আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ আমার জম্ম দিন

আমি নিতান্ত সাদমাটা মানুষ। বলারমত কোন পরিচায় নাই। নিরামিষ মানুষ । আজ আমার জম্ম দিন। একটা সময় ছিল এই দিনটি মনেই থাকত না।

মা -বাবা কথার ছলে বলতেন -কিরে আজ তোর জম্মদিন না! আসলে আমরা ভাইবোন ছিলাম ৪জন । বাবা আমাদের নিয়ে খুব কষ্টে ব্যাংকের ছোটখাট কর্মকর্তা হিসের যা পেতেন তা দিয়ে সংসার চালাতেন। এ সময় আমরা ঘটা করে জম্মদিন করা বা জম্ম দিন নিয়ে উইস করা। বন্ধুদের সাথে উজ্জাপন করা সত্যই ভাবতে পারিনি। আজ আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঘটা করে জম্ম দিন পালন করে।

কেক না আললে কেঁদেকেটে অস্থির। আর জম্মদিনের কথা যদি ভুলে যাই তাহলেতো পুরো বাড়ি মাথায় তুলবে । যতই রাত হোক খুজেপেতে কেক এনে দিয়ে তবে রক্ষে। বাচ্চাদের সাথে জম্মদিন নিয়ে আহলাদ করতে করতে নিজের জম্মদিনটিও এখন স্মরন রাখার অভ্যাস হয়ে গেছে। আসলে বাচ্চারাই স্মরন রাখে।

বৌ স্মরন রাখে। বলে - যাও বাবাকে হেপি বার্থডে বল। দুই মেয়ে গলায় জরিযে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বলে হে-পি বা-ডে। আমার অফিসেও ই.ডি সাহেবের তরফ থেকে প্রত্যেকের জম্মদিনে উপহার সহ জম্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হত । অফিসে ঢুকেই দেখতাম জম্মদিনের উপহার সম্বলিত শুভেচ্ছা বানী।

বড়ই পুলক অনুভব করতাম। আজকাল ফেস বুক, ব্লগ এসবের বদৌলতে জম্মদিন কথা স্মরন না থাকলেও স্মরন করতে বাধ্য। ফেসবুক খোলার সাথে সাথে বন্ধুদের অগনিত উইস ভড়া মেসেজ আপনাকে জানিয়ে দেবে এই বেটা তুই আজকের দিনে জম্মেছিস। জম্ম হল মানুষের পৃথিবী জীবনের শুরু। ১৯৭৪ সালের এই দিনে অক্টোবর মাসে আমার জম্ম।

জম্ম ব্যাপারটাকে যত খুশির বলে মনে করা হয়ে আসলে তা তেমন খুশির নয়। জম্ম হওয়া মানে মৃত্যু ফলে বিজ বোনা। আর মৃত্যুর কথা স্মরন হলেই মন খারপ হয়ে যায়। এই বুঝি আজরাইল হাজির হইল। খালি ভয়।

অবশ্য আল্লাহ ও তার রাসুল মৃতুকে স্মরন করতে বলেছেন বেশী বেশী। এতে মন নরম হয়। জগতের প্রতি মোহ থাকেনা। পছন্দ অপছন্দ যাই করি না কেন এটা চির সত্য প্রত্যেকটি আত্মাকেই মৃত্যুর স্বাধ পেতে হবে। বর্তমান মানব সম্প্রদায় এই চির সত্যকে ভুলে থাকতে চেষ্টা করছে।

আর জন্য তারা গা ডুবিয়ে দিচ্ছে নান ধরনে বিলাস ব্যসনে। কিন্তু মৃত্যুকে ভুলে থাকলেই কি সব সমস্যার সামাধান হয়ে যাবে। জম্ম দিনের এতো আনন্দ কেক কাটা হই হুল্লোরের মাঝে ভুলে যাই আমার জীবন থেকে খসে পড়ল আরো একটি বছর। ঝড়ে যাচ্ছে বছরগুলো এক এক করে। হায়াত কমছে।

পবিত্র আলকোরআনে জম্মানো কারন হিসাবে বলা হয়েছে ইবাদতে কথা। অর্থাত আল্লাহর আরাধনা করার জন্যই প্রানের সৃষ্টি। প্রতিটি প্রানীই তার নিজস্ব ঢংগে আরাধান করে। কিন্তু মানব সম্পদায় তার আরধনা দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করেনা। সে ভুলে থাকতে চায় মুত্যর মত তার জম্মের উদ্দেশ্যকেও।

জম্ম –মৃত্যু যতই ভাল বা খারাপ হোক না কেন, মনে রাখতে হবে জম্মের মাধ্যাম বান্দার পরিক্ষার হলে প্রবেশ। মৃত্যর মাধ্যমে পরিক্ষার সমাপ্তী। পরীক্ষার হলে বসে বসে কেউ যদি না লেখে সময় ন্ষ্ট করে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ। তেমনি দুনিয়াতে যতক্ষন থাকা হবে ততক্ষন যদি মানুষ ভোগবিলাসে কাটিয়ে মূল্যবান জীবন নষ্ট করা হয় তাহেলে একইরকম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা দুনিয়াতে আমলে সলেহ করলে অর্থাত সত কাজ করলে একদিকে আল্লাহর ইবাদত হত অন্যদিকে মানুষের খেদমত হত।

হক্কুল ইবাদ অর্থাত মানুষের হক যে আদায় করে সে আল্লাহর খুব পছন্দের। এই মানবিক চেতনা মানুষকে দিতে পারে শান্তির ফুলগুধারা। মানবজাতি যদি মনে রাখত তাকে একদিন তার স্রষ্টার সাথে মিলিত হতে হবে। তখন এই ভাল কাজই তার মুক্তির উছিলা হতে পারে। তাই বেশী বেশী মৃত্যুকে সম্মরন করে ভালে কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

আমারা দুনিয়ার সবাই যদি মুত্যকে স্মরন করতাম তাহলে সমাজে পাপ অনেক কমে যেত। মৃত্যু মানেইতো আল্রাহর কাছে জবাব দিহি দেয়া। দুনিয়ে আখেরাতের শষ্য ক্ষেত্র- আল হাদিস। শষ্য ক্ষেত্রে এখন যদি ভালভাবে কাজ করি আখেরে ভাল ফসল পাওয়া যাবে। আর তা না হলে সরবহারা হয়ে কেয়ামতের ময়দানে আহাজারী করতে হবে।

তাই জম্মদিনে শপথ নিন এখন থেকে জীবন সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করব। ******** জম্মদিনে আনন্দ নয় যাচ্ছে কমে আয়ু এভাবে কমেই একদিন বের হবে প্রান বায়ু। এ কথাটি স্মরন করে কর ভাল কাজ আখেরে স্রষ্টার কাছে না পাও যেনো লাজ। জম্মদিনে দোয়া চাই যত দিন বাঁচি থাকি যেনো স্রষ্টা আর সৃষ্টির কাছাকাছি। ********************* Wish for me- Today is my birth day- Wish for my future- when u pray. I passing 38 years- Firstly thanks allah, for his kindness also all of my relatives all of my friends. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।