আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদ উল আযহা – কোরবানী- আমাদের চিন্তাধারা

আমি নিতান্ত সাদমাটা মানুষ। বলারমত কোন পরিচায় নাই। নিরামিষ মানুষ । হযরত ইব্রাহীম আ. তার প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল আ. কে আল্লাহর নির্দেশে কোরবানী দিতে যান। আল্লাহ তালা ইসমাইল আ. এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানী করালেন।

এই ঘটনা থেকেই কোরবানীর শুরু। কোরবানী শুধু উম্মতে মোহাম্মদীইরাই দেয় না। এর পূর্বেও কোরবানী ছিল। যা ধরাবাহিকতায় মুসলমানরা আজো কোরবানী দেয়। কথা হল কোরবানীর উদ্দেশ্য কি? একটি প্রানী বধ।

তার মাংষ ভক্ষনে সিমাবদ্ধ। নাকি টাকার জৌলস ধন সম্পদের গরিমা দেখানো। যে যত দামি পশু কিনবে সে ততবেশী প্রভাবশালী প্রমানিত হবে। নাকি এটি আত্মার শুদ্ধি। সষ্টার প্রতি অগাধ আনুগত্যের প্রকাশ।

বর্তমানে কোরবানী করার চিন্তাধারা কোনটাই স্রষ্টার আনুগত্যের চিহ্ন বহন করে না। এর কারন আমরা কেউ কোরবানী দেই লোক দেখানোর জন্য। কেউ দেই পোলাপান কেট কেট করে সবাই কোরবানী দেয় আমরা দেইনা কেন? এহেন যন্ত্রনায় পরে কোরবানী। আবার কেউ কেউ নিজের বংশ মর্যাদার কথা চিন্তা করে বড় আর দামি গুরু কিনে আনে। এটাই তাদের বঙশের রেওযাজ বা রিতি।

এছাড়া কোরবানীর নিয়ত থাকে এমন মোটাতাজা পশু কিনব যা দিয়ে সারবছর ফ্রীজে রেখে মাংষ খাওয়া যাবে। গরিব মিসকিনকে দুইটা হার ধরিযেই তারা খুশি। আবার পশু কিনার টাকা হালল পথে না হারাম পথে উপার্জিত তার কোন বালাই নাই। টাকা হলেই হলো। এমন একটা ভাব।

এগুলোতো কোরবানীর আসল উদ্দেশ্য নয়। তবে আসল উদ্যেশ্য কি? আল্লাহ রাব্বুল আলামনি পবিত্র কালামে পাকে বলেন- পশুর রক্ত মাংষ আল্লাহর কাছে পৌছে না, পৌছে মনে তাকওয়া। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য। তার নির্দেশ পালন। নিজের প্রীয় বস্তুকে আল্লহর রাহে কোরবানী করা।

সাথে কোরবানী করা নিজের ভিতরের পশুত্বকে। নিজের খারপ গুনগুলোকে। নিজের ভিতরে ইনসানে কামেলকে জাগানো। যে নিজেকে কোরবানী করে অন্যের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এটাই বুঝি।

যে পশুটি কোরবানী করবেন অবশ্যই তা নিখুত কিনা দেখে ক্রয় করতে হবে। কোনঅবস্থাতে হাসিল মেরে দেয়ার ধান্দা করবেন না। এতে আপনার কোরবানী প্রশ্নের সমুক্ষিণ হবে। আর যবহ করার সময় পশু যাতে বেশী কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখি। ভাই আসুন আমরা হারাম টাকায় কুরবানী না দেই।

কোন দুর্নিতির টাকায় কোরবান না দেই। যার উপর কোরবানী ফরয শুধু ষেই কোরবানী দেই। ফুটানি বা লোকদেখানোর জন্য কোরবানী না দেই। শুধু নিজের জন্য কোরবানী দিব না। গরিবের হক তাকেই কোরবানীর মাংস দিব।

ফ্রিজে স্টক করার নিয়তে বড় গুরু কিনব না। সামনে ইলেকশন তাই নেতা সাজার জন্য কিনব না। কারন এসব করে দুনিয়াতে হয়তো বাহবা পাবেন। বড় নেতা হবেন। কিন্তু আখেরাতে হবেন চড়ম অপরাধী।

সবার প্রতি অনুরোধ কোরবানী করুন আল্লহর জন্য। শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। তাকে খুশির জন্য। । জীবন্ত পশুকে কোরবানরি আগে মনের পশুকে কোরবানী করুন।

এটাই আসল কোরবানী। সবাইকে অগ্রীম ঈদমোবারক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।