আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোখ এর বদলে নরইন - তিস্তা চুক্তি, ফেনী নদীর চুক্তি

বিক্ষিপ্ত ভাবনা আমাদের এই অভাগা দেশে এমন দুশ্চরিত্রের অভাব নেই যে পিতা তার সন্তানকে বিক্রি করে দেয় নেশার টাকা যোগাড় করার জন্যে। আরেকটু বললে, এমন ও দেখা যায় মা, বড় ভাই, বা পিতা তার সুন্দরী মেয়ে বা বোনকে লম্পটের সাথে বিয়ে দেয় টাকার বিনিময়ে। আপানারা এ ধরনের আরও বহু ঘটনা বলতে পারবেন। কেউ কেউ আবার নিজ সন্তানকে বিক্রি করে দেয় পতিতা পল্লীতে বা উটের জকি হিসাবে। কিন্তু কেন? দেশ যখন মা: আসলে কি তাই? দেশকে কি আমরা পারছি মায়ের মত ভালবাসতে? রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী, আর পত্রিকাজীবিদের ব্যক্তি স্বার্থে দেশের সাথে গাদ্দারি দেখলে মনে হয় এরা জারজ সন্তান।

এদের সাথে ঐ সব লম্পটের কোন পার্থক্য নেই যারা নিজের নেশার স্বার্থে নিজের মেয়েকে পতিতা বানায়। বিগত কিছুদিন ধরে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে তা চিন্তাশীল ব্যক্তিমনে প্রচন্ড ক্রোধ, ঘৃনা, আর হতাশার জন্ম দিচ্ছে। এর মধ্যে সব ছেয়ে বড় ঘটনা ছিল শীতলক্ষা নদীতে ভারত কর্তৃক বাঁধ দিয়ে ভারতের লরীর যাতায়াত, ভারতের অপরাংশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্যে। এ যেন নিজের সামনে নিজের মাকে প্রতিবেশী কর্তৃক ধর্ষণ করতে সাহায্য করা। সাম্প্রতিক আরও কিছু ঘটনা আমদের জাতীয় চরিত্রকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত এ জমীনের প্রতি আদৌ কি আমাদের সেই ভালবাসা আছে? খবরে প্রকাশ কোন ধরনের গ্যারান্টি ক্লজ ছাড়াই তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি হতে যাচ্ছে। কি আছে এ চুক্তিতে - যতটুকু জানা যায় ভারত কমপক্ষে ৩ টি ব্যারেজের মাধ্যমে তিস্তা নদী থেকে পানি প্রবাহ সরিয়ে নেয়ার পর শুধু মাত্র গজলডোবা অংশে চুয়ে আসা তলানী সরুপ যে পানি পাওয়া যাবে তার ৩৫% পাবে বাংলাদেশ আর ৪৫% পাবে ভারত, বাকী বিশ শতাংশ থাকবে নদীতে। এ অংশে পানি আসবে সতেরশ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন ব্যারেজ, শাখানদী, আর চর পেরিয়ে। উল্লেখ্য ভারত ৩টি ব্যারেজ চাড়াও তিস্তার বিভিন্ন শাখা নদীর মাধ্যমে যে পানি প্রত্যাহার করবে তার কোন হিসাব করা হবেনা। এ চুক্তি হচ্ছে দশ বছরের জন্য, এতে কোন গ্যারান্টি ক্লজ নেই।

তার অর্থ হচ্ছে আমরা কতটুকু পানি পাব তার কোন নিশ্চয়তা নেই। ভারত চাইলে সব পানি আগেই প্রত্যহার করে নিতে পারবে। এ চুক্তি যে শুধু নির্বাচনীমুখী ভারত তোষামুদির চুক্তি তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কেন এই চুক্তি এই মুহুর্তে: এর কারণ আমাদের আইওয়াশ। ভারতকে টেলি করিডোর দেয়া, নারয়ণগন্জ বন্দর দিয়ে দেয়া, পরীক্ষামূলক ১০,০০০ মেট্রিকটন পন্য পরিবহনের করিডোর দেয়া, রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র দেয়া...... এ শুধুই দেয়ার হিসেব ........।

বিনিময়ে বেওকুপ বাংলাদেশী জনগণকে বুঝানোর জন্যতো কিছু লাগবে। আগামী কিছুদিন 'র' এর বাংলাদেশি ভাড়েরা আমাদের ঘুম পাড়ানীর গান শুনাতে পারবে। হায়রে অভাগা দেশ....। পকেট রাজনীতির আর দালালীর কাছে তোর এই পরাজয়। ফেনী নদী: দেয়ার হিসাব যদি এতেও সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলেও হত।

ফেনী নদী যা একান্তই আমাদের। আন্তর্জাতিক পানি সীমানার হিসাব অনুযায়ী ভারতের এতে কোন হিস্যা নেই। কারণ এ নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশে আর এটি বাংলাদেশের উপর দিয়েই প্রবাহিত। ভারতে আছে এর শাখা নদী। আর সরকার ভারতকে ফেনী নদীর পানির ৫০% দিতে রাজী হয়েছে সর্বশেষ সচিব পর্যায়ের জে আর সি বৈঠকে।

চেয়ে চেয়ে দেখি আর ভাবি - কি আছে বলার, আর কি আছে করার? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.