আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দি রাইটার্স পাবলিকেশন

I am a published writer in Bangladesh. I wrote 74 novels and published them. My first novel was published in 1986 আমি একজন প্রকাশীত লেখক অর্থাৎ আমার বই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আমি জানি এই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অনেক লেখক রয়েছেন যারা পান্ডুলিপি নিয়ে হাতে করে বাংলাবাজারের প্রকাশকদের দ্বারপ্রান্তে ঘুরছেন বই প্রকাশ করতে। কিন্তু দাম দেখাচ্ছেন প্রকাশকরা। সরাসরি বলে দিচ্ছেন নতুনদের লেখা আমরা প্রকাশ করিনা বা টাকা দিয়ে বই ছাপলে ছাপাতে পারি। আমি যখন ৮২ সালে বাংলাবাজারে প্রথম পান্ডুলিপি নিয়ে যাই তখন বাংলাবাজারের পরিবেশ এমন ছিলনা।

আর এখন প্রকাশক এর সংখ্যা বেড়ে গেছে তিনগুন। এর কারন আছে। এর কারন হলো নতুন লেখক লেখিকা। তারাই নতুন প্রকাশকদেরকে আগ্রহী করছেন এই ব্যবসায়ে আসার জন্য। প্রকাশকরা দেখছেন প্রতি বছর যদি তারা ১২ টা বই বের করতে পারেন লেখকদের টাকায় তবে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা খুব সহজে আয় করা যাচ্ছে।

কিন্তু লেখক পাচ্ছে কি? তারা এর বিনিময়ে পাচ্ছে কিছু বই। আর এতো টাকা দিয়ে সামান্য ক’টা বই নিয়েও তারা সন্তুষ্ঠ। এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর। এর ফলে আমাদের মতো লেখকদের জন্যও হয়েছে সমস্যা। আমরা যারা একহাতে পান্ডুলিপি দিয়ে প্রকাশকদের কাছ থেকে টাকা নেই অন্যহাতে তারাও এই প্রকাশকদের বাক্যবানে জর্জরিত হতে হয়।

টাকা না দিয়ে তাদের উপায়ও নেই। কারন তাহলে রেগুলার বই পাবেনা তারা। তাদের চেহারাটা হয় তখন দেখার মতো। গজগজ করতে করতে বলে ভাই টাকা দিয়ে আর বই কিনবোনা। কতো লেখক টাকা হাতে নিয়ে আমাদের পেছনে ঘোরে আর আপনাকে টাকা দিতে হয়।

এই হলো প্রকাশকদের চরিত্র। তাই আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি এবং আমাদের সাথে যেসব লেখকরা আছে তারা আর কোন প্রকাশককে বই দেবোনা। দি রাইটার্স পাবলিকেশন থেকে বই প্রকাশ করবো আমরা। দি রাইটার্স পাবলিকেশন আমার নিজের একটা কনসেপ্ট। আমি চাই প্রকাশক বিহীন একটি প্রকাশনী গঠন করতে যেখানে প্রতিটি লেখকই হবে তার প্রকাশক।

এটি একটি নতুন কনসেপ্ট। সবসময়ই দেখা যায় প্রকাশকরা লেখকদের ঠকিয়েই তাদের টাকা কামান। লেখকরাও তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। কারন লেখকরা খাক আর না খাক তাদের বই ছাপানো চাই। আর এই কথাটা জানেন প্রকাশকরা তাই তাদের তো রয়ালটি দেনই না উপরন্তু বই ছাপানোর জন্য দাবী করে বসেন টাকা।

আর লেখককেও টাকা না দিয়ে উপায় থাকেনা। বই যখন বের হয় তখন প্রকাশক মাত্র শ’খানেক বই লেখকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে খালাস। মাঝখান দিয়ে প্রকাশক পেয়ে গেল চার-পাঁচশো বই। সেটা দিয়েই তো একটা মাস কেটে যাবে প্রকাশক সাহেবের। এভাবে প্রতিটি বইমেলা থেকে একজন প্রকাশক কতো যে আয় করেন তা আপনি প্রকাশক হলেই তবে বুঝতে পারবেন।

আমি চাইছি বাংলাদেশের প্রতিটি লেখককে এখানে এক করতে। আমরা আর কোন প্রকাশককে লেখা দেবোনা। আমাদের এই দি রাইটার্স পাবলিকেশন এ এই বই ছাপা হবে, বিক্রি হবে এবং সেই পুরো বইটির রয়ালটি সহ প্রকাশকের লভ্যাংশ পাবে বইটির লেখক বা লেখিকা। তাহলে দেখা যাবে একসময় প্রকাশকরা আর কোন লেখক লেখিকাকে ঠকাতে পারছেননা। লেখক লেখিকা সরাসরি এই পাবলিকেশনের এ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র তদারকি করবে এবং তার নিজের বই এর বিক্রির হিসাব রাখবে।

আমি দেখেছি এটা সম্ভব। জানি বাধা আসবে। এসেছেও। তারপরও এগিয়ে যেতে হবে সকল বাধা উপো করে প্রবল বাতাসের বিপ। ে একুশের বই মেলা ২০১৩ তে দি রাইটার্স পাবলিকেশন বারোজন লেখকের বই বের করতে সম হচ্ছে।

আপনারা সঙ্গী হলে দি রাইটার্স পাবলিকেশন আরও এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের সকল লেখক লেখিকা উপকৃত হবে, হবে বাংলা সাহিত্যও। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।