আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাঁপানি নিরাময়ে মৎস্য থেরাপি

মনের কথা ব্লগে বলে ফেলুন,নয়তো মনে কথার বদহজম হবে হাঁপানি নিরাময়ে ভারতের দক্ষিণী শহর হায়দ্রাবাদের গৌড় পরিবারের বিতর্কিত মৎস্য থেরাপি নিতে প্রতি বছর লাখ লাখ হাঁপানি রোগীর ভিড় হয়। বছরে শুধু একবারই এই চিকিৎসা দেয়া হয় বর্ষা আসার ঠিক আগে। বাথিনি মৃগশিরা নামে গৌড় পরিবারের ১৬০ বছরের প্রাচীন চিকিৎসা হাঁপানি রোগে অব্যর্থ, এমনটাই দাবি ওই পরিবারের। চিকিৎসার নাম বাথিনি মৎস্য থেরাপি। এতে দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি মাপের ছোট্ট একটা মৌরালা বা সার্ডিন জাতীয় মাছ ঔষধি গুণযুক্ত বিশেষ গাছগাছড়া দিয়ে বানানো হলদেটে রঙের পেস্ট বা লেই দিয়ে মুড়ে রোগীকে গিলিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়।

মাছের উপরিভাগ যেহেতু পিচ্ছিল থাকে তাই গিলতে অসুবিধা হয় না। গেলানোর কাজটা করেন পরিবারের কিছু লোক এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী। কীভাবে এই থেরাপি কাজ করে? ওই পরিবারের মতে, বিশেষ ভেষজ ওষুধ মাখানো ওই জ্যান্ত মাছ গলা দিয়ে নামার সময় পাখনা এবং পুচ্ছ নাড়াতে থাকে, তাতে গলার ভেতরের জমা শ্লেষ পরিষ্কার হয়ে যায়। হাঁপানির উপশম হয়। ওষুধ প্রয়োগের তিন ঘণ্টা আগে এবং তিন ঘণ্টা পর পর্যন্ত পেট একেবারে খালি রাখতে হয়।

জল পর্যন্ত খাওয়া চলবে না। তারপর ৪৫ দিন নির্দিষ্ট আহার গ্রহণ করতে হবে। এই ভেষজ ওষুধের ফর্মুলা ওই পরিবারের কয়েকজন সদস্য ছাড়া বাইরের আর কেউ আজ পর্যন্ত জানে না বা জানানো হয় নাÑ পাছে বাণিজ্যিকভাবে অন্য কেউ এই থেরাপি শুরু করে গৌড় পরিবারের নামে। মৎস্য থেরাপিতে অনেকে ভালো যে হয়েছেন, সেটাও মিথ্যা নয়। পরিবারের মতে, ওই ভেষজ ওষুধের ফর্মুলা গোপন রাখা হয়।

জনৈক সাধু পরিবারের বৃদ্ধ প্রপিতামহকে এর ফর্মুলা দিয়ে বলেছিলেন, অন্য কাউকে যেন তা জানানো না হয়। পরিবারের বাইরে অন্য কেউ জানলে ওষুধের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। চিকিৎসায় কাজ হবে না। ভেষজ ফর্মুলা গৌড় পরিবারের এক প্রজš§ থেকে বাহিত হয়ে চলেছে পরের প্রজšে§। এই মৎস্য থেরাপি দেয়া হয় বিনা পয়সায়।

শুধু অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদ শহর ছাড়া অন্য কোথাও এই চিকিৎসা দেয়া বারণ। দেয়ার নির্দিষ্ট দিন ধার্য করা হয় জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে। সেটা পড়ে বর্ষা আসার ঠিক আগে, জুন মাস নাগাদ। গৌড় পরিবারের দাবি, কোন হাঁপানি রোগী যদি মৎস্য থেরাপির নিয়মবিধি ঠিকমতো পালন করেন, তাহলে তার হাঁপানি ১০০ শতাংশ নিরাময়ের গ্যারান্টি দেয়া হয়। ভেষজ ওষুধের ফর্মুলা গোপন রাখার রহস্য নিয়ে কয়েকটি সংগঠন, বিজ্ঞানী এবং মেডিকেল কাউন্সিল আদালতে যায়।

তাদের অভিযোগ, ভেষজ ওষুধের নামে যা দেয়া হয়, তার মধ্যে থাকতে পারে স্টেরয়েড, ভারি ধাতু কণা এবং পারদজাতীয় উপাদান। কাজেই তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। আদালতের নির্দেশে ভেষজ উপাদান পরীক্ষা করা হয় এবং তাতে ক্ষতিকারক কিছু পাওয়া যায়নি। অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট রায় দেন, ওই ভেষজে ক্ষতিকারক উপাদান যেমন পাওয়া যায়নি, তেমনি ঔষধিগুণও পাওয়া যায়নি। jugantor ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.