আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম যাত্রায়ই গলদ এম ভি কীর্তনখোলা ২ লঞ্চের

অনেকটা ঢাক ঢোল পিটিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী মন্ত্রী দিয়ে ফিতা কেটে শুভ যাত্রা করেছিল দক্ষিন বাংলার সর্ববৃহৎ জলযান এম ভি কীর্তনখোলা ২। কিন্তু কিছুদূর যেতেই পথিমধ্যে চরমোনাই এলাকার চরে আটকা পড়ে কীর্তনখোলা-২। মূলত সেখান থেকেই বিপর্যয় শুরু। চরে আটকা পরে লঞ্চটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। দক্ষিণাঞ্চলে আধুনিক নৌযাত্রার সকল প্রতিশ্রুতি নিয়ে যে কীর্তনখোলা-২ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে তার প্রতি পদে পদে যাত্রীদের ভোগ করতে হয় চরম অশান্তি।

খাবারের নিম্নমান দেখে হতবাক হয়ে যায় পুরো কীর্তনখোলা-২ এর যাত্রীরা। সবশেষ নির্ধারিত সময়ের ৫ ঘন্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকার ঘাটে পৌঁছায় কীর্তনখোলা-২। রাডার প্রসঙ্গঃ যে কোন নৌযানে রাডার থাকার মানে হচ্ছে নৌযানটি শতভাগ না হলে মোটামুটি ভাবে নিরাপদ। কারণ রাডার যে কোন দুর্ঘটনার আগাম বার্তা পৌঁছে দেয় নৌযানটিতে। যাতে করে নৌযানটি অনাকাঙ্খিতভাবে কোন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়।

কিন্তু শুক্রবার রাতে কীর্তনখোলা-২ নৌযানে উপস্থিত শতশত যাত্রী দেখল বরিশাল নৌবন্দর ছাড়ার অল্প সময়ের মধ্যেই এটি চরমোনাই চরে আটকে যায়। এখন প্রশ্ন উঠেছে তাহলে নৌযানটিতে যে রাডার যুক্ত করা আছে সেটি সচল কিনা ? লঞ্চটির উদ্বোধন এর সময় বলা হয়েছিল পানির নিচের গভীরতা মাপার জন্য ইকো সাউন্ডার কাজ করবে। কিন্তু অদক্ষ চালকের পক্ষে এগুলো বোঝা সম্ভব হয়নি। অদক্ষ চালকঃ রাডার ও ইকো সাউন্ডার সচল তাহলে নিশ্চই চালক অদক্ষ। কিংবা রাডারের পূর্বাভাস বুঝতে অদক্ষ চালক।

এমন প্রশ্ন এখন সচেতন নগরবাসীর। খাবারের নিম্নমানঃ বাইরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট। এমনটাই সত্য হলো কীর্তনখোলা-২’র ক্ষেত্রে। তা না হলে এমন বিলাস বহুল নৌযানে খাবারের নিম্নমানের বিষয়টি বরিশাল নগরীতে সর্বত্র আলোচনায় ছিল। সর্বত্রই অব্যবস্থাপনায় ভরপুর এই নৌযান দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী সেবায় কতটুকু উপকারে আসবে তা এখন দেখার বিষয়।

কতটুকু বিলাসবহুলঃ আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল এম ভি সুন্দরবন ৭ লঞ্চ। ৭ বছর পর কীর্তনখোলা ২ যাত্রা শুরু করল। ৭ বছর অনুপাতে জাহাজটি যে পরিমান আধুনিক হবে ভাবা হয়েছিল সে পরিমান আধুনিক কীর্তনখোলা ২ জাহাজটিকে দেখে মনে হয়নি। বলা হয়েছিল ডেকের যাত্রীরা বড় পর্দায় ছবি দেখতে পারবে কিন্তু তার সাধারন টিভি ছাড়া ডেকের যাত্রী দের জন্য বড় পর্দাইয় ছবি দেখবার কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই সোফার ব্যবস্থাও।

তাই আমার কাছে মনে হয়েছে কীর্তনখোলা ২ লঞ্চটির চেয়ে সুন্দরবন ৭ লঞ্চটি এখনো বিলাসবহুল। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.