আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলেকট্রিকাল সার্কিট এ বন্দী আমার দিনগুলি

কোনো চাওয়া নাইকা আমার এপার্টমেন্ট এর সামনে দিয়ে একটা নদী বয়ে গেছে , বলা যায় লেক ভিউ এপার্টমেন্ট, কিন্তু আসলে নদীটা নদী না, বলা যায় নদীর একটা নালা, নদীটার নাম হলো মুতালা যেটা কিনা বাল্টিক সাগর এর একটা অংশ, কয়েক মাইল পেরুলে বাল্টিক সাগর দেখা যায়, আসে পাশে অনেক গাছ গাছালি আর ঝোপ ঝর, নানান রকমের রঙিন পাখ পাখালি ডাকা ডাকি করে, বিকেল হলেই মানুষ জন বেরিয়ে পরে জগিংএ, কত রকমের যে প্রজাপতি খেলা করে, না দেখলে বুঝানো যাবে না, নদীতে গাছের ছায়া গুলি পানির কম্পন এর সাথে সাথে আলতো করে দুলছে, মাঝে মাঝে নদীর ধারে বসানো কাঠের বেঞ্চ এ বয়স্ক লোকজন বসে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছে, সব ই যেন একটা নিয়মের মধ্যে চলছে. এখন সরত কাল, তাই বেশিরভাগ গাছে ই বাহারি রং এর পাতার মেলা, নদীর ধারের রাস্তা গুলি দেখলে মনে হয়, কে যেনো রংধনু কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে, সামার এর সময় গুলোতে আমি প্রায় ই যাই সেই নদীর পারে, চার দিকে এত সুন্দরের সমাহার, সব কিছু যেন ছবির মত, কিছুক্ষণ সে সৌন্দর্য দেখার পর, চোখ বুঝে কল্পনার সাগরে হারিয়ে যাই, আমার কল্পনায় ভেসে উঠে চিরিয়া খানার পাশের তুরাগ এর সে মায়াময় ছায়া ঘেরা চারপাশ, আমি কল্পনায় চিরিয়া খানার নামার দিকের একটা গাছের নিচে যেয়ে বসি, আর মনের চোখ দিয়ে নদীটা অপলক অনেক খন দেখতে থাকি, হটাথ মনে হয়, ওহ আজকে তো আমার ল্যাব এ কাজ করতে হবে সারাদিন, তখন এক দৌরে ল্যাব এ ছুটে যাই, কিন্তু অনেক্ষুন চোখে মুখে একটা না পাওয়ার কষ্ট, না দেখার আকুতি থেকেই যায়. অতপর আবার আমার ডেইলি রুটিন এ ফিরে যাওয়া. আমার ব্যাচেলর প্রোগ্রাম এর সময় এক প্রফেসর বলেসিলো ইউরোপ এন্ড আমেরিকা তে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ অনেক প্রেসার, সেই প্রেসার কন্জেউম করাটা অনেক কষ্টের আর সময় সাপেক্ষ বেপার, এখন বুঝি সার ঠিক বলেছিলেন, কিন্তু এটাও সত্য , এখানে টিচার রা অনেক ভালো আর আন্তরিক, কোনো কিছু জিগেশ করলে খুব আগ্রহ নিয়ে বুঝিয়ে দিতে চায়, সবার মধ্যে একটা আন্তরিক ভাব কাজ করে, বিশেষ করে রিসার্চ বেসড ভার্সিটি গুলি, যেকোনো প্রজেক্ট ওয়ার্ক এর বেপারে নানান পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে, কিন্তু তারপরও কোনো কিছু সহজেই হয়ে যায় না. কোর্স ওয়ার্ক ছিল যমের মত একটা বাপার, সারাদিনই ক্লাস হত, আর ল্যাব হত রাত নয়টা -দশটা পর্যন্ত, এখন থিসিস ওয়ার্ক, কাজের শেষ কোথায় , সুপার ভাইযার ই জানে, তার মন রক্ষা করা খুব কঠিন, সব কিছু তে ই অতি পারফেকসন, দেখা যাক, কি হয় আজ কে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরলাম অনেক রাত করে, ঠান্ডায় হাত জমে যাচ্চিল, সরতের রাত কিন্তু মনে হয় ভরা শীতের মৌসুম, অল্পকয়েক দিনের মধ্যে ই স্নো ফল শুরু হয়ে যাবে: মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার দিন গুলি ইলেকট্রিকাল সার্কিট এ বন্দী, কবে যাবো আমার সেই দুষিত প্রিয় নগরী ঢাকা. প্রতিটা দিন ই কাজের প্রগ্রেস হিসাব করি, কত টুকু করলাম আজকে , আর কত টুকু বাকি, কবে শেষ হবে. বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমি একদুম ই নতুন বাংলা টাইপিং এ , অনেক বানান ভুল, দাড়ি কমা স্টিল ঠিক মত দিতে পারি না. ক্ষমা চাই যেকোনো ভুলের জন্য, আমার পেরেন্টস আমাকে ৯৮ এর লাস্ট এর দিকে একটা কম্পিউটার কিনে দিয়েছিল, কিন্তু বাংলা আমার কাছে টাইপ করাটা খুব ই কষ্টের একটা বেপার মনে হত, এত দিনে ও বাংলা লেখা তা প্রাকটিস করি নি, এটা আসলে ই একটা লজ্জার বেপার আমার জন্য, বাংলায় লিখা এত মজার আগে জানতাম না

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।