিলেনঃ- ‘বাছা মাত্র দুরালপনি মাধ্যম জানিতে পারিলাম আমার ভাগনী এবং উহার কন্য মাত্রই দেশে উড়িয়া আসিয়া গাড়িতে জুড়িয়া বসিয়াছেন এবং এদিকেই আসিতেছে’ নিমাইঃ- অ [নিজ কম্মে বিজি থাকিয়া] তা আপনার কি রকম ভাগিনী? নানীঃ- আমার বোনের মেয়ে এবং তাহার কন্য তোর খালাতো বোন হয় ! নিমাইঃ- হু, [হুস ফিরিবার পর] কিহ আমার কাযিন : এইডা কি প্রাচীন রোমান কল্প কাহিনী নাকি কতা নাই বারতা নাই আমার কাযিন তাও আবার মাইয়্যা মানুষ নানিঃ- কিরে কাহিনী কি? !! এলিটার সাহায্যকারী দরকার, তুই ওর সাথে থাকবি! নিমাইঃ- [রাজ্যের বিস্ময়] সাহায্যকারী মানে হেল্পার আর এই এলিটা ফেলিটা কেডা নানিঃ- তোর মাথা এই কথা বলিয়াই নানী নিজেই চলিয়া গেলেন পরম প্যাঁচময় ডাল-পালার আত্মীয়ের সম্পক্কের কাহিনী সুনিয়া মাথায় কিঞ্চিৎ জিলাপি নামক খাদ্যর নাম গন্ধ উরিতে ঘুড়িতে লাগিল। তাই কাছের বাজারে “গুনি ময়রার” মিষ্টি ভাণ্ডারে গিয়া জিলাপি বানানোর প্রনালি দেখিতে লাগিলাম আর প্যাঁচ খুলিবার বার বার নিস্ফল ব্যর্থ চেষ্টা করিতেছিলাম, জিলাপির মণ্ড যখন তপ্ত কড়াইয়ে পরিতেছিল উহার কেন্দ্রস্থল আমাকে ভাবিয়া উহার বিভিন্ন্য বাকে আর প্যাঁচে আমার পরিবারে সব্বাইকে রাখিয়া সম্পপকের লীলা ভুমি বানিয়া ফেল্লাম তবুও কোন ভাবেই কাঙ্খিত চরিত্রটি সম্পক্কে আমার কাযিন কি ভাবে হইতেছে বুঝিতে পারিতে ছিলামনা। পরিশেষে জিলাপির প্যাঁচ খুলিতে না পারিলেও খানিকটা জিলাপি ভুরিভোজ করিয়া বাসার উদ্দেশে ফিরিবার পথ ধরিয়া বুঝিতে পারিলাম দুনিয়া সম ভ্যাজাল আর প্যাঁচ লাগাইতে পারিলেও সামান্য এই নাট বল্টুর প্যাঁচ বুঝা আমার পক্ষে দুস্কর। পরদিন সকালে আগেরদিন বিকেলেই অতিথিদের স্বাগতম জানানোর এবং সামনা সামনি না হাবার জন্নেই নিরুদ্দেশ যাত্রা করিয়াছিলাম এবং সাবধানের মাইর নাই বুঝাইয়া এক খানা CRB (Crisis Response Bag) মজুদ করিলাম যাঁহাতে আমার সকল প্রয়োজনীয় জিনিস মজুদ রহিয়াছে। রাত্রি খানা এক শিস্যর গৃহে রহিলাম এবং সকালে বাসায় ফিরিয়া আসিয়া আবারো প্রমান করিলাম মোল্লা দৌর মসজিদ পর্যন্ত আর নিমাই এর দৌর হাঁটু পানি পর্যন্ত বাসায় ঢুকিয়া হাঁতে হেল্পারির টাস্ক পাইয়্যা গেলাম।

কেহ জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করিলো না রাত্রিতে কোথায় রহিয়াছিলাম উপর মহল হইতে নির্দেশ আসিলো ৪৫ মিনিট তথা সকাল ৯ ঘটিকার মধ্যে আমার হেল্পারি শুরু করিতে হইবে, আরে অনন্ত স্যর এর ছাত্র বলিয়া কথা ৪৫ মিনিট ২৫ মিনিটে যিপ করিয়া আনিলাম এবং জানিতে পারলাম আমার অবজেক্ট তথা যাহার হেল্পারি করিতে হইবে তিনি এবং তাহার মাতা পদ ভ্রমন শেষ করিয়া প্রত্যাবর্তন করিয়াছেন। বাড়ির গেটে এক খানা গাড়ি দায়ায়া ছিল এবং চালক সাহেবের সহিত কথা বলিয়া বুঝিতে পারিলাম উনি এবং তৈল পূর্ণ এক খানা Jaguar XJ আমাদের একমাত্র সহচর এক কর্ণে মস্তকফোন তথা হেড ফোনে সমরপন এ্যালবাম থিকে আধুনিক ধাচে ‘লালন গীতির আরশি নগর’ ফিচার ওয়ারফেয চলিতে ছিল আর ঠিক যেই মুহূর্তেই সঙ্গীত খানা বদলাইবার পরিকল্পনা করিতেছিলাম এমা একি মেঘ না চাইতেই সিডর সুনামি স্বর্গের অস্পরা যাহাকে দেখিয়া লজ্জা পাওয়া উচিৎ স্বয়ং সেই আমার সামনে এগিয়ে আসিতেছে। হেড লেস ক্যাপের উপরে দেওয়া কোমর ছুই নিকষ কালো কেশ পিঠের সাথে ঘোড়ার লেযের মত ঝুলিয়া রহিয়াছে চোখের রং ব্রাউন এক্সট্রা মেকাপ নাই উহাকে দেখিয়া মাথায় ফ্লাস ব্যাক খাইলাম সাদা টিশার্ট কালো জিন্স পড়া এই জিনিসটার নাম এলিটা, সিলভার লেক স্কুল হৈতে সবে মাত্র ক্লাস ১২ পাস করিয়াছে বর্তমান অনার্স লেভেলে তাহার সাবজেক্ট ফডু গ্রাফিক । ১৩ বছর হয় নাম লিখিয়াছে প্রবাসী তালিকায়, বছর আগে প্রবাসী হইবার পূর্বে খেলিয়াছি হাতে হাত রাখিয়া ঘুরিয়াছি ১৩টি বছর, ১৩ বছর সময়ে কালের আবর্তনে মস্তিস্কে এলিটার ফোল্ডার বিবর্তনে সাময়িক ব্লক খাইচিলাম (এইবার মুনায় আনলাকি 13 :S) উহার দিকে আর তাকানে যাইতেছিল না শুধু মনে হইতেছিল জলিল স্যর ডান কানে বলিতেছিলেনঃ- “ওরে নিমাই এইবার খ্যন্তদে তোর ব্রম্ভচারি জীবনের শেষকৃত্য হয়ে আসলো বলে! ওদিকে আর ভুলেও তাকাস’নে ধম্মে সইবে না বলে দিচ্ছি” আর লালন সাই বাম কানে ফুক দ্দিতেছেন এই বলিয়াঃ- “কি বলবো এইটার কথা হস্থ-পদ স্তদ্ধ-মাথা ও আমি এক দিনো না দেখিলাম তারে” সামনে আসিয়া কহিল Hi আমি ডানে এবং বাম দিকে তাকিয়ে কলিলাম আমাকে কিছু কহিলেন ? এলিটাঃ- yap ! ইউ প্রবাব্লি নাইম? মুইঃ- বুল হরিচ্চেন! মুই নাইম এর খাস লোক নিমাই : এলিটাঃ- Oh I see মুইঃ- যে আপ্নে গত রাইতে আইছেন ড্রাইভার সাবঃ- আপা চলেন এই ভাই আমগোর সাথে যাইবে এক কাল পিট শীস্য দূর হৈতে তাহার গুরু কে দেখিয়া হাক, ডাক দিয়া উঠিল নাইম মামা পিঠে ব্যাগ ক্যান ঢাকা চইলা যাইবেন নাকি ? ৪ হাত দূরে দারানো এলিটার মুখের দিকে জলিল স্যর এর কথা অবাধ্য হইয়্যা ফিরিয়া চাইলাম মুনায় পাইছে লটারি, ২ হাত আওগায়া আমার দিকে আসে ক্যান প্রান এইবার যায় মারা নিমাই বুঝি খাইছে ধরা এইবার নিমাই এইবার দে ছাড়া এমত অবস্থায় আমি খিচ্চা দৌর আমার পিছে দেহি এইটাও দৌর আবার কয় “please give me a hug” কি বিপদ! ২ মিটার দৌর দিয়া হ্যাঁয় বুঝিয়া গেছে নাইম আর নিমাই এর পার্থক্য। হেতের মানহানী হইছে বুঝা যাইতাছে আর গাড়ি ঘিরে থাকা হাফ টিকেট পোলা পাইন বেফুক বিনুদুন পাইছে বিনা পয়সায় আহারে এলিটা কিছুক্ষণ পর দেখিলাম ড্রাইভার সাহেব গৃহ হৈতে বিদায় লইয়্যা বেরইলেন সাথে ইয়া বিশাল খাবার এর এক খানা বহর জিজ্ঞাসু ভাসায় কহিলাম ভ্রাতা ইহা কি? চালক ভ্রাতা প্রতি উত্তরে কহিলেন বহুদুর এর পথ বাহিরের খনা পরিহার করিতে হইবে, তাই এই বেবস্থা! আসিলেন আমার এলিটা ওরে আল্লা :/ আমারে বাচাও গায়ের লগে এইগ্লা কিয়া ২ খানা নামি কোম্পানির দামী ক্যামেরা ৪ খান ক্যামেরার লেঞ্চ তার একটা প্রায় ১.৫ ফিট পিঠে একটা যাম্বো ব্যাগ মনে মনে কহিলাম ( এহ মাইনসে একটা পায় না উনার ২ খান গলায় ঝুলায়া থাকা লাগে ) পিছে দেখিনু ২ পিচ্চি কাধে ক্যামেরার স্ট্যান্ড নিয়া এমন ভাবে আসতেছে তাতে মুনাইতেছে L98 সিরাজ এর রকেট লঞ্চার আর ২ পিচ্চি দেহি সান গান নামক নিরহ যন্ত্র লইয়্যা সামনে আসিলো এবং চালক সাহেব যথা যায়গায় সেই জিনিস গুইলা গাড়িতে প্যাক করিলেন ! আমার এলিটা আমার লগে কতা কয় না ক্যান :/ হেতের দিকে আমিও তাকাই নাই ! ব্রম্বাচারি বইলা কতা গাড়ি স্টার্ট হইতেছে, চালক সাহেবের বাম দিকের গদি খানা দখল করিলাম (মতলব তো আছে এইবার গাড়ি চলিতে শুরু করিয়াছে “হেই আমার সাথে সিটিং প্রব্লেম?” পিছনের এক মাত্র যাত্রী এইবার বলিয়া উঠিলেন নিমাই কহিলেন“ তাতে গায়ের সাথে গা লেগে যেতে পারে” এলিটাঃ- তাতে সমস্যা কি? নিমাইঃ- গায়ের সাথে গা লাগলে তোমার শরীরের ইলেকট্রন আমার শরীরে ঢুকবে, আর আমার কিছু ইলেকট্রন যাবে তোমার শরীরে।

এতে ২ জনের মধ্যে বন্ধন তৈরি হবে, এটা ঠিক না এলিটা তিক্ত গলায় কহিলঃ- এমন উদ্ভট কথা আমি আগে শুনিনি। আমি অনেকের সাথে গায়ে গা লাগিয়ে বাসে ট্রেনে ঘুরেছি, কারো সাথেই আমার কোন বন্ধন তৈরি হয় নি নিমাইঃ- ক্যান হয় নাই বুঝিতে পারিতেছি না :/ বন্ধন হবার কথা তুমি যদি......... এলিটাঃ- থামো! বেশি কথা বলা মানুষ আমি পছন্দ করি না নিমাইঃ- পছন্দ না করার জন্য ধন্যবাদ আর শেষটা শোন, আমাদের কালচারে পাশাপাশি ৭ পা হাঁটলে বন্ধুত থিকে বন্ধন হয় কারন লাকি নাম্বার 7 এলিতাঃ- অদ্ভুত!!! তুমি একটা বোকা হাঁদা বুদ্ধির ঢেঁকি!! এই দেশে কি এইরকম বেশি কথা বলা বোকা মানুষ দের খুব বুদ্ধিমান বলা হয় নাকি? অদ্ভুত! ২ লাইনের ঝারি দিয়াই কাইত হয়া পরছে চালক সাহেবের সামনের লুকিং গ্লাসে দেখিলাম ইস্পিসাল বোতলে পানি পান করিয়া মাথা ঠাণ্ডা করন প্রক্রিয়া চলিতেছে এবং মাথা গরম হইয়্যা খোমা লাল হইয়্যা গিয়াছে তাই ঝোব বুঝিয়া জলিল স্যর এর এক খানা ডেমো মারিয়া দিলাম “hey are you Pom gana? ur mother Pom Soviet Union? eu have to respecting Bangladesh, you eating Bangladeshi water (!)” খিকয! থিউরিতে কাম হইছে মুনায় হেতে পানি পান করিতে জলিল স্যর এর ডায়লগ সুনিয়া গলায় পানি আটকায়া খ্যাঁকর খ্যাঁকর করিয়া হাসিতেছে আর কাশিতেছে অবস্থা আরও বেগতিক জামা কাপর ভিজায়া ফেলিয়াছে নিজেরে সামলাইয়া লইয়্যা মিনিট ২ পরে মধুর সুরে কহিলেন you are the man মুইও কইলাম was i? How horrible you are? বিরতি the what next br /> ময়ূরাক্ষীর তীরে একজন নিমাই এবং হিমু কিঞ্চিৎ জইল্ল্যা মিক্স -২ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।