আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিক্সটি সেভেন্থ বার্থডে অব ইউনাইটেড নেশন্স

YOU'RE LOOKING AT ME BUT I'M LOOKING THROUGH YOU আজ ইউনাইটেড নেশন্স অথবা জাতিসঙ্ঘের ৬৭ তম জন্মদিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালের এই দিনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারষ্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের ৫১ টি দেশ নিয়ে গঠিত হয় এই আন্তর্জাতিক সংস্থা। বর্তমানে জাতিসঙ্ঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৩। ১। জাতিসঙ্ঘের সদর দপ্তর আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটির ইস্ট ম্যানহাটনের ৪২ স্ট্রিটে।

প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১ মিলিওনেরও বেশি মানুষ জাতিসঙ্ঘের সদর দপ্তর ঘুরতে আসে। ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময়ের ট্যুরের ব্যবস্থা আছে সেখানে। ট্যুরে অডিওর মাধ্যমে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন ভিজিটরদের স্বাগতম জানান, জেনারেল অ্যাসেম্বলি হল ও সিকিউরিটি কাউন্সিল চেম্বার ঘুরিয়ে দেখানো হয় ভিজিটরদের এবং অডিওর মাধ্যমে জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সাফল্যজনক ঘটনার কথা শোনানো হয়। অনলাইনে টিকেট কেনা ও অন্যান্য সাহায্যের জন্য এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন View this link ২। জাতিসঙ্ঘের চার্টার অথবা দলিল হলো জাতিসঙ্ঘের মূল চুক্তিগুলো।

১৯৪৫ সালের ২৬ জুন আমেরিকার সান ফ্রানসিসকোতে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। জাতিসঙ্ঘের সদস্য সকল দেশকে এই চুক্তির সকল শর্ত মেনে চলতে হবে। কেউ পড়তে চাইলে View this link ৩। বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের সদস্য হয় ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে। জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে View this link ৪।

জাতিসঙ্ঘ ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা হলো আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, এবং স্পেনীয় ভাষা। জাতিসঙ্ঘ সচিবালয়ে যে দুটি ভাষা ব্যবহৃত হয় তা হলো ইংরেজি ও ফরাসি। ৫। জাতিসঙ্ঘের প্রধান হলেন মহাসচিব। জাতিসঙ্ঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুন।

৬। জাতিসঙ্ঘের সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো জেনারেল অ্যাসেম্বলি। শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও নতুন কোনো সদস্য যুক্ত হওয়ার জন্য দুই-তৃতিয়াংশ সদস্যের ভোটের দরকার হয়। প্রত্যেক সদস্য একটি ভোট দিতে পারে। ৭।

সিকিউরিটি কাউন্সিল জাতিসঙ্ঘের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ৫ টি স্থায়ী ভিটো পাওয়ার পাওয়া দেশ (চায়না, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইউনাইটেড কিংডম ও ইউ এস এ) সহ মোট ১৫ টি দেশ নিয়ে সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠিত। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করাই সিকিউরিটি কাউন্সিলের মূল দ্বায়িত্ব। (জাতিসঙ্ঘের সদর দপ্তরে প্রথম সিকিউরিটি কাউন্সিল মিটিং, ৪ এপ্রিল, ১৯৫২) ৮। জাতিসঙ্ঘের অন্যতম আরেকটি অঙ্গ ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল।

সারা বিশ্বের আর্থিক ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করাই এই কাউন্সিলের প্রধান কাজ। ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতি বছরের পুরো জুলাই মাসব্যাপী ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলের অধিবেশন হয়। ৯। জাতিসংঘের সকল কাজের জন্য টাকা যোগাড় করা হয় সদস্য সকল দেশ থেকে। একেক দেশের ইনকাম, ঋণ ও অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে একেক দেশের একেক পরিমাণ টাকা দিতে হয়।

জাতিসংঘে সবচেয়ে বেশি আর্থিকভাবে কন্ট্রিবিউট করা দেশ আমেরিকা, জাতিসঙ্ঘের মোট অর্থের ২২ পারসেন্ট দেয় আমেরিকা। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ি, বাংলাদেশ ২০০৯ সালে জাতিসঙ্ঘকে দিয়েছে ২৪৩৬৩২ ইউ এস ডলার। View this link কেউ যদি ডোনেট করতে চান View this link ১০। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস জাতিসঙ্ঘের প্রাথমিক বিচারসংক্রান্ত পরিষধ। নেদারল্যান্ডের পিস প্যালেসে এই পরিষধ বসে।

জাতিসঙ্ঘের প্রধান ৬ টি পরিষধের মধ্যে একমাত্র এটাই নিউইয়র্কের বাইরে অবস্থিত। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করা ও বিভিন্ন দেশের বিচারসংক্রান্ত পরামর্শ দেয়া এই বিচারালয়ের কাজ। ১৫ জন বিচারক নিয়ে এটি গঠিত। ১১। জাতিসঙ্ঘে কাজ করতে ইচ্ছুক যে কেউ নির্দিষ্ট সকল রিকোয়্যারমেন্ট পূরণ করে কাজ পেতে পারেন।

জব অ্যাপ্লিকেশন ও অন্যান্য সকল তথ্য পাবেন এখানে View this link জাতিসঙ্ঘ -প্রতি বছর পৃথিবীর ৭৩ টি দেশের প্রায় ৯০ মিলিওন মানুষকে খাবার সরবরাহ করে। -পৃথিবীর ৫৮ পারসেন্ট শিশুকে প্রতি বছর টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করে-যার ফলে প্রায় ২। ৫ মিলিওন শিশুর জীবন বাঁচে। -৩৬ মিলিওনেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী মানুষকে সাহায্য করে। -৪ টি মহাদেশে ১৬ টি অপারশনের মাধ্যমে ১২০,০০০শান্তিকর্মীর সাথে কাজ করছে।

-মাতৃ স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করছে ও প্রতি বছর ৩০ মিলিওন নারীর জীবন বাঁচছে জাতিসঙ্ঘের সাহায্যের দ্বারা। -প্রতিবছর প্রায় ৩০ টি দেশের নির্বাচনে সাহায্য করে। -বিশ্বব্যাপী দারিদ্রকে জয় করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে জাতিসঙ্ঘ। গত ৩০ বছরে জাতিসঙ্ঘ প্রায় ৩৭০ মিলিওন দরিদ্র মানুষের জীবন উন্নয়নে সাহায্য করেছে। - প্রায় ৮০ টি চুক্তির মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষা করে চলেছে।

গত ১৬ অক্টোবর, জাতিসঙ্ঘের জন্মদিন উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারিয়েটের একজন সোশ্যাল অ্যাফেয়ার অফিসারের সাথে দেখা হল। প্রথমে সে ব্রিফলি জাতিসঙ্ঘ সম্পর্কে কিছু বললেন। তারপর ছিল প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। প্রথম প্রশ্নটাই করতে আমি মাইক্রো ফোনের কাছে গেলাম। প্রশ্ন করা শেষে যখন সিটে চলে আসছিলাম, সে আমাকে বাংলায় বলল, "কেমন আছেন?"।

সে অরিজিনালি ইন্ডিয়া থেকে। অনুষ্ঠান শেষে আমি সহ কিছু স্টুডেন্ট তার সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাতিসঙ্ঘের ভূমিকা নিয়ে কথা বললাম। আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা হল। বাংলাদেশের কোথায় থাকতাম, কতদিন ধরে আমেরিকায় থাকি এসব জিজ্ঞেস করল। ভাল থাকবেন, সবাই।

ঈদ মুবারাক। আমার নাম ও ছবি গুলো কপি করে বানানো এই ফেইক আইডিটা রিপোর্ট করুন প্লিজ View this link ইনফো ও ইমেজ- ইন্টার্নেট।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।