আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~~~ ইউরোপের কোন নদী নয় , এটা ছিল বুড়িগঙ্গা ~~~

কলম চালাই ,এইগুলো লেখার পর্যায়ে পরে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে :) ব্লগের বয়স বছরের উপরে দেখালেও নিয়মিত লিখছি ১৭ আগস্ট ২০১২ থেকে :) তখনকার বুড়িগঙ্গা যেমন ছিলঃ পেইন্টংটি ১৮৬১ সালে Frederick William Alexander de Fabeck কর্তৃক অংকিত বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাকা শহরের ছবি। উনিশ শতকের শেষ দিকে আঁকা আরও কিছু ছবি , ব্রিটিশ লাইব্রেরী আর্কাইভ থেকে নেওয়া । ১৮০০ শতকের ওয়াইজ ঘাট এলাকা যেমন ছিল । মিল ব্যারাক নদীর তীর , ১৮০০ শতাব্দী । Title: Part of Dacca from the Douillac Nulla Artist: Sir Charles D’Oyly Medium: Etching Fourth Folio, Plate No.: 15 Date: 1826 ধোলাই খালের (Douillac Nulla – ধোলাই নালা?) পশ্চিম তীর থেকে ঢাকার একটি সাধারণ ছবি।

বুড়িগঙ্গা নদী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। ব্রহ্মপুত্র আর শীতলক্ষ্যার পানি এক স্রোতে মিশে নতুন একটি স্রোত বয়ে চলে। সেই স্রোতটির নাম হয় বুড়িগঙ্গা নদী। অনেকের[কে?] মতে বুড়িগঙ্গা নদী আগে গঙ্গা নদীর মুলধারা ছিল। তবে বর্তমানে এটা ধলেশ্বরীর শাখাবিশেষ।

বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করেছিলেন বাংলার সুবাদার মুকাররম খাঁ। তার শাষণামলে শহরের যেসকল অংশ নদীর তীরে অবস্থিত ছিল, সেখানে প্রতি রাতে আলোক সজ্জা করা হতো। এছাড়া নদীর বুকে অংসখ্য নৌকাতে জ্বলতো ফানুস বাতি। তখন বুড়িগঙ্গার তীরে অপরুপ সৌন্দের্য্যের সৃষ্টি হতো। ১৮০০ সালে টেইলর বুড়িগঙ্গা নদী দেখে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন- বর্ষাকালে যখন বুড়িগঙ্গা পানিতে ভরপুর থাকে তখন দুর থেকে ঢাকাকে দেখায় ভেনিসের মতো।

তবে বুড়িগঙ্গার আগের ঐতিহ্য এখন আর নেই। কালের বিবর্তনে দখল হয়ে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গার নদীতীর। এখন যেমন সেই বুড়িগঙ্গাঃ হায়রে বাঙালী , নিজের পায়ে কুড়াল মেরে আত্মতুষ্টির রোগে ভোগা এক জাতি আমরা , এর দায়ভার আমারও , আমিও সমান অপরাধী  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।